১৯৯৯ সালে, আমরা যখন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাই, প্রথম সেমিস্টার পার হতে না হতেই তৎকালীন লীগ নেতা জগদীশ নিজের বাহিনীকে নিয়ে আমাদের ছাত্রাবাসে হামলা চালান। এতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে আমাদের ভার্সিটিতে সেশন জ্যাম শুরু হয়। এর আগে পর্যন্ত, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো যেখানে কোন সেশন জ্যাম ছিলো না। আমরা পরে অনশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে সক্ষম হই।
এর দুই/তিন বছর পরে, বিএনপি যখন ক্ষমতায়, তখন আবারো গোল বাঁধে। আমার এক বন্ধুকে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য তকমা দিয়ে ছাত্রদলের ছেলেরা ক্যাম্পাসের ছাত্র সংসদে মারধোর করে ও আটকে রাখে। আমি তাকে ছুটিয়ে নিয়ে আসি। কিন্তু, এই হামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন ভিসি অফিস ঘেরাও করে, তখন, ছাত্রদল মিলিত ভাবে আমাদের উপরে আক্রমণ করে বসে। তখন, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকে আহত হয়।
আমরা থাকাবস্থায়, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩ বছরের সেশন জট তৈরি হয়েছিলো। এই ৭ বছর সেখানে থাকা অবস্থায়, শিবির কখনোই কোন হামলা করে নাই। আমরাই বরং বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাদের বয়কট করি, একঘরে করি, তাদের সাংস্কৃতিক দলকে ক্যাম্পাসে অপমান করি। তারা এরজন্যে প্রতিবাদ জানালেও আমাদেরকে কিছুই বলে নাই। যা করার ছাত্রলীগ আর ছাত্রদল করেছে, এটা আমি হলফ করে বলতে পারি।
আমি মনে করি, আমরা যা করেছি, তা অন্যায় করেছি। শিবিরের শিক্ষার্থিদেরকে একঘরে করে দিয়ে জুলুম করেছি। আমি এজন্যে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:০৭