দেশের বাউল শ্রেনীরা বর্তমানে কি অবস্থায় আছে, মোল্লাতন্ত্রের ভিড়ে সারভাইভ কঠিন হয়ে যাচ্ছে ; পূর্বের লালন,শাহ আবদুল করিম গণ যা লিখে সুর দিয়ে গেছে,ঐগুলোই কি নেড়ে চেড়ে দেখা হচ্ছে নাকি নিজেরা কিছু লেখার চেষ্টা করছে। নিজেরা নিজের সৃষ্টিশীলতা দিয়ে চেষ্টা করলেও লাভ মনে হয় হচ্ছে না।মাদক নিয়ে ঘোরেই জীবন যৌবন কাটছে; তৎকালীন লালনের বিরুদ্ধে মোল্লারা উঠেপড়ে লেগেছিলো। এখনকার বাউলরা তখনকার লালনের মত শিক্ষিত না হলেও, মোল্লাতন্ত্র শিক্ষিত হয়ে সমাজে সংন্কারে মন দিয়েছে। তাই হয়তো বাউল শ্রেনীতে আমলে নেয়ার কিছু নেই।
বাউলরা আজীবন গরীব ছিলো,এখনো আছে;নিজেদের গানের মাধ্যমে জীবনের মান খুজে বের করার চেষ্টায় অবিরত থাকতে পারে।বাউলদের কথায় গানে ফিলোসফিক্যাল কিছু আদৌ ছিলো কিনা বুঝা কঠিন, তবে দেশীয় দর্শন থেকে মধ্যপ্রাচ্যের রুমী,সাদীর দর্শন জনপ্রিয়। লালন শুধু শোনার জিনিস,ভেতরে পুষে রাখার মত আগ্রহ তেমন নেই,এমনকি বাউল কমিউনিটি ঠিকমত আচরণ করেনা। বাউলদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা আগে ঘটেছিলো,তবে লুট করে নিজের বাসায় নিয়ে যাবার মত কিছু পাওয়া যায়নি।ভবিষৎে মাজার এট্যাকের ভিড়ে বাউলদের বাড়ি ঘর এট্যাক হতে পারে। এগুলো সংস্কারের অংশ, কি বলেন?
"
ফকির দরবেশ অলি সাধু পান করে তার দু এক বিন্দু।
ধ্যান করে সে দীনবন্ধু।
ছেড়ে বিষয় বাসনা
(আয়) খেয়ে নে বেহেশতের সেই সরাবন তহুরা।
উপরের কয়েকটি বাক্যে কোনো মাহাত্ন্য খুজে পাবেন?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৭