‘পেটে তখন পোলা আছিল। বাড়িতে আমরা ১৮জন বউ-ঝি ছিলাম। রাজাকার-পাক বাহিনীরা আইয়া সবাইরে ঘরের মধ্যে নিয়া গেল। সবাইরে মারধর করলো, আর আমারে ধইরা নিয়া গেল। বোঝা গেল, স্মৃতি অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বলে চলেন, শ্বশুর দৌঁড়াইয়া গেছিলেন জামায়াতে ইসলামির নেতার বাড়িতে। নেতার পা ধইরা কইছিলেন, ভাই, আমার বউটারে ছাড়াইয়া আনেন। নেতা আনে নাই। তারপর আমার পেটের বাচ্চাডা মইরা গেল। হেই থাইক্যাই আমার সব আউলা হইয়া গেল’।
গত ৪২টি বছর ধরে মমতাজ বেগম ফিস্টুলার মতোন মরণ যন্ত্রণা সহ্য করে চলেছেন। ডায়রিয়া হলে পুরো বাড়িঘর ছেয়ে যায়, গন্ধের কারণে কেউ পাশে থাকে না। মেয়ে মাঝে-মধ্যে এসে সেবা করে যায়। তার কথা, ‘মা-তো, তারে ফালাইয়া দিতে তো পারি না’
পেটে একটা বাড়তি থলে নিয়ে কাটিয়ে দিলেন জীবনের ৩৮টি বছর। এই থলে দিয়ে প্রতিনিয়ত পায়খানা বের হয়। গত ২৯ জুন ভয়াবহ ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হন সোহরাউয়ার্দী হাসপাতালে। আছেন ৮ নং ওয়ার্ডের ২১ নম্বর বেডে।
http://womenchapter.com/views/1565
হায়রে আজিব আমাদের এই দেশ । আজিব আমাদের সরকার ব্যবস্থ্যা । একজন মুক্তিযোদ্ধা রিক্সা চালিয়ে জীবন চালায় । একজন মুক্টিযোদ্ধা বাদাম বিক্রি করে সংসার চালায় । একজন বীরাঙ্গনা পয়সার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারে না । আর সরকার বলে সে মুক্তিযোদ্ধার চেতানয় বিশ্বাসী । সরকার বলে সে মুক্তিযোদ্ধার পক্ষের শক্তি ।
সবচেয়ে কষ্ট লাগে তখন যখন দেখি একজন মুক্তিযোদ্ধা না খেতে পেরে কষ্ট করে, রিক্সা চালায়, বাদাম বিক্রি করে আর সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিদের কে চাকরী দিয়ে বেড়ায় ?
তারমানে কি দাড়ালো যারা এই দেশের জন্য কষ্ট করলো তাদের কোন কদর নাই ।
কদর কাদের ? যাদের সার্টিফিকেইট আছে তাদের নাতনীদের ।
এই সহজ প্রশ্নের জবাবটা কে দিবে ???
ভয়ে আছি এই লেখা পড়ে কেউ না আবার আমাকে রাজাকার বলে । ইদানিং সরকারে সমালোচনা করলেই তো হয় ছাগু না হয় রাজাকার ট্যাগ খাইতে হয় ।