পাকিস্তানের একজন বিশ্বখ্যাত চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ ইশান খান। তিনি নিউরো মেডিসিন (মস্তিষ্ক) বিশেষজ্ঞ। মস্তিষ্কের সব জটিল রোগের চিকিৎসায় তার খ্যাতি বিশ্বজোড়া। একবার ডাঃ ইশান বিমানে চড়ে পাকিস্তানের করাচী থেকে অন্য একটি শহরে যাত্রা করলেন। কিছুদূরে যেতেই বিমান ঝড়ে কবলিত হলো। কোন উপায় না দেখে পাইলট বিমানের জরুরী অবতরন করালেন দূরের ছোট্ট একটি বিমান বন্দরে।
বিমান থেকে সব যাত্রীরা নেমে বাহিরে দাঁড়ালো, ডাক্তার ইশানও নামলেন। তিনি পাইলটকে জিজ্ঞাসা করলেন অন্য কোন ভাবে ঐ শহরে যাওয়া যাবে কিনা। কারন ডাঃ সাহেবের ঐ শহরে যাওয়াটা খুব জরুরী।
কোন না কোন ভাবে ডাক্তার ইশান এর জন্য তিন চাকার একটি গাড়ীর ব্যবস্থা করা হলো। ডাক্তার সাহেব গাড়িতে রওয়ানা করলেন মূল সড়কে গিয়ে গাড়ি ধরার জন্য। অচেনা গ্রামের মেঠো পথে আঁকাবাঁকা হয়ে গাড়ী চলছে। তখন গভীর রাত, চারদিকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, যেনো আকাশের সব মেঘ আজ ধরার বুকে নামার প্রতিক্ষায় প্রহর গুনছে।
নাহ, এ পরিস্থিতে আর এই ভ্যান গাড়ীতে বসে থাকা সম্ভব নয়। ডাঃ ইশান বড্ড ভয়ও পাচ্ছেন। দূরে একটা ছোট্ট কুটির দেখা যাচ্ছে, সেখানে নিভু নিভু আলো জ্বলছে, ডাঃ ইশান দৌড়ে গেলেন ঘরের দিকে।
একবৃদ্ধা দরজা খুললেন, ডাঃ তাঁর সব ঘটনা খুলে বললেন এবং রাতে থাকার আশ্রয় চাইলেন। বৃদ্ধা ডাঃ কে আপ্যায়ন করলেন,ওজু নামাজের ব্যবস্থা করলেন। নামাজের বিছানার পাশে দেখলেন একটি অসুস্থ ছোট্ট শিশু ঘুমিয়ে আছে। ডাঃ সাহেব বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করলেন এই শিশুটি কে এবং তাঁর কি হয়েছে?
বৃদ্ধা উত্তর করলেন এ শিশুটি আমার নাতি, তাঁর মা বাবা মারা গেছে। সে খুব অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসা এ দেশে কোন ডাক্তারই করতে পারছেনা, তবে একজন বিশেষজ্ঞ পারবেন বলে সবাই পরামর্শ দিচ্ছেন। আমরা ডাঃ সাহেবের সাথে দেখা করার জন্য যখন চেষ্টা করলাম তখন তাঁরা আমাদের ৬ মাস পরের সিরিয়াল দিয়ে দেখা করতে বলেছেন।
আমি প্রতি ওয়াক্ত সালাতের শেষে আল্লাহর কাছে বলি ওগো দয়াময় এ শিশুটি এতিম, ও দারুন অসুস্থ, তোমার কুদরতী তাজাল্লী দিয়ে আমাদের সাহায্য করো। ডাঃ সাহেবের সাথে আমার দেখা করার পথ সহজ করো।
প্রসেসর ডাঃ ইশান বললেনঃ মা সে ডাক্তারের কি নাম?
বৃদ্ধা উত্তর করলেনঃ ডাঃ ইশান
এবার ডাক্তার অঝর ধারায় চোখের পানি ফেল কাঁদছেন আর বলছেন "মাগো আমিই ডাক্তার ইশান"
এখন বুঝেছি কেন আমার প্লেন নষ্ট হলো, কেন এতো ঝড় তুফান নেমে এলো, কেনইবা আমি এ বাড়িতে আশ্রয় নিলাম।
বৃদ্ধা দুহাত তুলে অতঃপর মহান রবের সেজদায় চিৎকার করে কাদতে লাগলেন।
বাহিরে অঝর ধারায় বারি প্রবাহিত হচ্ছে, আর জীর্ণ কুটিরে চোখের পানিতে নামাজের মুসাল্লা ভিজিয়ে দিচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে নামী চিকিৎসক ডাঃ ইশান।
মোরালঃ প্রিয় ভাইয়েরা কখনো তোমার আল্লাহর ক্ষমতাকে সামান্য ভেবোনা, মনে রেখো আল্লাহর জন্য অসম্ভব বলে কিছুই নেই। লা তাকনাতু মির রাহমাতিল্লাহ- আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়োনা।
( লেখাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখিত, এ লিখা লিখতে গিয়ে বার বার অশ্রুসিক্ত হচ্ছি, ওগো আকাশের মালিক আমাদের ক্ষমা করো, রহম করো)
পাকিস্তানের একজন বিশ্বখ্যাত চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ ইশান খান। তিনি নিউরো মেডিসিন (মস্তিষ্ক) বিশেষজ্ঞ। মস্তিষ্কের সব জটিল রোগের চিকিৎসায় তার খ্যাতি বিশ্বজোড়া। একবার ডাঃ ইশান বিমানে চড়ে পাকিস্তানের করাচী থেকে অন্য একটি শহরে যাত্রা করলেন। কিছুদূরে যেতেই বিমান ঝড়ে কবলিত হলো। কোন উপায় না দেখে পাইলট বিমানের জরুরী অবতরন করালেন দূরের ছোট্ট একটি বিমান বন্দরে।
বিমান থেকে সব যাত্রীরা নেমে বাহিরে দাঁড়ালো, ডাক্তার ইশানও নামলেন। তিনি পাইলটকে জিজ্ঞাসা করলেন অন্য কোন ভাবে ঐ শহরে যাওয়া যাবে কিনা। কারন ডাঃ সাহেবের ঐ শহরে যাওয়াটা খুব জরুরী।
কোন না কোন ভাবে ডাক্তার ইশান এর জন্য তিন চাকার একটি গাড়ীর ব্যবস্থা করা হলো। ডাক্তার সাহেব গাড়িতে রওয়ানা করলেন মূল সড়কে গিয়ে গাড়ি ধরার জন্য। অচেনা গ্রামের মেঠো পথে আঁকাবাঁকা হয়ে গাড়ী চলছে। তখন গভীর রাত, চারদিকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, যেনো আকাশের সব মেঘ আজ ধরার বুকে নামার প্রতিক্ষায় প্রহর গুনছে।
নাহ, এ পরিস্থিতে আর এই ভ্যান গাড়ীতে বসে থাকা সম্ভব নয়। ডাঃ ইশান বড্ড ভয়ও পাচ্ছেন। দূরে একটা ছোট্ট কুটির দেখা যাচ্ছে, সেখানে নিভু নিভু আলো জ্বলছে, ডাঃ ইশান দৌড়ে গেলেন ঘরের দিকে।
একবৃদ্ধা দরজা খুললেন, ডাঃ তাঁর সব ঘটনা খুলে বললেন এবং রাতে থাকার আশ্রয় চাইলেন। বৃদ্ধা ডাঃ কে আপ্যায়ন করলেন,ওজু নামাজের ব্যবস্থা করলেন। নামাজের বিছানার পাশে দেখলেন একটি অসুস্থ ছোট্ট শিশু ঘুমিয়ে আছে। ডাঃ সাহেব বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করলেন এই শিশুটি কে এবং তাঁর কি হয়েছে?
বৃদ্ধা উত্তর করলেন এ শিশুটি আমার নাতি, তাঁর মা বাবা মারা গেছে। সে খুব অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসা এ দেশে কোন ডাক্তারই করতে পারছেনা, তবে একজন বিশেষজ্ঞ পারবেন বলে সবাই পরামর্শ দিচ্ছেন। আমরা ডাঃ সাহেবের সাথে দেখা করার জন্য যখন চেষ্টা করলাম তখন তাঁরা আমাদের ৬ মাস পরের সিরিয়াল দিয়ে দেখা করতে বলেছেন।
আমি প্রতি ওয়াক্ত সালাতের শেষে আল্লাহর কাছে বলি ওগো দয়াময় এ শিশুটি এতিম, ও দারুন অসুস্থ, তোমার কুদরতী তাজাল্লী দিয়ে আমাদের সাহায্য করো। ডাঃ সাহেবের সাথে আমার দেখা করার পথ সহজ করো।
প্রসেসর ডাঃ ইশান বললেনঃ মা সে ডাক্তারের কি নাম?
বৃদ্ধা উত্তর করলেনঃ ডাঃ ইশান
এবার ডাক্তার অঝর ধারায় চোখের পানি ফেল কাঁদছেন আর বলছেন "মাগো আমিই ডাক্তার ইশান"
এখন বুঝেছি কেন আমার প্লেন নষ্ট হলো, কেন এতো ঝড় তুফান নেমে এলো, কেনইবা আমি এ বাড়িতে আশ্রয় নিলাম।
বৃদ্ধা দুহাত তুলে অতঃপর মহান রবের সেজদায় চিৎকার করে কাদতে লাগলেন।
বাহিরে অঝর ধারায় বারি প্রবাহিত হচ্ছে, আর জীর্ণ কুটিরে চোখের পানিতে নামাজের মুসাল্লা ভিজিয়ে দিচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে নামী চিকিৎসক ডাঃ ইশান।
মোরালঃ প্রিয় ভাইয়েরা কখনো তোমার আল্লাহর ক্ষমতাকে সামান্য ভেবোনা, মনে রেখো আল্লাহর জন্য অসম্ভব বলে কিছুই নেই। লা তাকনাতু মির রাহমাতিল্লাহ- আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়োনা।
( লেখাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখিত, এ লিখা লিখতে গিয়ে বার বার অশ্রুসিক্ত হচ্ছি, ওগো আকাশের মালিক আমাদের ক্ষমা করো, রহম করো)