২.ডাক্তার, ইনঞ্জিনিয়ার এবং রাজনীতিবিদের মধ্যে কথা হচ্ছিল কার পেশা পৃথিবীতে আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাক্তার: “কোরআনে আছে যে আদমের পাঁজরের হাড় দিয়ে হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়েছিলো। তাতে এ কথাই প্রমাণিত হচ্ছে যে ডাক্তারী পেশাই সবচেয়ে পুরানো।” ইঞ্জিনিয়ার: “আজ্ঞে না । তারও আগে মাত্র ৬ দিনে আল্লাহ এক বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছিলেন। এটা অবশ্যই একটা ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ।” রাজনীতিবিদ: “সবই বুঝলাম মশাই । কিন্তু সেই বিশৃঙ্খল অবস্থাটি নিশ্চয়ই আপনারা কেউ সৃষ্টি করেননি । তাহলে সেটি হয়েছিলো কিভাবে ??”
৩.স্কুল ছুটির পর তিনটা ছেলে স্কুলের গেটের ধারে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ঝগড়া করছে। তাই দেখে তাদের শিক্ষক এগিয়ে এলেন ঝগড়া মেটাতে – এ্যাই! কি নিয়ে ঝগড়া করছিসরে তোরা? তাদের মধ্য থেকে একজন বলল – স্যার এই কুকুর ছানাটাকে নিয়ে। যে সবচেয়ে ভালো মিথ্যা বলতে পারবে এই কুকুর ছানাটা তার হবে। শিক্ষক- ছি ছি ছি! অথচ তোদের বয়সে আমি মিথ্যা কি জিনিস তাই জানতাম না।ছেলে তিনটে মুখ চাওয়া চাওয়ি করলো কতক্ষন, তারপর বলল- নেন স্যার, কুকুর ছানাটা আপনিই নেন।
৪.পাখির দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় একটা খাঁচার তোতাপাখি তাকে দেখে বললো, ‘অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুচ্ছিত!’ টিনা চটে গেলেও কিছু বললো না, পাখির কথায় কী আসে যায়? পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময়ও একই ঘটনা ঘটলো, পাখিটা বলে উঠলো, ‘অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুচ্ছিত!’ টিনা দাঁতে দাঁত চেপে হজম করে গেলো। তার পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময়ও পাখিটা বলে উঠলো, ‘অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুচ্ছিত!’ এবার টিনা মহা চটে দোকানের ম্যানেজারকে হুমকি দিলো, সে মাস্তান লেলিয়ে এই দোকানের বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে। ম্যানেজার মাপ চেয়ে বললো, সে এর বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, পাখিটা আর এমন করবে না। তার পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় পাখিটা বলে উঠলো, ‘অ্যাই আপু!’ টিনা থমকে দাঁড়িয়ে পাখির মুখোমুখি হলো, ‘কী?’ পাখিটা বললো, ‘বুঝতেই তো পারছেন।’
৫.জন বিয়ার খাবার জন্য বারে ঢুকেই দেখতে পেল তার বহুদিনের পুরোন বন্ধু পল বিষন্ন বদনে বসে আছে। আর তার সামনের টেবিলে খুব বেশি হলে দশ ইঞ্চি লম্বা এক মানুষ বসে বসে তেমনি ছোট একটা পিয়ানো বাজাচ্ছে এক মনে।
জন ভীষন আশ্চর্য হয়ে পলকে জিজ্ঞেস করলো – আরে পল, এই দশ ইঞ্চি লম্বা মানুষ কোথায় পেলে তুমি?!
পল উত্তর দিল – তুমি তো জানো কিছুদিন আগে আমি চীন গিয়েছিলাম। ওখানে অদ্ভুত এক যাদুর পাথর পেয়েছি।
সে পাথর যে কারো ইচ্ছা পুরন করে। তবে একজনের কেবল একটি ইচ্ছাই পুরন করে সে। তার মাধ্যমেই আমি এই লিলিপুটকে পেয়েছি।
জন উদগ্রিব হয়ে জানতে চাইলো – তোমার কাছে কি আছে এখন পাথরটা?
পল হ্যাঁ সুচক মাথা ঝাকালো।
জন আরো উদগ্রিব হয়ে বলল – তাহলে আমাকে একবার দাও ওটা! আমি আমার একটা ইচ্ছা পুরন করি, প্লিজ?
পল বলল – ঠিক আছে, দিচ্ছি। তবে তোমার ইচ্ছাটা বলার সময় একটু স্পষ্ট করে বলো। পাথরটা চীনাবংশোদ্ভুত কিনা, তাই বোধহয় এর অন্যভাষা বুঝতে সমস্যা হয়। এই বলে সে জনের হাতে একটা ছোট নীল পাথর ধরিয়ে দিল।
জন মহা উত্তেজিত হয়ে একটা নির্জন জায়গার খোঁজে ওয়াশ রুমের দিকে গেল। কিছুক্ষন পরে চোখে বিভ্রান্ত দৃষ্টি নিয়ে সে বেরিয়ে এলো। আর তার পিছে পিছে বেরিয়ে আসতে লাগলো হাজার হাজার হাঁস।
সে পলের কাছে গিয়ে অনিশ্চিত কন্ঠে বলল – আমি কিছুই বুঝলাম না। ‘I asked the stone for a million bucks and suddenly I am surrounded by millions of ducks!’
পল মুচকি হেসে বলল – তোমার কি মনে হয় আমি কি পাথরটার কাছে ১০ ইঞ্চি ‘Pianist’ চেয়েছিলাম?
১.এক ভদ্রলোকের খামারে ব্রিডিং এর দরকার হলো। তিনি বাজারে গিয়ে তরতাজা এক মোরগ পছন্দ করলেন এবং দোকানিকে দাম জানতে চাইলেন। দোকানদার বলল, ২০ ডলার, তবে এর চেয়ে এই শুকনা মোরগটা নিয়ে যান আপনার কাজে লাগবে। ভদ্রলোকের ঠিক পছন্দ না হলেও দোকানদার শুকনা মোরগ এর জন্য ৪০ ডলার চাইল। ভদ্রলোক শুকনা মোরগ টাই নিলেন।
প্রথমদিন মোরগটা খামারির সব মুরগিগুলোকে প্রেগন্যান্ট করল,
দ্বিতীয়দিন সব ছাগলগুলোকে প্রেগন্যান্ট করল,
তৃতীয়দিন সব গরুগুলোকে প্রেগন্যান্ট করল,
এবং পরদিন
ভদ্রলোক ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার মোরগ মাঠের মাঝে মৃত পড়ে আছে। ভদ্রলোক হা হা করে কাছে ছুটে যেতেই মোরগ লাফ দিয়ে উঠে বলল, হতচ্ছাড়া তোর জন্য আমার টার্গেট করা কাক গুলো মিস হয়ে গেল।