আগের পর্বের লিংক
সেন্টমার্টিনে পরিবেশ দূষণমুক্ত তিন চাকার যে যানগুলো আছে, এগুলো রিক্সা ও ভ্যানের মাঝামাঝি কিছু একটা। উপরে ভ্যানের মতো খোলা নয়, উজ্জ্বল, বর্ণময় ছাদ আছে। আবার রিক্সার মতো শুধু একদিকে বসার আসন নয়, ভেতরে তিনদিকে আসন ও একদিকে খোলা, খোলা দিক দিয়ে ভ্যানে উঠতে হয়। সবাই মোটামুটি একই ভাড়া চাইছে। আমরা একটি ভ্যান ঠিক করলাম, সে আমাদেরকে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যাবে। আগেই বলেছিলাম যে, পর্যটনের "অবকাশ" হবে আমাদের প্রথম চেষ্টা। লাগেজ ভ্যানে তুলে আমরা দু' জন দুই পার্শ্বের সিটে বসে পড়লাম। কালারফুল এই ভ্যানে চড়েই মনের মধ্যে উৎফুল্লু ভ্যাকেশন ভাবটা তীব্রমাত্রায় চলে এল। আমি আগেও অন্যান্য গ্রামে গিয়ে ভ্যানে চড়েছি যেখানে চলার রাস্তা ছিল এবড়ো-থেবড়ো ও কাঁচা। কিন্তু এখানকার রাস্তা পাকা ও সমতল, তেমন একটা ঝাঁকুনি পেলাম না। শহরের ট্রাফিক জ্যাম নেই, রাস্তার দুই পার্শ্বে লোকজন হাঁটা-চলা করছে, দোকান পাট, বাড়িঘর ছড়িয়ে আছে । মিনিট দশ-পনেরোর ভেতরেই বোধহয় অবকাশ-এ চলে এলাম। পরে বুঝেছিলাম, পুরো দ্বীপটা এতো ছোট যে, হেঁটেই চলাফেরা করা যায়। অবকাশে এসে মনে হচ্ছে দুতিনটা গ্রুপ দল বেঁধে এখানে এসেছে। কোলাহল একটু বেশিই মনে হচ্ছিল। ম্যানেজারের সাথে কথা বললাম। তাঁদের এখানে রুমও খালি নেই। মনে মনে বললাম, ভালোই হয়েছে। আমি একটু নিরিবিলি হোটেল খুঁজছিলাম।
ভ্যানচালক আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসে তাঁকে বললাম, ভাই, আপনি আপনার পছন্দমতো একটা হোটেলে নিয়ে যান যেখানে রুম থেকে সমুদ্র দেখা যায় বা হোটেল থেকে বের হয়েই সমুদ্র দেখা যায়। ভ্যানচালক খুব খুশী হয়ে আগ্রহভরে বললেন হোটেল "সী প্রবাল" -এর কথা। আমরা ভ্যানে উঠে বসলাম। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই সী প্রবালে চলে এলাম। হোটেলটি দেখে পছন্দ হয়ে গেল কারণ হোটেল থেকে বের হলেই নীল সমুদ্র। আবার সমুদ্রের দিকে হোটেলের সামনের জায়গাটিতে চেয়ারে বসলেও সমুদ্র দেখা যায়। কোলাহলও তেমন দেখতে পেলাম না। হোটেলের দায়িত্বে যিনি আছেন, তিনি ভ্যানচালকের পূর্ব-পরিচিত। হোটেলে ঢুকার পর একজন তরুণ ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন। তার সাথে পরিচয় হল। নাম তার আব্দুল মালেক। পরে জেনেছিলাম যে, তারা নাকি পারিবারিকভাবে এই হোটেলটি করেছেন। আমরা বললাম যে, আমরা দুই রাত এখানে থাকতে চাই। আব্দুল মালেক আমাদেরকে জানালেন যে, এক রাত আমরা থাকতে পারবো কারণ পরের দিন থেকে পুরো হোটেল আগে থেকে বুক করা। আজকের রাতে আবার হোটেল প্রায় পুরোটাই ফাঁকা। হাতে গোণা দুই তিনটি গেস্ট আছে। আব্দুল মালেককে বললাম যে, আমাদের হোটেলটা পছন্দ হয়েছে, কোনভাবে দু-রাতের ব্যবস্থা করা যায় কিনা। উনি বললেন, ঠিক আছে আজকের রাতটা থাকেন, কালকের ব্যবস্থা আমি করে দিব। আব্দুল মালেক খুবই অতিথি-পরায়ণ ছিলেন। কেন জানি আমাদেরকে তার পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। আমরাও তাকে পছন্দ করেছিলাম, ক্রমেই তার সাথে খুব খাতির হয়ে গিয়েছিল, পরে তাঁকে বলতাম মালেক ভাই।
আমরা দোতলায় একটা রুমে উঠলাম। হলওয়েতে সামনের দিকে বিশাল একটি জানালা আছে। সেখান থেকেও সমুদ্র দেখা যায় কিন্তু আমাদের রুমটি ভেতরের দিকে। সম্ভবতঃ কোন রুমই এখানে সমুদ্রের দিকে মুখ করে এমনভাবে করা হয়নি যাতে রুম থেকে সমুদ্র দেখা যায়। আমি সাউথ ক্যারোলিনার মার্টাল বীচে গিয়েছিলাম। সেখানে যে স্যুইটটিতে ছিলাম, সেটি ছিল একটি ওশেনভিউ স্যুইট অর্থাৎ ব্যালকনি থেকে বিচ ও সমুদ্র দেখা যেত, সমুদ্রের গর্জন শোনা যেত। মাঝে মাঝে ডলফিনও দেখা যেত। ব্যালকনিতে দুটি চেয়ার ও একটি ছোট টেবিল লাগানো ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেয়ার বসে কাটিয়ে দেয়া যেতো। আমি ভোরবেলা উঠে পড়তাম সূর্যোদয় দেখার জন্য। কর্মব্যস্ত দিন, কোলাহল মুখর জীবন থেকে ছুটি নিয়ে ৪/৫ দিনের জন্য মার্টাল বীচে প্রকৃতির সাথে কাটানো সময়টা সত্যিই জীবনে নূতন একটা ছন্দ এনে দেয়, জীবনকে নুতনভাবে চিনতে ও ভাবতে শেখায়। অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সেন্ট মার্টিনেও হয়তবা এমন ব্যবস্থা হবে। তবে সেন্ট মার্টিনের সৌন্দর্য্যের কাছে মার্টাল বীচ কিছুই না।
বাক্স-পেটরা নিয়ে দোতলায় রুমে উঠলাম। ঝকঝকে-তকতকে পরিষ্কার রুম নয়, তবে চলবে। মালেক ভাই অল্প আলাপেই জানিয়েছিলেন যে, সেন্ট মার্টিনে দুটি জিনিসের দরকার হয় না। এক. বৈদ্যুতিক ফ্যান কারণ প্রকৃতির সুশীতল বাতাস এখানে অফুরন্ত ও অবিরাম, দুই. রাতে রাস্তায় বৈদ্যুতিক আলোরও দরকার নেই কারণ খোলামেলা এই দ্বীপকে রূপালী চাঁদ বেশিরভাগ সময়েই আলোকিত করে রাখে। এর প্রমাণ আমরা পেয়েছিলাম। রুমে ঢুকে জানালা খুঁলে দেয়াতে মনোরম বাতাস হু হু করে ঢুকতে লাগলো। বাথরুমে গরম পানি নেই, তবে গরম পানির দরকারও ছিল না। চিন্তা করলাম, গোসলটা সেরে নিই। এবার ধাক্কা খাওয়ার পালা। বাথরুমে লাইট জ্বলছে না। দিনের সূর্যের আলোও এখানে তেমন প্রবেশ করে না। মালেক ভাইকে ডাক দিলাম। এবার আরও আশ্চর্য্য হবার পালা। মালেক ভাই জানালেন, সেন্টমার্টিনে নাকি বিদ্যুৎ নেই। সন্ধ্যার দিকে একটা নির্দিষ্ট সময়ে অল্প সময় প্রায় ৪/৫ ঘণ্টার জন্য জেনারেটর চালানো হয়। আমাদেরকে মোম দেখিয়ে দিলেন, একটা ম্যাচ দিয়ে গেলেন। আমরা হোটেলেরই একটা ছেলেকে দিয়ে আরও এক্সট্রা মোমবাতি, ম্যাচ আনিয়ে রাখলাম। শেষ পর্যন্ত মোমের আলোয় গোসলটা সেরে নিলাম। ব্যাপারটা মজাই লাগছে। আমি একবার পেনসিলভ্যানিয়ার আমিষ কাউন্টিতে গিয়েছিলাম। আমিষ কাউন্টি নিয়ে প্রিয় ব্লগে আমার একটা লেখাও আছে, পরে একসময়ে এখানে দিব। আমিষ কাউন্টিতে যারা থাকেন, তাঁদেরকে আমিষ পিপল বলে। আমিষ লোকজন আমেরিকাতে থেকেও বৈদ্যুতিক আলো ব্যবহার করে না, এমনকি ফ্যানও চালায় না। তারা ঘোড়ার গাড়িতে চলাফেরা করে। তাঁদের পোশাক-আশাক, দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সম্পুর্ণ ভিন্ন। তারা আধুনিক জীবনযাত্রা ইচ্ছাকৃতভাবেই পরিত্যাগ করেছে। এমনকি তারা পড়াশোনা করে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। সেন্টমার্টিনে এসে মনে হচ্ছে, কর্মব্যস্ত আধুনিক জীবনের চেয়ে এই কোলাহলমুক্ত, প্রকৃতির সাথে বসবাস অনেক বেশি শান্তিপুর্ণ।
এবার আমাদের প্রথম কাজ হল খাওয়া-দাওয়া ও দ্বীপটিকে ঘুরে দেখা। সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি আসলে ছোট্ট একটি দ্বীপ, মাত্র ৮ বর্গকিলোমিটার, তাও আবার জোয়ারের সময়ে ৫ বর্গকিলোমিটার হয়ে পড়ে। উইকিপিডিয়া তথ্য মতে ঢাকা শহরের মিরপুর এলাকা ৫৮.৬৬ বর্গকিলোমিটারের, ১৪ টি সেক্টরে বিভক্ত উত্তরা এলাকা ৩৬.৯১ বর্গকিলোমিটার। এবার বুঝুন সেন্টমার্টিন কতো ছোট ! আবার গেলাম মালেক ভাইয়ের কাছে - কোথায় খাওয়া যায়, কোথায় কোথায় যাওয়া যায়। তিনি আমাদেরকে একটা ভ্যান ঠিক করে দিলেন আর আর ভ্যানচালককে কিছু জায়গার কথা বলে দিলেন। আগামীকাল ছেঁড়াদ্বীপে যাওয়ার কথা বললেন, তিনিই সব ব্যাবস্থা করে দিতে পারবেন। ছেঁড়াদ্বীপে দুইভাবে যাওয়া যায় - বড় একটি ইঞ্জিন নৌকা যেখানে অনেক যাত্রী যায় অথবা ছোট একটি প্রাইভেট স্পিড বোট ভাড়া করে চালক ও শুধু নিজেরা দুইজন যাওয়া যায়। তবে প্রাইভেট স্পীডবোটের ভাড়া বেশি, একটু বেশিই বেশি, তারপরেও প্রাইভেট স্পীডবোটই ঠিক করতে বললাম। এবার প্রথমেই খাওয়ার পালা, এখনো লাঞ্চ করা হয়নি। ভ্যানচালক আমাদেরকে বাজারের দিকে নিয়ে গেলেন। বাজারে অনেক হোটেল আছে। প্রতিটা হোটেলেরই সামনের দিকে বিভিন্ন রকমের ফ্রেশ মাছ যেমন রূপচাঁদা, গলদা চিংড়ি ইত্যাদি মসলা মাখিয়ে রাখা আছে। আমরা একটি হোটেলে ঢুঁকে পড়লাম । খাবার অর্ডার করলাম। আমরা আসলে তখনও খাবারের সিস্টেমটা বুঝে উঠতে পারিনি। পরে বুঝেছিলাম, যেমন, হোটেলের সামনে গিয়ে মাছ পছন্দ করা যায়, তারপরে সাথে সাথে তা ভেঁজে দেয়া হয়। আবার, দর কষাকষিও চলে। যেমন, আপনি জিজ্ঞেস করতে পারেন - এই রূপচাঁদা দুটি বা চিংড়ি দুটি কত? তারা হয়তবা বলবে ৫০০ টাকা (বা ৬০০ বা ৭০০ টাকা, নির্ভর করে কি মাছ ও মাছের সাইজের উপর)। আপনি বলতে পারেন, নাহ, আমি ৪০০ টাকা দিব। আমি পরে শেষসময়ে এমনটি করেছিলাম এবং ব্যাপারটিতে মজাই পেয়েছিলাম। যাই হোক, সেন্ট মার্টিনে খাবারের দাম কম নয়, তবে ফ্রেশ মাছ বেশ উপভোগ করেছিলাম। বাজার এলাকা, পুরো দ্বীপজুড়েই নারিকেল/ডাবের ছড়াছড়ি। ডাবের দামও খুব কম। এই দ্বীপটির নামই নারিকেল জিঞ্জিরা। ইন্টারনেটে দেখেছিলাম, একসময়ে আরব বণিকেরা নাকি এই দ্বীপের নামকরণ করেছিল "জাজিরা", তারপর একসময়ে জাজিরা আর নারিকেল মিলেই নাকি এই দ্বীপের নাম হয়ে যায় "নারিকেল জিঞ্জিরা"। স্থানীয় লোকেরা দ্বীপটিকে এই নামেই ডাকে। এই দ্বীপের আরেকটি বাংলা সাহিত্যিক নাম আছে - দারুচিনি দ্বীপ। "দারুচিনি" নামকরণের কোন কারণ বা কোন ইতিহাস আমি খুঁজে পাইনি। যাই হোক, ঠিক করলাম যে, সেন্টমার্টিনে যতদিন থাকবো, আমি আর পানি খাব না, শুধু ডাবের পানি খাবো। হোটেলে যে ছেলেটি আমাদেরকে খাবার পরিবেশন করছিল, তাঁকে খাবার পানি না দিয়ে ডাব কেটে আনতে বললাম। আরও বললাম, বড় একটি মিনারেল ওয়াটারের বোতল কিনে, বোতলের পানি ফেলে দিয়ে ডাবের পানি দিয়ে পুরোটা ভরে দিতে। ছেলেটি খুবই আগ্রহসহকারে একটি মিনারেল ওয়াটারের বোতল ডাবের পানি দিয়ে ভরে দিল। হোটেলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার ভ্যান।
আমাদের গাইড ভ্যানচালক আমাদেরকে একটা বীচে নিয়ে গেলেন। গিয়েই অবাক হলাম! কারণ এখানেই আমাদের ঈর্ষণীয় পরিমাণ জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের "সমুদ্র বিলাস"। সেই ১৯৯৪ সালে হুমায়ুন আহমেদ এখানে টিনশেডের একটি কটেজ তৈরি করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, "প্রাণের প্রথম সৃষ্টিই হয় সমুদ্রে। কাজেই বলা যেতে পারে, আমরা উঠে এসেছি সমুদ্র থেকে। সমুদ্র হচ্ছে আমাদের আদি মাতা। আমাদের চোখের জল নোনতা, আমাদের রক্তে যে ঘনত্ত্ব, সমুদ্রের পানিরও সেই একই ঘনত্ব। সমুদ্রের প্রতি আমরা এক ধরনের আকর্ষণ তো অনুভব করবই। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ সেই আকর্ষণ তীব্র ভাবে অনুভব করে।" বলতে গেলে, হুমায়ুন আহমেদই এই মায়াবী দ্বীপটিকে আমাদের কাছে নুতনভাবে চিনিয়ে দিয়েছিলেন। "সমুদ্র বিলাস" কে ঘুরে ফিরে দেখলাম, ছবি তুললাম।
নীলজলে কিছুক্ষণ দাপাদাপি হল। ততক্ষণে সুর্য ডোবার পালা। ধীরে ধীরে সূর্য তার দিনের শেষ সৌন্দর্য্য উপহার দিয়ে সমুদ্রে মিলিয়ে গেল।
সমুদ্র বিলাসের কাছেই আছে কিছুদূর পর পর বেশ কয়েকটি খাবার দোকান। খাবার দোকান মানে একটা টেবিলে বিভিন্ন রকমের ফ্রেশ মাছ আর কাঁকড়া মশলা মাখিয়ে রাখা আছে। পাশে চুলা আর দু/ তিনটি বসার বেঞ্চ আছে। অর্ডার করলেই ভেজে দেয়া হবে।
এখানে শহুরে বৈদ্যুতিক আলোর ঝলকানি নেই। তবে আছে আকাশভরা তারা। এরকম তারাময় আকাশ আমি দেখেছিলাম নিউইয়র্কের থাউজেন্ড আইল্যান্ডস-এ । সেখানে আমি আর আমার বন্ধু "জন" রেড ওয়াইনের বোতল খুলে আকাশের দিকে তাঁকিয়ে রহস্যময় মহাবিশ্বের কথা ভেবেছিলাম, আলোচনা করেছিলাম । সেখানে তারাভরা আকাশ ছিল কিন্তু নীল সমুদ্র ছিল না। আজকে আবার সেই তারাভরা আকাশ! আরো আছে সমুদ্র, পাশে আছে আমার "আদার হাফ"। তারাভরা আকাশের নীচে, নীল সমুদ্রের পাশে মায়াবী এই পরিবেশে ডিনার করার আনন্দই অন্যরকম। এখানকার মাছ, কাঁকড়া ভাজা আর ডাবের পানি দিয়েই ডিনার সেরে নিলাম। অনেক রাত পর্যন্ত সেখানে শোরলাইন ধরে হাঁটলাম। তারপর একসময়ে হোটেলে ফিরে এলাম। ততোক্ষণে হোটেলে জেনারাটর বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাতে কি? জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে চমৎকার চাঁদ আর আছে আরামাদায়ক অবিরাম হাওয়া। পরের দিন ছেঁড়া দ্বীপ যাওয়ার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৫