...এমন কিছু পদক্ষেপ নেয়া হতঃ
১। হরতালের আগের দিন (হরতাল eve) সন্ধ্যার আগেই রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েন করা। ৮-১০ জনের ছোট ছোট গ্রুপ করে বিভিন্ন মোড়ে এবং প্রধান সড়কে সতর্ক অবস্থানে রাখা যেন গাড়ি ভাংচুর বা পোড়ানোর কোন সুযোগ হরতাল সমর্থকরা না পায়। বা যদি ২-১টা ভেঙ্গে ফেলেও, হাত থেকে যেন ফস্কে যেতে না পারে। ৩টা নগদ গদাম দিয়ে তারপর অন্য কথা। আর Tom & Jerry খেলার জন্য তো পুলিশ আছেই!
২। হরতালের দিন সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্ন চলাফেরা নিশ্চিত করতে সারাদেশে প্রতিটি এলাকায় (বা মহল্লার কেন্দ্রস্থলে) পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রাখা। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে একটু বেশি সতর্ক থাকা।
৩। হরতালে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার অন্যতম একটা উপায় হল যানবাহন চলাচল নিরাপদ রাখা। এটা শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক নয়, আন্তঃ জেলা মহাসড়কগুলোতেও পুলিশ, র্যাব, বিজিবি'র অবস্থান বাঞ্ছনীয়। দূরপাল্লার যানবাহনগুলো যদি নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, মনেই হবে না দেশে হরতাল ডাকা হয়েছে। সারাদেশের বিভিন্ন পরিবহণ সমিতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পারস্পারিক সহযোগিতা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।
এই কাজটা করা গেলে হয়ত আরেকটু ভাল হতে পারত
দূরপাল্লার গাড়িগুলোতে (বিশেষ করে বাসে) অন্ততঃ একজন বা দু'জন সশস্ত্র পুলিশ সদস্যকে নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা। সরকারীভাবেই তাদের বাস ভাড়ার ব্যবস্থা করা হোক। যদি কোন কারণে কোন এলাকার পুলিশ সদস্যদের লম্বা দুরত্বে পাঠানো সম্ভব না-ও হয়, সেক্ষেত্রে দুরত্ব নির্দিষ্ট করে দেয়া এবং তারপর সেই এলাকার থানা থেকে অন্য দু'জন পুলিশ সদস্যকে পরবর্তী 'পুলিশ স্টপেজের' জন্য বাসে উঠিয়ে দেয়া।
এর ফলে ফায়দা যেটা হতে পারত যে, পিকেটাররা গাড়ি ভাঙ্গার জন্য বীর বিক্রমে কাছে আসার আগেই দেখত গাড়ির সামনে মূর্তিমান দুই যমদূত দাঁড়িয়ে আছে।
রাস্তা ফাঁকা করার জন্য ৪-৫টা ফাঁকা গুলিই যথেষ্ট হওয়ার কথা। না হলে হাঁটু সই!
----------------- ----------------- ----------------- ------------------
যেটুকু সময় নিয়ে এই পরামর্শ বচন লিখলাম, আমি ধরেই নিচ্ছি সেটা নষ্টের ঝুড়িতে যাবে। কারণ সাধারণ ভুক্তভোগী মানুষের অনুরোধ বা পরামর্শ শোনার মত আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা আমাদের শাসক/প্রশাসকদের মধ্যে দেখাই যায় না। তেনারা তেনাদের মত, আমরা আমাদের মত। এভাবেই চলছে, এভাবেই চলবে......!!