বড়ই আফসুস ও সহানুভূতি সেই সকল বিদ্রোহী, তেজস্বী, সংগ্রামী তরুনদের জন্য যাহারা বর্তমান বাংলার অধিকারের সংজ্ঞা না জানিয়া অধিকার আদায়ের ধৃষ্টতা প্রদর্শন হেতু এক মাহফিলে যোগদান করিয়াছে ও দিন শেষে বংগবন্ধুর নাম বিক্রি করিয়া পুলিশ নামক অধিকার আঁধারের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সোদন খাইয়া জারপরনাই আমৃত্যু অধিকার আন্দোলনের বিদ্রোহে ইতি টানিয়া মাহফিলের স্থানটুকু ধবধবে পরিষ্কার করে পলায়ন করিয়াছে !!! করবেইতো বটে -কারণ তারা যে ভুলিয়া গিয়াছে নজরুলের যৌবনের তেজোদীপ্ততার গুনের রুপ, বিনিময়ে চর্চা করিছে তোষামদী ও তৈল মর্দনের বুলি ; কি করিয়া সেই নিস্তেজ প্রাণ হইতে চেতনার বহ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত হইবে!! তাহারা যে সংগ্রাম করে ব্যাক্তির নাম ভাঙ্গাইয়া,ফেরাও রাজাদের প্রজার ন্যায় পরিষদকে খোদার ন্যায় সম্মোধন করিয়া!! সেই মানব সৃষ্ট খোদা ও খোদার দরবার সেই কবেকার কালের স্রোতে বিস্মৃত হইয়াছে তাহা কি কোনোদিন আজিকার তরুনেরা খবর লয়?!? বরং তাহারা প্যাদানির ভয়কে ক্রয় করিয়া নিয়াছে ইয়াবা নামক চিত্ত উত্তেজক তেজের দ্বারা !! সেই তেজ দ্বারা কেবল দীর্ঘক্ষণ রতিক্রিয়াই করা সম্ভব আদর্শের দাবী আদায়ের রাজপথে ঠায় দাড়াইয়া থাকা সম্ভব নহে!!
তরুনেরা আজ দল ভক্ত, পুজারী ও ব্যাক্তি দেবতার তথাকথিত দর্শন ও সেই যে কবেকার ইটিহাসের যযাতি পুত্রের মোহের গুনের গুনে পুষ্ট!! তাহারা কিভাবে বুঝিবে স্বয়ং যযাতির যৌবনের চেতনা!!!? আরে চেতনাতো তাহারেই বলে যাহা একটি অগ্নিকুণ্ড যাহার চারিপাশে চক্রাকারে উড়ে চলে পতংগ ও নিশ্চিত মৃত্যু জানিয়া ঝাপাইয়া পরে অগ্নিকুন্ডে আর মরিয়া যায়, সার্থক করিয়া তুলে নিজেদের বৈশিষ্টকে! শুনিয়ছি অতীতে নাকি ভাগাত সিং, ক্ষুদিরাম, তীতুমীর নামক বরেন্যরা ঐরকমের পতঙ্গের ন্যায় ছিলো যাহারা আগুনের তেজ বুঝিয়াও আপোষহীন আগুনে খায়েস করিয়া ঝাপাইয়া পড়িয়া বুঝাইয়া দিয়াছে আগুনে নিজেরে বলিদান করাকেই চেতনা বলে!!
আর অধুনা, তরুনেরা যেন মেঠো ইদুরের ন্যায়! ধানও কাটিবে ভয়ও পাইবে! উহাদের কিইবা দোষ!! উহারা মাউন্টেন ডিউর বদলে পাইয়াছে গুটি বাবা! বলি বাছারা তোদের গড় আয় বাড়িতেছে বাড়িতে দে,উহাতেই তুষ্ট থাক!! খামোখা কেন চেতনার গুনকে অপমান করিতে বারবার মাহফিল করিস!?!?
ও হ্যাঁ, চেতনা আর শান্তিপূর্ণ সংগ্রাম এই ২ টি বাক্য কিন্তু সমার্থক নহে বরং বিপরীতার্থক ! ইহাও কিন্তু মনে রাখিতে হইবে! তাহাতেই কেবল মাহফিলের ডাক হানিতে পারিবে নচেৎ ইতিপূর্বের এক প্রায় বিস্মৃত ফেরাও রাজার ন্যায় লেজ গুটিয়ে আপনার কাছ হইতেই পলাইয়া বেড়াইতে হইবে!!
ইহা সেই সকল নাদান তরুন নামধারী বার্ধক্যজনিত ব্যাধিতে ভুক্তভোগী তরুন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে একটি ইস্তেটাস মাত্র যাহাদের বোধগম্যে নেই অতীত ইতিহাস ও যৌবনের সংজ্ঞা!! যদি কোনো বিশেষ মহল এটিকে উস্কানি বা রাজনৈতিক বা রাস্ট্রোদ্রহী নামক চোত্রা পাতার অধক্ষেপ স্বীয় পায়ুপথে লেপন করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন তাহা হইলে ইহা যার যার ইচ্ছার সমানুপাতিক প্রমানে বিবেচ্য!!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২০