আর মাত্র কিছুক্ষণ পরেই নামছে বিপিত্রলের ঝমকালো অনুষ্ঠানের পর্দা। দেশের সংস্কৃতি নিয়ে বিভিন্ন স্টাইলে প্রদর্শন আর শো হবে! তবে জানেন তো বাঙালির উৎসবের প্রধান আর্কষণ অবাঙালি বলিউড স্টার!!! জাতে বাঙালি কাজে হিন্দুয়ানি! বৈ আর কি! সেলুকাস! আশ্চর্যজনক হচ্ছে যারা মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালির তাজা রক্ত উৎসর্গ আর ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর কথা চিৎকার করে বলে বেড়ায় তারাই হচ্ছেন অশ্লীল-বাঙালি সংস্কৃতি বিবর্জিত অনুষ্ঠানের মুল হোতা!! এমনকি মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির সুযোগ্য সন্তান জনাব পাপন হচ্ছেন বিসিবির সভাপতি!! জোরে জোরে বগল বাজাতে থাকুন! বলুন জয় বাংলা!!!
খুশিতে গান ধরেন-একদিন বাঙালি হইমু রে!!
তাই বুঝি রবীন্দ্রনাথ বাঙালিদের মানুষ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন! কি হতো দেশীয় নায়ক-নায়িকাদের দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির আদলে উৎসবের আয়োজন করতে? সুযোগ ছিল দেশীয় সংস্কৃতিকে মেলে ধরার! ভাটিয়ালি গানসহ বিভিন্ন দেশীয় সংস্কৃতির গানগুলোকে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করলে কি পাবলিক অ্যাট্রাকশন খুব কমে যেত?? হ্যাঁ কমে যাওয়ারই কথা!
দোষ তো আমাদেরই! নতুন প্রজন্মকে আমরা হিন্দি আর পাশ্চাত্যের নোংরা সংস্কৃতি থেকে বের করে আনতে পারিনি। পারিনি বলেই তো বলিউড সুন্দরীদের না দেখলে বাঙালি তরুণ আর বলিউড নায়কদের না দেখলে বাঙালি তরুণীদের ঘুম হয় না!!! রাত-বিরাত বিছানা নষ্ট তো আছেই! বিপরীতে শাকিব-জলিল কিংবা অপু-ববিদের দেখলে নাকি নতুন প্রজন্মের বমি আসে! তেঁতুল পাতা খেয়ে বমি আটকাতে হয়!
এমনটি কেন হলো? কারা এর জন্য দায়ী? দেশীয় চলচ্চিত্র নির্মাতারা নাকি অদক্ষ-মেধা মারা অভিনয় শিল্পীরা? সময় এসেছে এখনই ভিনদেশী সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে থামাতে হবে। চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে হবে। নয়তো আবারও সেটা নাগিনী হয়ে নতুন নতুন ঐশি বানিয়ে বিষধর সাপের মতো ছোবল মারবে.................।