আকাশ জুড়ে মেঘেদের রণ মহড়া সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই
দলবেঁধে কোন এক অনিঃশেষ যাত্রার সাময়িক বিরতি
ছাদে উঠবো না বলেও, দিন শেষে ছাদের ঘাস
পায়ের নীচে কিলবিল করে স্পর্শের আঁচড়
আমার খুব মনে পড়ে
একটা ধারালো কাটা কাটা অনুভূতি
হাড়ের খুব কাছে এসে শ্রেফ জানান দেয়, সে আছে
শক্ত চামড়ার আবরণে দূর্বল মাংসের গন্ধ
আর তখনি, ঈষাণ কোণ থেকে দুড়মুড় করে
তেড়ে আসা বাতাস
রক্ত গঙ্গার সবগুলো ইশারা বুকে চেপে
কানের কাছে ফিসফিস
পুরুষ বলে, বলা যাচ্ছে না সরাসরি
উড়িয়ে নিয়ে যাও আমার সমস্ত আব্রু
থকথকে কাদার মত আধো জমাট আবেগ
শুকায় না কখনো
নারী, তুমি জানোনা কিসের আঁচলে জড়ানো রয়েছি
তুমি জানলেনা কখনো, তরুণাস্থীতে কিসের বান
সেদ্ধ মাংসের বুনোট কেবল নয়
তারও ভেতরে, তারও গভীরে এক অনিবার্য অন্ধকার
বেআব্রু সড়কে টানটান শুইয়ে দিয়ে
লোমওঠা কুকুরের ত্বক নিয়ে
করে চলেছি লালার অভিনয়
একটা দাঁতাল দানবের প্রদর্শনী মাত্র
যদি জানতে, কতটা বেআব্রু আমি
ঘষে ঘষে তুলে ফেলা পলেস্তারার দেয়াল
তখন তোমার আত্মবিশ্বাস হোত
তখন তোমার নিরাপত্তা হোত
তখন কি তুমি কাছে আসতে?
একটু কি দেখতে আমার রক্তের রং
এই দ্যাখো তোমারি মতোন
কালো চামড়ার নীচে হেমোগ্লবিন
তখন কি তুমি একটু ঘুরে দাঁড়াতে
তোমার আঁচল থেকে দিতে একফালি মসলিন
আমার শরীর নয়
আমার বিদঘুটে হৃৎপিন্ডটা নাঙ্গা হয়ে আছে
বহুকাল ধরে
কোন অলৌকিক ভালোবাসা নয়
একটা আদিম অন্ধকারের ভয়ে
ক্রমশ সঙ্কুচিত আর সংক্রমণের আতংকে
নিজেকে তুমিও ঈশ্বর ভেবেছিলে
যেমনটা ভাবে আর সবাই
তোমার সকল সঙ্গীরা
তোমার সকল আস্থাভাজনেরা
তা না হলে তুমি দিতে পারতে এক টুকরো মসলিন
আমি সেটুকু জড়িয়ে খানিকটা আব্রু পেতাম।
শরৎ চৌধুরী, ২০শে জুলাই, ২০১৪; পল্লবী, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৬