[নিম্নে উল্লেখিত সকল ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক। কেউ কারো সাথে মিলাইলে নিজ দায়িত্বে মিলিয়ে নেবেন।]
"জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন:
৭১ এ লুঙ্গি খুলে মুসলিম প্রমাণ দিতে হত, ২০১৩ তে আস্তিক প্রমাণ হবে কি দিয়ে?"-
ফেসবুকের এই আপডেট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নজরে এলে দলীয় প্রধানের একক সিদ্ধান্তে দেশব্যাপী আস্তিক সার্টিফিকেট প্রধানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। আস্তিক সার্টিফিকেট প্রদানের লক্ষ্যে মহাচুদুর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিঠি গঠন করা হয়েছে। কমিঠির অন্য সদস্যরা হলেন পাপিয়া আশরাফী, শাম্মী আক্তার, সাকা চৌ ও মেশিনম্যান দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ই কমিঠিতে রাখা হয়নি নিলোফার মনি কে, এই ব্যাপারে কমিঠি প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন কমিঠির আকার ছোট রাখতে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। মহাচুদুর রহমানের এ বক্তব্য শুনে নিলোফার মনি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন আমি ত্রিশ লাখ কে তিন লাখে নামিয়ে আনলাম আর উনি আমাকে সংখ্যা শিখান। বিএনপি এর এ কমিঠি গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আচীপ নজরুল বলেছেন আমি এ বিষয়ে আগামীকাল গোলআলু তে একটা কলাম লিখবো, পিশাচ করীম বলেছেন এ বিষয়ে দিগম্বর টিভিতে ঠগ শো তে বিস্তারিত বলবো। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় এর ব্যবস্থা করেছেন ব্যা মৌ-দুধ ।তিনি মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন দেশে গনজাগরনের সৃষ্টি হয়েছে। সভা চলাকালীন সময়ে দলের এক জুনিয়র নেতা মৌ-দুধকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠেন স্যার আপানার জিপার খোলা। এ কথা শুনা মাত্র মৌ-দুধ নিচের তাকিয়ে কাউকে কিছু না বলেই দ্রুত সভাস্থল ত্যাগ করেন। আস্তিক সার্টিফিকেট প্রদান নিয়ে ঠগ শো তে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে। একাত্তর জার্নাল থেকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ধান্দালিভ পার্থের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলেই তিনি একাত্তর চ্যানেলের নাম শুনেই বলে উঠেন আমার মতন কোন সাচ্চা ইমানদারের এ চ্যানেল দেখা উচিত না। এরপর ফোনের অন্য প্রান্তেই তিনি শ্লোগান ধরেন এ- তে একাত্তর, তুই নাস্তিক , তুই নাস্তিক।
অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নয়া পল্টনে আস্তিক সার্টিফিকেট প্রদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে। দলীয় মহাসচিব মিছা ফাকরুল রাজা এবং হিরো ব্র্যান্ডের বেলুনু উড়িয়ে উদ্বোধন করেন। এ সময় কর্মসূচীর থিম সং “ও নাস্তিক ও নাস্তিক” গেয়ে উঠেন আসিফ আকবর। এ সময় নেতা কর্মীরা ওয়ান মোর এয়ান মোর বলতে থাকলে আসিফ হরতাল হরতাল বলে চিতকার করতে থাকেন। কর্মসুচীর প্রাক্কালে পাপিয়া আশরাফীকে দেখা যায় কয়েকটা বস্তা নিয়ে আসতে, বস্তার মধ্যে কি আছে এ নিয়ে তখন ব্যাপক কৌ্তুহল সৃষ্টি হয় উপস্তিত জনমনে। এক পর্যায়ে পাপিয়া সবাইকে বলেন এখানে কোন ককটেল নাই, ভয়ের কিছু নাই। এখানে আসল পুরুষ লেখা কিছু মেডেল আছে আস্তিক টেষ্টের পাশপাশি আমি আসল পুরুষদের মেডেল প্রদান করবো। এটা শুনামাত্র মেশিনম্যান কে অনেকটা মর্মাহত দেখা যায়, সাকা চৌ অবশ্য নিশ্চুপ ছিলেন এ ব্যাপারে। কিছুক্ষন পর তাদের দুইজনকে দেখা যায় গলায় আসল পুরুষ লেখা মেডেল ঝুলিয়ে কর্মসূচী পরিচালনা করছেন। অনুষ্টানঠি দিগম্বর টিভি ইসলামী ব্যাঙ্ক এর সৌজন্যে লাইভ করছে। সার্টিফিকেট প্রদানের পাশপাশি সাকাচৌ দেখা গেছে জামিন বিষয়ে পরামর্শ দিতে। সবার আগে আস্তিক টেষ্ট দিতে আসেন বাংলাদেশ চটি লেখক সমিতির সভাপতি যায়যায় রহমান। আস্তিক টেষ্ট বিষয়ে যায়যায় রহমানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন শেষ বয়সে আমাকে এমন অপমান না করলে ও পারতেন। আমি যে আস্তিক এ বিষয়ে কারো কোন সন্দেহ নাই তারপর ও আমি টেষ্ট দিলাম কিন্তু আমাকে কোন মেডেল না দিয়ে অপমান করা হলো। লক্ষ্যনীয় ব্যাপার ছিল মেডেল প্রদানের কথা শুনার পর হেফাজতে জামাতের অনেক গেলমানকে ও অনুষ্টানস্থল এর আশেপাশে দেখা গেছে।
প্রথম দিনের কর্মসূচী শেষ হওয়ার অনেককেই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা গেছে ব্যা ররররফি বলেন কারো জামিন লাগলে আমার চেম্বারে আসবে। জামিন দেয়ার কোন অধিকার নাই সাকা চৌ এর। অনেকদিন নিশ্চুপ থাকার পর লেজেহুমো এরশাদ বলেন ভাবী আসলেই অনেক সুইট , অনেকদিন পর একটা কাজের কাজ করলেন। তবে একটা ভুল রয়ে গেছে এই যে শাহবাগে যাওয়া নাস্তিক মেয়েদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেন নাই। আমি চাই তিনি এ ব্যাপারে দ্রুত একটা কমিঠি গঠন করে পদক্ষেপ নিবেন । উনি চাইলে আমি সেই কমিঠিতে থাকতে রাজি। তবে একটা অনুরোধ থাকবে মহাচুদুর রহমানকে বাদ দিয়ে যেন যায়যায় রহমান কে নেন কমিঠিতে। এ ব্যাপারে কাদের সিদ্দীকি আস্তিক টেষ্ট দিতে আসা তরুনদের উদ্দ্যেশ করে বলেন আপনারা লুঙ্গি পরে আসার দরকার নাই আপনারা গামছা পরে আসুন আমি সবসময়ি গামছা পরি।