বিশাল এক প্রাচীন মসজিদ।মসজিদ বাড়ির সামনে বিশাল উঠান, শ্যাওলা ধরা ইঁটের দেয়াল দিয়ে চারদিক ঘেরা। গভীর রাত, কিন্তু অমানিশা নয়।
মসজিদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে সরু গলির দুরত্বে ভাগ করা প্রাচীন এক মৃতনগরী।
গলির দু ধারে বাড়ি গুলো নকশা কাটা, কাঠের বারান্দায় নিপুণ হাতের জাফরির কাজ; লাল ইঁটের, স্তব্ধ, নিশ্চুপ।
চির রাত্রির জগতে বাস এই নগরীর।
তবু আঁধার নেই, আর বাড়িগুলো লাল, ধূসর ইঁটের।
তীব্রতম কালো আকাশে অত্যুজ্জ্বল দীপ্তি নিয়ে জ্বলছে তারাগুলো।শ্বেততীব্র তারাগুচ্ছ, কিন্তু তাদের আলো অশরীরী নীল।ক্ষুরের ফলার মত নেমে এসেছে সেই আলো। প্রতিটি তারার প্রতিনিধি-প্রতিচ্ছবি সৃষ্টি হয়েছে কালচে নীল রাস্তায়।
প্রতিটি তারার আলোকধারা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায়।
কালচে ইস্পাত নীল আলোয় ভেসে যাচ্ছে মৃতনগরী আর সুদীর্ঘ ছায়া পড়ছে মসজিদের পাথুরে থামগুলোর। আঁধার ছায়ায় ঘেরা মসজিদ আর মৃতনগরী……
মসজিদের থামগুলোর ফাঁকে ফাঁকে, আঁধার কোণে কোণে, হঠাৎ হঠাৎ নড়ে ওঠে এক একটা ছায়া-শরীর। ওরা ধোঁয়ার মত হালকা; গন্ধকের গন্ধ মাখা অস্তিত্ব। ওরা আঁধারের সন্তান, আঁধারেই ঘুরে বেড়ায়, নিস্তব্ধতার সঙ্গীতে।
তারকারশ্মির ফাঁকে ফাঁকে চকিতে ছিটকে যায় ওরা। দৈবাৎ আলোকধারায় ফসকে পড়ে গেলে মুহূর্তে নিরাকার, নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ে, নিস্তব্ধে।
কারন এ নিশুত নগরী! এখানে তারার আলোক বর্ষা ঝড়ে প্রতিনিয়ত!