somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই মহানগরীর একজন তুচ্ছ নাগরিকের ফালতু কিছু কথা। পড়ে সময় নষ্ট করা নিছক বোকামি।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরাসরি প্রসঙ্গে চলে যাই।
আমরা যারা ধানমন্ডি বা মোহাম্মদপুর থেকে ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই শুরু করি কর্মস্থলে ছুটে চলার আয়োজন এবং আমাদের গন্তব্য যদি হয় মতিঝিল, আমাদের সাধারণত ব্যাবহার করতে হয় সিএনজি অথবা সিটি বাস।

আপনারা হয়তো লক্ষ করেছেন, ইদানীং সিটি বাসগুলোর চরম অনিয়ন্ত্রিত ও অরাজক অবস্থা। সকালে ভাল মনে হয়তো বাসে উঠলেন কিন্তু গন্তব্যে যখন পৌঁছালেন তখন আপনি বিধ্বস্ত একজন মানুষ।

এই বাসগুলোর কোন নির্ধারিত স্টপেজ নেই। শুরু হয় তাদের যত্রতত্র লোক নেওয়া। রাস্তায় একজন হাত ইশারা করলেই বাস থামিয়ে তাকে নিতে হবে। তার উপর আবার তাদের পছন্দমতো বাস না ভরলে ঠায় দাড়িয়ে থেকে লোক উঠাতে থাকে। সিটগুলো গুলো ভরে মানুষ দাড়িয়ে থাকলেও যেন তাদের হয়না। ধৈর্যচ্যুতি হয়ে যদি আপনি হাঁকডাক শুরু করেন তাহলে বাস কয়েকগজ এগিয়ে আবার একই ঘটনা ঘটাতে থাকবে।

সিটি বাসগুলোতে উঠলে লক্ষ করবেনঃ
১. আপনি যখন বাসে উঠবেন, যেখান থেকে চাইবেন পারবেন, বাস সম্পূর্ণ থামিয়ে আপনাকে নেবে কিন্তু নামার সময় ইচ্ছে মতো নামতে চাইলে চলন্ত বাস থেকে একটু স্লো করে নামিয়ে দেয়।
২. বাসগুলো কে আগে যাবে এই নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামে। শুরু হয় তাদের রুদ্ধশ্বাস ওভারটেকিং, প্রচণ্ড শব্দে ঘসা খাওয়া, কখনো কখনো গাড়িতে গাড়িতে ধাক্কা খাওয়া আর আমরা সবাই আতংকিত কিংবা স্তম্ভিত যাত্রী কিংবা পথচারী।
৩. গাড়ি দাড়িয়ে লোক নেওয়ার সময় একটু বাঁকা হয়ে দাড়ায় যাতে অন্য গাড়ি সামনে যেতে না পারে।
৪. গাড়িতে মানুষ ঝুলতে থাকলেও গাড়ি থামিয়ে লোক নেয়।

পরিশেষে আপনি যখন কর্মস্থলে পৌঁছান তখন আপনি হয়ে যান তিরিক্ষি মেজাজের। ঢাকা শহরে একারনেই অনেক মানুষ সামর্থ্য না থাকলেও প্রাইভেট কার কিনছে বা সিএনজিতে যাতায়াত করছে। আর যারা পারছিনা তারা এই দুর্ভোগ মাথায় করে চলেছি রোজ। প্রতিদিন অগনিত প্রাইভেট কার রাস্তায় নামাতে বাড়ছে যানজট। যাত্রী থেকে বেশি হয়ে গিয়েছে সিটি বাস। আর এই বাস গুলো আধা ঘণ্টার রাস্তা দেড় ঘণ্টায় নিয়ে যাচ্ছে। কেউ কিছু বলার নেই।
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের সেকাল এবং একালের ঈদ

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:১৩



কানাডার আকাশে ঈদের চাঁদ উঠেছে কিনা সেটা খুঁজতে গতকাল সন্ধ্যায় বাসার ছাদে বা খোলা মাঠে ছুটে যাইনি। শৈশবে সরু এই চাঁদটা আকাশে দেখতে পেলেই দেহকোষের সবখানে একটা আনন্দধারা বয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাঁটুতে ব্যথা, তাই সুঁই এ সুতা লাগানো যাচ্ছে না

লিখেছেন অপলক , ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:৩৭

শুরুতেই একটা কৌতুক বলি। হাজার হলেও আজ ঈদের দিন। হেসে মনটা একটু হালকা করে নেই।

"কোন এক জায়গায় স্বামী স্ত্রী ঘুরতে বেরিয়ে বাইক এক্সিডেন্ট করে। জ্ঞান ফিরলে স্বামী নিজেকে হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঈদ মোবারক!

লিখেছেন নাহল তরকারি, ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০৪



ঈদ মোবারক!

ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন! এক মাসের সংযম ও আত্মশুদ্ধির পর এসেছে খুশির ঈদ। ঈদ মানেই আনন্দ, ভালোবাসা ও একসঙ্গে থাকার মুহূর্ত। আসুন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্লোবাল ব্রান্ডঃ ডক্টর ইউনুস....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৯

গ্লোবাল ব্রান্ডঃ ডক্টর ইউনুস....

রাজনৈতিক নেতাদের সাথে, ক্ষমতাসীনদের সাথে তাদের কর্মী সমর্থক, অনুগতরা ছবি তুলতে, কোলাকুলি করতে, হাত মেলাতে যায় পদ-পদবী, আনুকূল্য লাভের জন্য, নিজেকে নেতার নজরে আনার জন্য। আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির ব্যক্তিটি কোন আমলের সুলতান ছিলেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪১



বাংলাদেশে এবার অভিনব উপায়ে ঈদ উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। ঈদ মিছিল, ঈদ মেলা, ঈদ র‍্যালী সহ নানা রকম আয়োজনে ঈদ উৎসব পালন করেছে ঢাকাবাসী। যারা বিভিন্ন কারণে ঢাকা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×