প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্যের মিলনমেলা সিলেটের এই পূণ্যভূমি । তেল- গ্যাস খনির মতো কিছু দিন পরপরই নতুন রূপে আবিস্কৃত হয় একেকটি দর্শনীয় স্থান ।তেমনি একটি চমৎকার দর্শনীয় স্থান জাফলং এর জলপ্রপাত । এই পোস্টটি যারা পড়ছেন তাদের অনেকেই হয়তো এক বা একাধিক বার জাফলং গিয়েছেন কিন্তু সবাই ই এই জলপ্রপাতটি দেখে এসেছেন, এমনটি হওয়ার কথা না । কারণ আমি নিজেও এর অগে কয়েকবার গিয়েছি কিন্তু জলপ্রপাতটির অপার সৌন্দর্যের সন্ধান পাই নি । আর গতকাল ফেইসবুকে ওখানকার কয়েকটা ছবি আপলোড করেছিলাম, জাফলং ঘুরে আসা অনেক ইবনে বতুতাই জায়গাটি আবিস্কার করতে পারে নি, ইনবক্স এবং কমেন্টে বেশ কয়েকজনই জায়গাটা কোথায় জানতে চেয়েছেন ।প্রতিভার জোরে কেউ কেউ জায়গাটি না চিনেও চিনতে পারার ভান করে, ইনবক্সে ধরা খেয়েছেন । যাই হওক, গৌরচন্দ্রিকা অনেক করে ফেললাম, এবার ভ্রমণ সম্পর্কে আমার মতো কেবলা হাকিমের দেওয়া ছবি [শুধুমাত্র জলপ্রপাতের আলাদা কোন ছবি না থাকায়, এই অধম আর তার গুণধর বন্ধুুর ছবিগুলোই আপনাদের হজম করতে হচ্ছ ] আর বর্ণনাগুলো পড়ে এই জলকণ্যাটি সম্পর্কে একটু ধারণা নিতে পারেন-
ছবি: জাফলং ২০১৫
ছবি: জাফলং ২০১৫
ছবি: জাফলং ২০১৫
ছবি: জাফলং ২০১৫
ছবি: জাফলং ২০১৫
ছবি: জাফলং ২০১৫
ছবি: জাফলং ২০১৫
যেভাবে যেতে হবে: জাফলং পর্যন্ত কিভাবে যেতে হবে, এই সম্পর্কে আশা করি সবাই ই জানেন, তাই ঐ বিষয়ে এলেম দিয়ে আপনাদের মন উনচান করানোর মতো রিস্ক না নেওয়াটাকেই অধিক নিরাপদ মনে করলাম । কিন্তু আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে রাখি, জাফলং যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই সোজা রাস্তা দিয়ে বাজার হয়ে নৌঘাটে নামেন, বাজারে পৌছার আগে ২/১ কি.মি রাস্তার যে অবস্থা, তা দেখলে স্বয়ং যোগাযোগ মন্ত্রীও প্রটোকল ভেঙে ছুড়ে পায়ে হেঁটেই রাজ পথের ধূলো উড়াতে উড়াতে.. নীল আকাশের নীচে রাস্তায় চলিতে বাধ্য হবেন ।যেকথায় ছিলাম, বাজারে পৌছানোর ৩/৪ কি.মি আগে জাফলং এর বিজিবি ক্যাম্প , বাসে আসলে ক্যম্পের সামনে নেমে যেতে পারেন আর গাড়ি নিয়ে আসলে ক্যাম্পের রাস্তা দিয়েই গাড়ি নিয়ে চলে যেতে পারেন সোজা জিরো পয়েন্টে । মেইন রোড থেকে জিরো পয়েন্টে হেঁটে যেতে ৭/৮ মিনিট সময় লাগে, রাস্তাও অনেক ভালো ।জিরো পয়েন্টের দিকে নৌঘাটে নেমে, নৌকা করে চলে যাবেন সরাসরি জলপ্রপাতে, মাঝিকে বললেই হবে, ‘ও বা বাইসাব, খাসিয়া পুন্জির ওবায়দি ঝরণা দেখতাম’ কেল্লাফতে, আপনারে ঝর্ণা দেখা আর ঠেকায় কে !! নৌকা ভাড়া সাধারণত ২০০-৪০০ টাকার মধ্যে হয় । তবে বার্গেইনিং: দ্যা আর্ট থিওরী অ্যপ্লাই করে আমি আর আমার বন্ধু ২ জনে ১০০ টাকা দিয়ে ২ জন মাঝি সহকারে নৌকা রিজার্ভ করে ফেলেছিলাম ।এইবার জলপ্রপাতে নেমে চক্ষু যুগল স্বার্থক করার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আপনার…
আরো কিছু তথ্য: বৃষ্টির সময় জলপ্রপাত দিয়ে প্রচুর পানি প্রবাহিত হয়, ঐ সময় স্বাভাবিক সৌন্দর্যের চেয়ে জলপ্রপাতের সৌন্দর্য অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় ।শুষ্ক মৌসুমে জলপ্রপাতের পানি কম থাকে, তাই এখনই সুযোগ আছে যার, জলপ্রপাতে যাওয়ার তার শ্রেষ্ট সময় । খুব বেশি বৃষ্টিপাতের সময় দৃশ্যমান বড় বড় পাথরগুলোর উপরে না ওঠাই নিরাপদ এবং বুদ্ধিমানের কাজ । আর শখের বসে ওঠলে যেকোন সময় পটল তোলে ভবলীলা সাঙ্গ করার একটা উজ্জ্বল সম্ভাবনা আপনার হাতের নাগালেই থাকবে.. তাই ভাবিয়া করিবেন কাজ, করার পর ভাবার আর সুযোগ পাইবেন না ।
অনেক বকবাকানি করলাম ।কোন মন্তব্য থাকলে লিখতে পারেন ।পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৯