স্ত্রী তার মৃত স্বামীর কবরের পাশে বসে হাত পাখা দিয়ে কবরের উপরে বাতাশ করছে। পাশের রাস্তা দিয়ে এক বৃদ্ধ লোক যাচ্ছিল। বৃদ্ধলোকটি ভাবছে মেয়েটি তার স্বামীকে কতইনা ভালবাসত যে মরার পরে তার কবরের উপরে বাতাশ করছে।
বৃদ্ধলোকটি মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করল, তোমার স্বামীতো মরে গেছে কবরের উপরে বাতাশ করে আর কি হবে।
মেয়েটি উত্তরে বলে দু:খের কথা কি আর বলব। অল্প বয়সেই আমার স্বামী মরে গেল। মরার আগে আমাকে বলে গেছে যে তার কবরের মাটি শুকানোর আগে যেন আমি অন্য কাউকে বিয়ে না করি। ২দিন তো হয়েই গেল কিন্তু কবরের মাটিও শুকায় না আর আমি করিম ভাইকেও বিয়ে করতে পারছিনা। তাইতো বাতাশ করছি যাতে কবরের মাটিটা একটু তারাতারি শুকায়।
-০-
তিন বন্ধু একটা মুরগী রান্না করেছে। কিন্তু সমস্যা হয়েছে যে একটা মুরগীতেতো ২টাই লেগ পিস থাকে। তিনজনই লেগ পিস খাবে। এক বন্ধু একটা আইডিয়া বের করল চল আমরা তিনজনই ঘুমাই যেই দুইজন ভাল স্বপ্ন দেখবে লেগ পিস তাদেরই। সবারই আইডিয়াটা পছন্দ হল। রীতিমত সবাই ঘুমিয়ে পড়ল।
ঘুমথেকে উঠে সবাই সবাইকে জিজ্ঞেস করছে তুই কি দেখেছিস।
১ম বন্ধু : আরে আমিই সবার থেকে ভাল স্বপ্ন দেখেছি। দেখলাম একটা পরী আমাকে সাথে নিয়ে আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
২য় বন্ধু : আরে আমি সবচেয়ে ভাল স্বপ্ন দেখেছি। দেখলাম একটা ফেরেশতা আমাকে এসে বলছে চলুন হুজুর আমি আপনাকে বেহেশতে নেয়ে যেতে এসেছি। আমি সেই ফেরেশতার সাথে বেহেশতে গেলাম। অনেক মজা করলাম।
৩য় জন : আরে আমিতো খুব খারাপ স্বপ্ন দেখেছি। দেখলাম বিশাল একটা দৈত্য এসে বিশাল একটা লাঠি দিয়ে আমাকে বারি দিয়ে ঘুম থেকে উঠাল এবং বলল ঐ রান্না করা মুরগী সব খেয়ে ফেল। লাঠির ভয়ে আমি আর কি করি। মুরগীটাকে খাওয়া শুরু করলাম। তোদের দু'জনের জন্য একটু রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিভাবে যেন দৈত্যটা টের পেয়ে গেল। আর আমাকে মার শুরু করল। তাই পুরোটাই আমাকে খেতে হল।
১ম ও ২য় বন্ধু : আরে তাহলে আমাদের ডাকলি না কেন?
৩য় বন্ধু : আরে তোদেরকে আবার কোথায় পাই। তোরা একজন পরী নিয়ে আকাশে আরেকজন ফেরেশতার সাথে বেহেশতে।