মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, দেশবিরোধী রাজাকারের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের গণজাগরেণর আজ ১৩ মত দিন। বিশ্ববাসীসহ গোটা জাতি প্রত্যক্ষ করছে ঘৃন্নিত অপরাধীদের প্রিতি মানুষের ক্ষোভ ও অভিভ্যক্তি। প্রথম থেকেই এটা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছ বিভিন্ন মহল। স্বাধীনতার প্রতক্ষ বিরোধিরাতো ছিলই এবং আছে। নানা হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল দীর্ঘ দিন থেকেই। গত পর্শু গোটা বিশ্ব দেখল তার নগ্ন রূপ। মানুষ কত নৃশংস হতে পারে। একজন মানুষকে চুপি চুপি এসে পিছন থেকে আক্রমন করা, তাকে হত্যা করা এ কেমন বর্ববরতা? রাজীব হয়দারকে হত্যার পর শুরু হয়েছ নতুন ষড়যন্ত্র। তার ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে....। যারা রাজীব হায়দারের ধর্ম মত নিয়ে হৈচৈ করছেন এবং গণজাগরণ মঞ্চকে ধর্মীয় উস্কানীর মধ্যে ফেলে দেশে ধর্মীয় জঙ্গীবাদ উসকে দিতে চাইছেন তাদের কাছে একটি প্রশ্ন করি আর তাহলো আপনারা বলবেন কি কোন ধর্মে এমন নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড সর্মথন করে? ভিন্ন মত প্রকাশ বেশি অপরাধ নাকি তাকে গলা কেট হত্যা করা বড় অপরাধ? ইসলামের কোথায় লেখা আছে যে ভিন্ন মত প্রকাশকারীকে জবাই করে হত্যা করতে হবে? রাজীবের কি ধর্ম মত ছিল তা বড় না তার হত্যার অপরাধ বড়? তাহলে কেন তার হত্যাকরীদের বিচারের কথা না বলে তার (রাজীবের) ধর্ম মত কি ছিল তা প্রচার করছেন? মানুষের জন্য ধর্ম না কি ধমর্ের জন্য মানুষ? সব ধর্মই মানুষের জন্য, মানুকে হত্যার জন্য নয়। যারা ধমর্ের দোহায় দিয়ে মানুষ হত্যা করে তাদের ঘুণা করি। সেই সব ঘৃন্নিত অপরাধীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে গণজাগরণ। অপরাধীর বচার হতেই হবে।
যরা এই গণজাগরণের পক্ষে তাদেরকে আরো সচেতন থাকতে হবে। এই সব বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার থেকে সাবধান থাকতে হবে। লক্ষে অবিচল থাকলে অপরাধীর বিচার একদিন হবেই হবে।