বাসায় অলরেডি ৯-১০টা বিড়াল আছে।
তার উপর কুরবানির জন্য আনা গরু আর খাসি এখন উঠানে।
আর তাঁর উপর আমার মত দুম্বা (!) তো ঘরে আছেই।
বাসাটা পুরাই ‘অ্যানিমেল ফার্ম’।
তবে এটাই ঈদ।।
বাতাসে গরু-গোবরের গন্ধ। ঢাকা শহরের রাস্তার পাশে খড়ের স্তূপ।
হই হই করতে করতে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় মানুষের জিজ্ঞাসা ‘ভাই, কত নিল?’
কাদা-গোবরে মাখামাখি বাজারের যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত স্পঞ্জ বা কেডস,
কিংবা আগের রাতে সবাইকে ঈদের sms পাওয়া আর রিপ্লাই দেয়া,
ওয়ার্ডরোব বের করে আনা নতুন কাপড়ের সুগন্ধ,
রাতের বেলা রান্নাঘর থেকে ভেসে আসা মশলা বাটার ঘ্রাণ আর শোরগোল...
আতর মাখা গন্ধে ভরা ঈদগাহ মাঠ আর অতিরিক্ত তাকবিরের সময় ভুল করার লজ্জা বা না করে ভিতরে ভিতরে খুশি হওয়া...
কিংবা ইরিটেটিং হলেও ফেসবুকে মানুষের গরু নিয়ে ছবি আপলোড অথবা ‘ঈদ মোবারক’ লেখা ছবিতে ট্যাগ মারা... (মাঝে মাঝে ইরিটেট হতেও ভাল্লাগে )
এসবই ভালো।
সবকিছুই ভালো।
তবে এত ভালোর মাঝে একটা ব্যাপার ভুলে গেলে চলবে না। কুরবানীর পশু কিন্তু একটা প্রতীক মাত্র। এই পশুর সাথে আমাদের অন্তরের পশুত্ব যেন কাল কুরবানী দিতে পারি- এই প্রত্যাশাই রাখি।
সবাইকে ‘ঈদ মোবারক’