আমার হয়ত কেউ ছিলো না,
দূঃখ ভোলার পানকৌড়িও না!
কবিতা লেখার বিশদ যে চারুখাতা,
তা ও না!
যে একজন প্রতিনিয়ত হৃদয় জুড়ে ফেলে গেছে কোমল চরন!
হয়তোবা,
অন্য গ্রহের আকাশ জুড়ে তার বিচরন!
আমি যার স্বপ্ন পুরুষ হতে চেয়েছি,
হতে চেয়েছি দিবা রাত্রির সঙ্গম পুরুষ!
কেউ হয়ত অনেক আগেই,
খুব নীরবে,
সেই তল্লাটে হয়ে আছে প্রবাদ পুরুষ।
আমি হয়ত খুব নীরবে,
সন্তপনে,
একলা একা ভেসেই গেছি ভালো।
আমি হয়তো গহীনতর অন্ধকারে,
ভুল করে হোক কিংবা
সঠিক!
ভেবেই নিয়েছি তিমির রাতের আলো।
আমার হয়ত ভুল হয়েছে!
অনেক কথায় খুন হয়েছে!
অনেক ভাবে,
খুব করে,
সব অপরাধ দায় নিয়ে,
নত হয়েছি বুক খুলে।
আমি হয়ত ভূল করেছি,
আমি হয়ত ভুল করি।
একটুখানি অবসরে মানসপটে ফিরে এলেই,
চোখের নদীর বাধ খুলে দেই!
জলেরা সব আপন মনে,
পরাজয়ের বান হয়ে,
চিবুক হয়ে হাতের কনুই,
গড়িয়ে পড়ে পায়ের তালুয়!
সকাল দুপুর রাত্রি বিকেল না মেনে,
শুকনো মাটির বুক সর্বদা যায় ভিজিয়ে!
আমার হয়ত কেউ ছিলো না!
আকাশ ভরা নীল ছিলো না!
নদীর বুকে ঢেউ ছিলো না!
কেউ ছিলো না!
আমার হয়ত কেউ ছিলো না।
আমি হয়ত স্বপ্ন দেখি!
আলোক ভেবে চোখে মাখি!
আমার ভেবেই জুড়াই আখি!
দূঃখ নদী পাড়ি দেয়ার নাও ভাবি!
বাকিটা জীবন কাটিয়ে দেয়ার
হেসে খেলে বাকি জীবনের সঙ্গী ভাবি!
আমি হয়ত ভুল করি।
অনেক বেশী ভুল করি!
ছবি: সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২