আকাশে মেঘের ঘনঘটা শুনতে পেয়ে হোটেল রুমের জানালাটা খুলতেই একগাদা জলীয়বাষ্প রুমে ঢুকে গেল । বাইরে তাকাতেই অদ্ভুত এক দৃশ্য চোখে পরল, সামনের রাস্তাটা পুরোপুরি মেঘে ঢেকে গেছে, গাড়ির আলোয় মনে হচ্ছে কুয়াশার চাদর, বাতাসে যে চাদর আবার উড়ছে । আবার কিছুক্ষনের মাঝেই এ চাদর উড়ে চলে, শুরু হল বৃষ্টি ।
সিলেটের তামাবিল সীমান্ত অতিক্রম করে ২০ কিলোমিটারের মত সামনে গেলেই আবহাওয়ার পরিবর্তন চোখে পরার মতন । বাংলাদেশে বইতে থাকা তীব্র গরম আর ঘামে ভেজা শরীরে হঠাত করে পরশ বুলানো শুরু করবে ঠান্ডা হিমেল বাতাস। দুপাশের মনোরম পাহাড়ি ভ্যালী তাতে যোগ করবে ভিন্ন মাত্রা । আরো কিছুদূর এগিয়ে যেতেই খেয়াল করবেন সামনের কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। মনে হবে গাড়ি কোন অচেনা টানেলের ভিতর ঢুকে পরছে । মেঘমালা আসলে এমন ভাবে রাস্তা অতিক্রম করবে ইচ্ছা হবে দাঁড়িয়ে তার আগে চলে যাওয়া দেখি । এমন ইচ্ছায় সাড়া দিয়ে বেশ কয়েকবার আমরাও দাঁড়িয়ে পড়লাম মেঘের তথা জলীয় বাষ্পের অবগাহনে নিজেদের রাঙাতে । সাথে দুপাশের মন মাতানো দৃশ্যাবলীতো আছেই ।
ট্যুর শুরুর কয়েকদিন আগে থেকেই ছেলেকে বলছিলাম বাবা আমরা কিন্তু শিলং যাব, তুমি ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করে শক্তি বাড়িয়ে নাও । সে জানতে চাইল শিলং কি । বললাম শিলং হচ্ছে মেঘের দেশ, মানে ওখানে মেঘ থাকে । তার উতসাহের শেষ নেই, মেঘের দেশে যাবে এই ভাবনায় । শিলং গিয়ে মনে হল এটা আসলেই মেঘের দেশ, যদিও আমরা বৃষ্টি শুরু হবার বেশ আগেই সেখানে গিয়েছি । রাজ্যের নাম মেঘালয় রাখা আসলেই স্বার্থক, এটা যে মেঘেরই আলয় , এখানে কেবল মেঘ ই ঘুরে বেড়ায়, সব কিছু নিজের মনে করে ।
বর্ডার ক্রস করে শিলং প্রায় আড়াই ঘন্টার পথ । রাতে জার্নি করে সকালে তামাবিল, অপেক্ষার পালা শেষে যখন ইমিগ্রেশন শেষ হল তখন প্রায় এগারটা বাজে । সোজা শিলং চলে গেলে ঐ দিনটা আসলে আর তেমন কোন কাজে লাগবেনা, তাই একটু কস্ট করে হলেও আমরা বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দিন শেষে শিলং যাবার প্ল্যান করলাম ।
বর্ডার পার হবার পর সামান্য পথ পাড়ি দেবার পরই এসে হাজির হবে জাফলং থেকে নিত্য দেখতে পাওয়া সেই লোহার ব্রীজটি । এতদিন এপাড় থেকে দেখা ব্রীজটির উপর দাঁড়িয়ে এপার দেখার অনুভূতিটাও অন্যরকম । ভীনদেশ থেকে নিজের দেশ দেখার মাঝে অন্যরকম একটা ব্যাপার কাজ করে । কিছুটা মন খারাপ করা ব্যাপার ও ঘটবে, যখন দেখবেন জাফলং এখন আসলে একটা ধূ ধূ প্রান্তর ছাড়া আর কিছু না । সেই পাথুরে সৌন্দর্য কবেই আমরা বিলুপ্ত করে ফেলেছি , পরে আছে কেবল বালি ।
আরো কিছুদূর এগিয়ে যাবার পর আচমকা পরপর দুটো ঝর্ণা এসে হাজির হবে চোখের সামনে । সেকি গর্জন করে ছুটে চলে ঝর্ণা , এমন ঝর্ণা দেখেই আসলে কবিতা লিখে ফেলা যায়- ঝর্ণা ঝর্ণা , চঞ্চল ঝর্ণা [পাঠ্য বইয়ে পড়া সেই কবিতা, এখন আর মনে নাই ] !!! এমন ঝর্ণার পাশে না থেমে উপায় নেই, দশ জনের দল, সবাই মিলে চলল ফটো সেশন।
সেখান থেকে আঁকা বাকা - উঁচু নিচু পাহাড়ি পথ বেয়ে আমরা পৌঁছে গেলাম মাওলিনং এ । যাবার পথে বিভিন্ন পয়েন্টে বাংলাদেশের ভূখন্ড দেখা গেলে সবাই সমস্বরে চিতকার ঐ যে বাংলাদেশ দেখা যায় ! মাওলিনং এশিয়ার সবচেয়ে পরিষ্কার গ্রাম হিসেবে স্বীকৃত , সাইনবোর্ডে তাই লেখা রয়েছে, যদিও পরে পরো শিলংকেই আমার কাছে অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মনে হয়েছে । মাওলিনং এর পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন করার কোন সুযোগ নেই । সাজানো গোছানো গ্রাম, শান্ত মনোরম, সেই সাথে ট্যুরিস্টে ভরপুর । সেইখানেই আমরা দুপুরের খাবার সেরে নিলাম । মাছ-ভাত, মুরগী-ভাত -আমাদের মত একই রকম খবার দাবার । স্বাদ ও একই রকম । শিলং এ বসবাসকারী লোকজন মূলত খাসিয়া সম্প্রদায় ভুক্ত, তাদের ভাষা হচ্ছে খাসি , আর খাসিয়া উপজাতির লোকজন এমনিতেই বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে ।
খাওয়াদাওয়া শেষে আমাদের গন্তব্য লিভিংরুট ব্রীজের দিকে, গাছের শিকড় গুলো নিজে থেকেই একে অন্যকে জড়িয়ে ব্রীজের আকার নিয়েছে , তার নিচ দিয়ে বয়ে গেছে পানির ঝিরি । তার কাছাকাছি রয়েছে গাছের উপর বাঁশ দিয়ে বানানো সিঁড়ি , মাথায় উঠে আকাশ দেখার ব্যবস্হা , সেখান থেকেও দেখা যায় আমার বাংলাদেশ । এরপর আমরা শিলং শহরের পথ ধরলাম । পথেই পরল বিখ্যাত এলিফ্যান্ট ফলস, যদিও হাতির মত যে পাথরের কারনে এই নাম সেটা এখন আর অবশিষ্ট নেই । তিন ধাপের এই ফলস, এখন পানি একেবারেই কম । শিলং আসার পথের রাস্তারা অপরুপ, পাহাড়ি ভ্যালির সেই সৌন্দর্য সব ক্লান্তি দূর করে দেয় ।
পাহাড়ের বুকে গড়ে উঠা শহর শিলং, প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড নামে পরিচিত ছিল একসময় । সন্ধ্যা হয় হয় এমন সময় আমরা শিলং শহরের উপকন্ঠে এসে উপস্হিত । অফিস ফেরত লোকজনের কারনে হালকা জ্যাম অতিক্রম করে আমরা পৌঁছে গেলাম পুলিশ বাজারস্হ হোটেলে , শহরের প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র । ছিমছাম হোটেল, এয়ারকন্ডিশনের প্রয়োজন নেই, তাই নাইও, এখানে প্রয়োজন গরম পানির সাপ্লাই এর । সন্ধ্যার পরপরই তাপমাত্রা কমতে শুরু করে, মাঝ রাত্রে যেটা কম্বল মোড়ানোর অবস্হায় পৌঁছে যায় । সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে এই শহর নয়টার মাঝেই ঘুমিয়ে পরে , আক্ষরিক অর্থেই যাকে বলে ঘুমিয়ে পড়া । নয়টা ছুঁই ছুঁই অবস্হায় বের হয়ে আমরা দেখলাম বেশীরভাগ খাবার হোটেই বন্ধ হয় হয় অবস্হা । কোনমতে একটায় ঢুকে ডিনার এর ব্যবস্হা করা গেল । রাত যখন দশটা পুলিশবাজারে তখন কোন দোকানই খোলা নেই, এমনকি কোন টং দোকানও নেই । একবোতল পানিও কেনার মত কোন দোকান দেখলামনা আমরা ।
লুচি আর সবজি দিয়ে সকালের নাস্তা সেরে আমাদের গন্তব্য উমিয়াম লেক । জলবিদ্যুতকেন্দ্রের কারনে এই লেকের গড়ে উঠা, আমাদের কাপ্তাই লেকের মতই । কাপ্তা্ই লেক যতটা বিশাল, এটা ততটা নয়, যদিও স্হানীয়দের কাছে এটা বাড়াপানি নামেই পরিচিত । শুকনা মৌসুম তাই পানিও অনেক কম ছিল, সেখানে বোটিং এর ব্যবস্হা আছে । শিলং ঘুরে সবখানে একটি কথায় বারবার বলতে হয় কত সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে এরা রেখেছে সবকিছু, কোথাও একটু ময়লা নেই । আরেকটা মজার জিনিস দেখলাম সব জায়গায় মানুষের সাথে সাথে ক্যামেরার জন্যও টিকেট কাটতে হয় । সময় কাটানো আড্ডা দেয়ার জন্য সুন্দর জায়গা । সেখান থেকে আমরা ছুটলাম শিলং পিক এর উদ্দেশ্যে । শিলং এর সবচেয়ে উঁচু জায়গা, সমুদ্রসমতল ঠেকে ৬৪৪৯ ফিট উঁচু যার উচ্চতা , পুরো শিলং শহরের প্যানারোমিক ভিউ দেখা যায় সেখান থেকে ।
দ্বিতীয়দিনের ঘুরাঘুরি এইখানেই শেষ, কারন রবিবার সেখানে সব মার্কেট বন্ধ থাকে, তাই সফরসঙ্গী রমনীদের শপিং এর সুযোগ দিতে হবে শনিবারের বিকালটতে । কেবলমাত্র মেয়েরাই পারে কোথাও যাবার আগে প্রস্তুতিমূলক শপিং করতে, আবার সেখানে গিয়েও শপিং করতে । আমার মনে হয় ফিরে আসার পরও শপিং করতে দিলে তাতেও তারা ক্লান্ত হবেনা । তবে শিলং এর একটা ভাল দিক হল এখানে শপিং করার জন্য খুব বেশী বৈচিত্র কিংবা কালেকশন খুঁজে পাওয়া যায়না ।
আমাদের পরবর্তী গন্তব্য চেরাপুঞ্জি , একসময়ের পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী বৃষ্টিবহুল স্হান হিসেবে যার পরিচয় ছিল যদিও বর্তমানে এটা মাওসিনরাম (শিলং এর ই একটা গ্রাম)এর দখলে । পাহাড়ি পথে আমরা ছুটে চলি, হঠাত সামনে এসে পড়ে মকডক ভ্যালি যেখানে জীপ লাইনিং এডভেনচার এর সুযোগ । একটা পাহাড়িভ্যালিতে এই আয়োজন । বুকে সাহস সঞ্চয় করে দঁড়ি বেঁধে ঝাপিয়ে পরলাম লোহার রশিতে ঝোলার জন্য । আমার চার বছরের ছেলের কান্না কোনমতেই থামাতে পারলমনা এটাতে চড়ার বাইনার জন্য । শেষমেষ সে ও সাহসী শিশুর সনদ পেয়ে গেল রশিতে ঝুলে পাহাড় পাড়ি দিয়ে । মনমাতানো চলতি পথ পাড়ি দিয়ে আমরা পৌঁছে যায় নোহকালিকাই ফলসের কাছে । দেখার জন্য সেখানে সুন্দর আয়োজন করে রাখা হয়েছে। এটি ভারতের বৃহত্তর জলপ্রপাতগুলোর মধ্যে একটি। উচ্চতায় ১১৭০ ফুট। নোহকালিকাই এর অর্থ যেখান থেকে ঝাঁপ দেয় লিকাই। কথিত মতবাড হচ্ছে লিকাই নামের এক মহিলা সন্তার হারাওর দুঃখে এই জলপ্রপাত এর উপর থেকে ঝাপ দিয়েছিল । যাই হউক সেটা অন্য ইতিহাস, ইতিহাস ভেবে মন খারাপ করে বসে থাকার মানে নেই । অসাধারন সেই পানির প্রপাতধরনীতল , বয়ে চলেছে সে অবিরাম, বৃষ্টিহীন বয়ে চলা দেখে বোঝা যায় মৌসুমে সে কি রুপ ধারন করে । মন্ত্রমুগ্ধের মত আমরা উপভোগ করলাম সে বয়ে চলা । বাতাসে ভেসে বেড়ানো জলকনা ছুয়ে যাবে সময় আপনাকে এই সময় । চশমাওয়ালাদের লেন্স ঘোলাটে হয়ে চোখ ঝাপসা হবে আর মনে পড়বে সন্তান হারানো সেই মায়ের ব্যাথা একটু হলেও, যতই ভুলে থাকার চেস্টা করুন না কেন ।
ঘুরতে গেলে মন খারাপ করে থাকা চলেনা, ঘোরাঘুরি মানেই হল সৌন্দর্য গিলে খাবার সময় । আর তাই আমরাও ছুটে চলি, মাঝখানে একটা থ্যাংখ্যারং পার্কে কিছু সময় কাটিয়ে আমরা পৌঁছে যায় সেভেন সিস্টার্স ফলসে । স্বরুপে তাকে দেখতে না পেয়ে কিছুটা মন খারাপ হলে সাত বোনের রুপের কোন কমতি নেই । চঞ্চল চপলা সাতবোন যে সুযোগ পেলে কেমন হরিণা গতিতে ছুটে চলতে পারে তা দেখেই বুঝা যায় । সাতবোনের গা বেয়ে বয়ে চলা পানির গন্তব্য আমাদেরই বাংলাদেশ, সামনেই দাঁড়িয়ে আছে জলমগ্ন বাংলা । চেরাপুঞ্জি যদিও কমলার জন্য বিখ্যাত , আমাদের কোন কমলার বাগানে যাবার সৌভাগ্য হয়নি ।
৪,২৬৭ ফুট উচ্চতার এই পাহাড়ি শহরে ঘুরতে ঘুরতে আমরা পৌঁছে যায় মাওসামি গুহায়, প্রায় ১৫০ মিটার লম্বা এ গুহার প্রবেশমুখটা বেশ প্রশস্ত হলেও ভেতরে প্রবেশের পর মাঝে মাঝেই মনে হবে উল্টো ফিরে যাব কিনা । কিছু কিছু জায়গায় এত সরু যে প্রায় শুয়ে পড়ার মত করে কাত হয়ে সামনে আগাতে হয় । গুহা ঠেকে বের হয়ে আমরা খাসিয়া আতিথ্য নিলাম , খাঁটি বাংগালির আহার মাছ-ভাত পেয়ে মন আরো ভাল হয়ে গেল ।
ফিরতে পথের পালা, গাড়ির খোলা জানালা দিয়ে মাঝে মাঝেই রাস্তা ঢেকে দেয়া মেঘ ধরতে ধরতে আমরা সামনে আগাতে থাকি । সোহরা, চেরাপুঞ্জির বর্তমান নাম, সেখানের এক চলতি পথের গ্রামের খাসিয়া অনুস্ঠানের আয়োজন দেখে আমরা নেমে পড়ি গাড়ি থেকে । সবুজ পাহাড়ের বুকে যেন রং লেগেছে , বর্ণিল পোশাকে খাসিয়ারা সবাই হাজির ।
আজ ফিরে না গেলেই কি নয়- পাহাড়ের এমন আকুতি উপেক্ষা করেই আমরা ফিরে চলি শিলং শহরের পানে । শহরের বুকে আমাদের ধানমন্ডী লেকের মতই একটা আয়োজন ওয়ার্ডস লেক, বোটিং করা যায় । অলস সন্ধ্যা সেখানে বসে বসে ভাবতে থাকি এই মনোরম পাহাড়ি স্নিগ্ধতা ছেড়ে আগামীকাল চলে যেতে হবে । নিজভূমে ফিরে আসার আকুতির কাছে এই ভাবনা মোটেই পাত্তা পায়না । ।
মেঘালয় ঘুরে সবচেয়ে ভাল লেগেছে এর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দেখে । নির্দিস্ট দুরুত্বে এভেইএবল পাবলিক টয়লেট, এত পরিষ্কার করে রাখা যে আপনার মনটাই ভাল হয়ে যাবে , এমনকি চেরাপুঞ্জি শহরে যাবার পথে পাহাড়ের চূড়ার টয়লেটেও হ্যান্ডওয়াশ এর উপস্হিতি । পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আসলে একটা কালচার, একে নিয়মিত চর্চার অংশ করতে না পারলে সুফল পাওয়া সম্ভব না ।
কিভাবে যাবেন- খরচ : মেঘালয় তথা শিলং যাবার পেছনে যেটা সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রেখেছে তা হল ই-টোকেনের ঝামেলা বিহীন ইন্ডিয়ান ভিসার ব্যবস্হা । শ্যামলী বাসের হেড অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আর টাকা জমা দিলে তারাই ভিসার ব্যবস্হা করে দেয় । প্রতি বৃহঃস্পতিবার রাতে কমলাপুর থেকে শ্যামলী বাস ছেড়ে যায় আর শিলং থেকে ফেরত নিয়ে আসে সোমবার সকালে । এর বেশী কেউ থাকতে চাইলে নিজ ব্যবস্হায় ফিরতে হবে ।
গ্রুপ ছাড়া এই ধরনের জার্নি করে ঘুরে ঘুরে দেখার ট্যুরে আসলে মজা পাওয়া যাবেনা, খরচ ও সাশ্রয়ী হবেনা । চার কিংবা আটজনের দল হলে ঘুরেও মজা , খরচ ও কম । সবমিলিয়ে ১২-১৫ হাজার টাকার মধ্যেই এই ট্যুর করে আসা যায় ।
নিজের দেশের অপরুপ সৌন্দর্য যারা অলরেডী দেখে ফেলেছেন তারা চাইলে সহজেই ঘুরে আসতে পারেন মেঘের দেশ থেকে, পাহাড়ি ভ্যালিতে দাঁড়িয়ে মেঘ ছুয়ে দেখার অনন্দ ও অন্যরকম ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬