না না না, মানুষ যে যত যাই বলুক না কেন, কোন কিছুর অজুহাতেই আমাদের মা-বোনের উপর এহেন আচরণ মেনে নেয়া যায়না। সেক্সুয়াল ফ্রাস্টেটেড কিছু নপুংশক কাপুরুষের জন্য সমগ্র সমাজটাকে নোংরা হতে দেয়া যায়না। এ ঘটনাকে অগ্রাহ্য, অস্বীকার বা মিথ্যা জাস্টিফাই না করে আসল অপরাধীকে সনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত। যেখানে যেখানে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, শুনেছি তার আশেপাশে সিসিটিভি ছিল। আশা করি, তদন্তের মাধ্যমে দ্রুতই এর বিচার হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী'র বিচক্ষণ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আজ আমার বোন, মা কিংবা স্ত্রী'র সাথে যা হল, তার দায়ভার কার?
আমাদের নিজেদেরই।
ব্যর্থতা কার?
আমাদের নিজেদেরই।
আমরাই তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারিনি।
ঢাকা শহরে যাতায়াতে নারীদের নিরাপত্তা এমনিতেই হুমকির মুখে। পাবলিক বাসে তো চলাই যায়না। গত কয়েক মাসে এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কম আলোড়ন হয়নি!! (এ বিষয়ে আজ দৈনিক 'প্রথম আলো'র ৩ নং পাতায় তো এই সংশ্লিষ্ট ফিচার পড়ুন, যেখানে ব্র্যাকের প্রতিবেদনে গণপরিবহনে নারীর উপর নির্যাতনের চিত্র উঠে এসেছে।) কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ আশা করছি।
কষ্টের ব্যাপার হল, এসব ক্লিব লিঙ্গধারী পুরুষগুলো আমাদের মাঝেই আছে। আমি লজ্জা পাই, কেননা হানাদারের ভূমিকায় থাকি আমরাই। এই উপমহাদেশে বহু নৃপংশুক লোকের বাস, যারা এরকম কাজ প্রতিনিয়ত করছি। আর যারা করছি না, তারা আরো বেশি দায়ী, কেননা আমরা নিয়ত এসব কাজ করার প্রশ্রয় দিচ্ছি।
অথচ, এই আমরাই কোন না কোন বোনের ভাই, কারো প্রেমিক, কারো স্বামী, কারো পিতা, কারো বা পুত্র।
পুরুষত্বহীনতায় ভুগতে থাকা হীনমন্য এই নরপশুগুলোর জন্য আমার করুণা হয়।
আমি কষ্ট পাই, কেননা সেই পশুগুলো আমারই স্বজাতির।
আমার খারাপ লাগে, কেননা আমরা নারীর মর্যাদা দিতে ব্যর্থ।
আমি দুঃখিত, কেননা আমাদের মা-বোন-স্ত্রী আজ নষ্টদের অধিকারে যায়।
আমি ক্ষমাপ্রার্থী,
আমাদের মাফ করবেন।
ঐতিহাসিক ৭মার্চের এই দিন এভাবে কলঙ্কিত হতে দেয়া যায়না। ৭১ এ যেভাবে রব উঠেছিল, আজ ২০১৮তে এসেও সেভাবে রব উঠূক,
"এবারের সংগ্রাম হোক, আমাদের মা-বোনদের নিরাপত্তা দেয়ার সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম হোক, শহরে নিরাপদে নারীর চলাচলের অধীকার আদায়ের সংগ্রাম।"
০৭ ০৩ ১৮
পুনশ্চ : আগামীকাল আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০২