আবার যদি চাই তোমাকে এই অবেলায়,
আকাশের মনে হবে গুঞ্জন।
অথচ বাতাসের বুকে জমে উঠবে
বিন্দু বিন্দু ঘাম।
তুমি জন্ম-জন্মান্তর এক জাতিস্মর মেঘ
আর আমি আসমুদ্রহিমাচল চোখ।
মগজে ঘুন-পোকা নিয়ে অতিক্রম করতে চেয়েছি বিচ্ছেদের নদী।
হায়! আমার নিয়তি,দূরত্ব কখনো ঘুচাতে পারে না সবুজ বনভূমি!
মাছধ্যানে নিমগ্ন বকের মতো
কালের স্রোত গেছে বয়ে।
সন্ধ্যার বিষন্ন বাতাসে পাখা মেলে দেখি
সূর্য ডুবে যাচ্ছে আটলান্টিকের জলে।
পাখার ঝাপটায় ঝরে পড়ে অন্ধ জীবনের স্মৃতি।
মেঘের অধিক বৃষ্টির কথা কে আর জানে!
জাতিস্মর মেঘ তোমার পালকে আমাকে নিও,
জন্মের সাধ তোমার রক্তের স্পন্দনে
ভাসাবো আমার স্বপ্নঘুম!
পৃথিবী জুড়ে এত জল তবুও ঐ একখণ্ড মেঘছায়া বাতাসের ব্যথার আশ্রয়।
শিশুর হাসি-কান্নার মতো এক সহজাত প্রবৃত্তি
তোমার মুখ আমার জন্মান্তরে রয়ে যাবে অমলিন।