প্রকৃত পক্ষে আমরা প্রেম বা মানব প্রেম বলতে যা বুঝি তা হল মনের ভাব।
তরুন তরুনীর মদ্ধে মনের এই ভাব কে আমরা প্রেম বলে থাকি। আসলে ব্যাপারটি তা নয়। এটা মানুষের একটা স্বাভাবিক প্রকৃয়া। এটা মুলত মানুষের জৈবিক একটা ধর্ম।এ ব্যাপারটাকে আমরা সবসময় নানাভাবে বিশ্লেষন করেছি এবং বারাবারির পর্যায়ে নিয়ে গেছি। কবি , সাহিত্তিক, গায়ক, গায়িকা, নায়ক, নায়িকা, চিত্রকার ইত্তাদি নানা মানুষ এই প্রেম নিয়ে অনেক মাতামাতি করছে।নাচ , গান , কবিতা, ছবি, নাটক এসব তাদেরই বানানো জিনিস।
আমার ধারনা, বাস্তবিক ভাবেই আমি বলতে চাই প্রেম বলতে আসলে কিছুই নেই। আসলে মানুষের মদ্ধে একটি আকর্ষন দিয়ে দেয়া হয়েছে। নর এবং নারী অর্থাৎ পুরুষ এবং মহিলাদের মদ্ধে একটি বায্যিক আকর্ষন রয়েছে যাকে আমরা প্রেম বলি। এই আকর্ষন আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের তৈরী করে দিয়েছেন। যাতে করে জগতের সৃষ্টি বজায় থাকে। নারী এবং পুরুষের মিলনের মাধ্যমেই জগতের সৃষ্টি বজায় থাকে।
সত্তি কথা বলতে, এই আকর্ষন সকল জীবের প্রতি বিদ্যমান রয়েছে। তা না হলে সৃষ্টির কোন সৃষ্টিশীলতা বজায় থাকত না। একটি উদাহরন দিচ্ছি--
"আশ্বিন ও কার্তিক মাসে দেখা যায় স্ত্রী কুকুর এবং পুরুষ কুকুর একে অন্নের প্রতি আকর্ষন বোধ করে। স্ত্রী কুকুর, পুরুষ কুকুেররে সাথে মীলনের জন্য প্রবল আকর্ষনী অবস্থায় থাকে।" এটাকে কী আমরা প্রেম বলব? না। এটাকে আমরা প্রেম বলবনা।
এই উদাহরন সকল জীবের প্রতি দেয়া যায়। তাদের একটি নির্দিষ্ট সময় অথবা কাল থাকে। তবে মানুষের মদ্ধে পার্থক্য একটাই "মানুষ অভিনয় যানে এবং অন্যন্ন জীব অভিনয় যানে না"।
যদি কোন ছেলে অথবা কোন মেয়ে, কোনদিন প্রেমে পরে তাহলে দেখা যাবে ঐ প্রেমের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সেই েছলে অথবা মেয়ে। এই আকর্ষনের মূল কেন্দ্রবিন্দু তারাই। অথাৎ ঐ ছেলে বা মেয়ে।
আমরা জানি, সকল মানুষ তথা জীবের ধংস অনিবার্য। একসময় কোন কিছুই থাকবেনা । না থাকবে মানুষ না থাকবে তার দেহ। এই প্রেম নামক দৈহিক আকর্ষন যেহেতু মানুষের দেহ দিয়ে প্রবাহিত হয় সেহেতু তারও কোন অস্তিত্ত থাকবেনা।একসময় যেহেতু কিছুই থাকবেনা তখন প্রেম বলতে কোন কিছুই থাকবেনা।
বিদ্রঃ আমার এই লেখার সাথে একমত হওয়া পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।