বীরশ্রষ্ঠ রুহুল আমিন কে মনে আছে ?
জি ঠিক ই দেখেছেন । আমি সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ একজনের কথা বলছি ।
আসুন আগে একটা খবর পড়ি । খবরটা যদিও পুরানো তবুও পড়ি । ২০০৯ সালের ১৬ ডিসেম্বরের একটা খবর ।
আসেন আগে খবরটা পড়ি
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলের জীবন কাটে চায়ের দোকানের পানি টেনে
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছোট ছেলে শওকত আলী পাটোয়ারী। বাবা বীরশ্রেষ্ঠ হলেও নিজে যেন হেরে যাচ্ছেন জীবনযুদ্ধে। দারিদ্র্র্যের সঙ্গে লড়াই করে স্ত্রী ও একমাত্র শিশুকন্যাকে নিয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছেন শওকত। কখনো করাত কলে গাছ টেনে কখনো বা চায়ের দোকানের পানি টেনে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বাগপাচড়া গ্রামে ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন। তাঁর দুই ছেলে তিন মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে মো. বাহার প্রায় ১৪ বছর আগে মারা যান। তিন মেয়ে বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছেন। ছোট ছেলে শওকত। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন যখন শহীদ হন, তখন শওকতের বয়স দুই বছর। বর্তমানে ৪০ বছর বয়সী শওকত তাঁর বাবার ভিটেতেই আছেন। স্ত্রী রাবেয়া আক্তার (৩০) ও মেয়ে বৃষ্টিকে (৭) নিয়ে শওকতের সংসার। শওকত জানান, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালান। তিনি বলেন, ‘বাবা বীরদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন—সেই গর্বে সব দুঃখ, কষ্ট ভুলে থাকি।’ অর্থকষ্টের কারণে মংলা বন্দরে গিয়ে বাবার সমাধিটিও দেখার সৌভাগ্য হয়নি বলেই কেঁদে ফেলেন শওকত।
শওকতের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘এ ঈদেও নিজেরা কোরবান দিতে পারিনি। পাড়ার লোকজন যখন দুই-তিন টুকরা গোসত হাতে করে দিয়ে যান তখন কষ্টে বুক ফেটে যায়।’ তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি সাহায্যও সেভাবে তাঁদের কাছে পৌঁছে না।
Click This Link
কারো কি মনে আছে এই কথা ?
যে দেশের বীরশ্রেষ্ঠের ছেলে চা বিক্রি করে খায় সেই দেশে মুক্তি যোদ্ধার চেতনা নিয়ে সবাই বড় বড় লেকচার মারে ।
এই হল তোমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখানো ।
একটু মুখ খারাপ করতে ইচ্ছা করতেছে কিন্তু রোজার মাস বলে খারাপ করলাম না ।
করতে থাক ব্যবসা চেতনা নিয়ে ....... চেতনার দালাল ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৫