তনু আমার বোন না । কোন কালে ছিলও না আর এখনও না । নারীকে কি শুধু মা-বোন নামক এই দুইটাই চরিত্রেই সম্মান করা যায় ? যেকোনো নারীকে মা বোন ভাবার প্রথা আসলে নারীর সম্মানার্থে আবির্ভূত হয়নি বরং তা পুরুষের কামুক ক্ষুদা সাময়িক নিভৃত কারার জন্যে হয়েছে । সম্মানার্থে যদি নারীকে মা বোন ভেবে নিতে হয় তবে অপরিচিত পুরুষকে সম্মান করার জন্যে বাপ- ভাই হিসাবে বিবেচনা করতে হবে ? আসলে মা- বোন ধরে নেয়াটা সমস্যার সমাধান না বরং সমস্যাটাকে ধামাচাপা দেয়া । ধর্ষণের পর প্রতিটি নারীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার সাথে সাথে বাঙালি পুরুষের কামুকভাব নিভৃত হয়ে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয় । যে গুটি কয়েক বিষয়টা উপলব্ধি করে তাদের বিষয়টা আলাদা, কিন্তু অধিকাংশের কাছে জিজ্ঞাস করতে ইচ্ছা করতে ইচ্ছা করে ধর্ষণকে যে আসলে আপনি ধর্ষণকে কি মাত্রার অপরাধ হিসাবে মনে করেন এবং কেন ? ধর্ষক শাস্তি দিলেও এদেশে ধর্ষণের সংখ্যা কমবে না । প্রতিদিন ধর্ষণের খবর আসছে , খবর না আসলেও ধর্ষণ হচ্ছেই , বেড়েই চলেছে ধর্ষণ, ধর্ষণ হচ্ছে ঘরে বাইরে, শিশুরা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে । আমাদের বর্তমান অবস্থা হল এমন যে, ধর্ষণের খবরটার সাথে ভিডিও থাকতো না উফফফ...। আসলে কতজনের বিচার চাইব ?? খবরে প্রকাশ হয়েছে বলে বিচার চাইছি কিন্তু প্রকাশ না হউয়া হাজার ধর্ষণের বিচার কে চাইবে ?? ধর্ষক মানসিকাতা ধারন করা প্রতিটি পুরুষের মানস জগতকে কে সংসধন করবে ? সমাজের এই চরম অবক্ষয়ের মুহূর্তে বাঙ্গালির যৌনাচরন, তার মন জগতের যৌনাকাঙ্খা নিয়ে খুব বেশিই গবেষণা করা প্রয়োজন, প্রয়োজন সুস্থ যৌন শিক্ষা । অন্যথায় এ সমাজ এই সংস্কৃতি গণ্ডায় গণ্ডায় আরও ধর্ষক তৈরি করবে। নারীকে কম পোশাকে দেখলেই তার উপর ঝাপিয়ে পরে যারা নারীকে শালীনতা শেখাতে চান আর যারা উচিৎ শিক্ষা বলে চিল্লান যুক্তি দেখান তাদের সবাইকে নিয়ে ধর্ষক নিরাময় কেন্দ্র গড়ে তোলা উচিৎ ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৯