ভাইজান! শুনছেননি দেশে নাকি ভিন্নধারার ডিজিটাল কারিশমা আমদানি হইছে! আর হাজারীবাগের ট্যানারির মোড়ে নাকি অহরহ জাকারবার্গ জন্ম নিচ্ছে! সেকেন্ডে সেকেন্ডে দেশ নাকি উতাল-পাতাল উইনডোজ আপডেট করছে!! মহা কাজ! টেলিমন্ত্রী তো পা ফেলার সময় পাচ্ছে না! পল্টন, নাজিমউদ্দিন রোড থেকে পাবনার হেমায়েতপুরের পাগলা গারদ পর্যন্ত ভবে পাগলির মতো দৌড়াচ্ছে!! মাঝপথে ১ নাম্বারটা চাপছে এমনটাই আমজনতা প্রচার করছে! উন্মুক্ত টয়লেট না পেয়ে বাধ্য হয়েই তাকে নাকি পাবলিক টয়লেটের লাইন ধরতে হয়েছে! বিধিবাম! ভুলে জাকারবার্গের ফেসবুক মিয়ার সুইচ অফ করে ফেলেছেন! হায়! এখন কি করবে! ওদিকে টয়লেটে লম্বা সিরিয়াল! অন্যদিকে জটিল সময়ে তো বিটিআরসিতে গেলে কাপড়-চোপড় নষ্ট হয়ে যাবে..............। মন্ত্রী মহোদয় উভয় সংকটে তাই একটু আর কি!! আফনারা মাইন্ড খাইয়েন না!
মখা বুলেটিন! মন্ত্রীর ভাতিজারা জানি কেমতে কেমতে মৃত জাকারবার্গকে জেতা কইরা ফেলছে!!!
অন্যদিকে জেলসুপারের চানদি তো গরম! তেলে বেগুনে বাজাবাজি শুরু করেছেন! হেতেরা কুলখানির আর সময় পাইছে না! পাবলিক একটু-আধটু ফেবুতে ঢুঁ মারছে! এখন কি তাদের দাওয়াত দিয়ে ডিস্টার্ব করা ঠিক হবে ভাবছে জেল সুপার! বুবুর কড়া আদেশ! যে কোনো উপায়ে জেলখানায় কুলখানি সম্পন্ন করতে হবে! তাতে দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে যদি বঙ্গোপসাগর পাড় করে চিতায় দিতেও হয়, তাহলেও তিনি নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে কুলখানি চান!!! উল্টো হইলেই নাকি সুইসাইড করবেন!
তাই মহাব্যস্ত জেলসুপার মশাই! নিমিষেই রাস্তাঘাটের যত হিজড়া আছে সবগুলোরে জেলে পুতে দিলেন! বুবু খুশি তো! কুলখানি না হয়ে যায় কই! পাবলিক পাইনি তো কি হইছে! হিজড়া তো পাইছি!! বুবু ক্যা দুলাভাই........।
বি:দ্র----হিজড়া শব্দটি ফিকশনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে! কেউ ত্যানা প্যাঁচাবেন না যে, হিজড়াদের ব্যাঙ্গ করা হয়েছে।