৩৬। ডেউয়া (Monkey Jack)

পুষ্টিগুণ: ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল।
ঔষধিগুণ: পাকা ফল পিত্তবিকারে ও যকৃতের পীড়ায় হিতকারী। ছালের গুঁড়া চামড়ার রুক্ষতায় এবং ব্রণের দূষিত পুঁজ বের করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
৩৭। সাতকরা (Satkara)

পুষ্টিগুণ: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল।
ঔষধিগুণ: বমিনাশক, রুচিবর্ধক ও হজম সহায়ক।
ব্যবহার: সিলেট অঞ্চলে এর খোসা সবজি হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। খোসা দিয়ে সুস্বাদু আচার তৈরি হয়।
৩৮। ডুমুর (Fig)

পুষ্টিগুণ: প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম ও ক্যালরি আছে।
ঔষধিগুণ: ডুমুর ফল টিউমার ও অন্যান্য অস্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধি নিবারণে ব্যবহৃত হয়। পাতা চূর্ণ, বহুমূত্র, বৃক্ক ও যকৃতের পাথর নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার: ডুমুর ফল সবজি হিসেবে এবং পাতা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৩৯। আঁশফল (Longan)

পুষ্টিগুণ: এটি একটি আমিষ ও চিনি সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল।
ঔষধিগুণ: ফল উদারাময় নিবারক ও ক্রিমিনাশক। চীনে লোকজন এই ফলকে বলকারক বলে মনে করে। ইন্দোচীনে শুকনো ফল থেকে ব্রেন টনিক তৈরি করা হয়।
৪০। কাউফল (Cowa/Mangosteen)

পুষ্টিগুণ: এটি একটি সুস্বাদু ফল।
ঔষধিগুণ: সর্দি-জ্বর ও ঠান্ডা প্রশমনে কাউফল উপকারী। এছাড়াও এটা অরুচি দূর করে।
পূর্ববতী পর্বসমূহ:
১ম পর্ব: আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, জাম
২য় পর্ব: কুল, কলা, আমড়া, পেঁপে, আনারস
৩য় পর্ব: নারিকেল, কামরাঙ্গা, লেবু, বাতাবি লেবু, সফেদা
৪র্থ পর্ব: শরিফা, চালতা, করমচা, বেল, লটকন
৫ম পর্ব: তেঁতুল, তাল, ডালিম, জামরুল, জলপাই
৬ষ্ঠ পর্ব: তরমুজ, পানিফল, আমলকি, খেজুর, কদবেল
৭ম পর্ব: গাব, অড়বরই, কমলা, ড্রাগন ফল, রুটি ফল
উৎস: কৃষি তথ্য সার্ভিস, কৃষি মন্ত্রণালয়।