অপলক চোখে তাকায়া আছি সিলিং এর দড়ি পানে,
আর কিছু পর সমাপন হবে আমি অধ্যায়ের এখানে!
দুরু দুরু ভাব বুকের ভিতরের আসিছে ক্রমেই কমে,
রোমাঞ্চেতে সারাটা দেহ ভিজিয়া উঠিছে ঘেমে!
আর কিছু পরে ঝুলিয়া পরিবো,দেহেতে লাগিবে টান-
দেহ হতে যবে ছাদ আর মেঝে হয়ে যাবে ব্যাবধান!
সবেই আমি ঝুলিয়া পরেছি,নীচ হতে কিছু গেলো সড়ে-
অবাধ্য জোড় হাত কিসের কারণে দড়িকে রেখেছে ধরে??
দেহের ভারেতে পা'জোড়া শুধু কেন মিছে আশ্রয় খোঁজে-
সারাটা দেহতো ইতঃপূর্বেই রাজি ছিলো এই কাজে!
আত্নাটি কেন ভালোভাবে আগে দেহকে আনেনি বশে?
বিপদ হইলো দেহটি ব্যাথায় আত্নাকে যায় দুষে!!
মাথার ভিতরে কত শত কোপ অবিরত হানিছে আঘাত
নিঃশ্বাসখানা ক্রমেই কোথায় পেয়ে যাচ্ছে যেন বাধ!
একি!চারিদিকে কেন এত মিশেল রং,গলাতে কিসের স্বর?
দেহখানা যবে স্থির হতে চায়,প্রাণ কেন পায় ডর??
কিসের কারণ এত পরে এসে প্রাণ কুঠিরে লুকায়?
তবে কি সে যন্ত্রনাতে পুনঃ মুক্তির খোঁজ চায়???
হায়! ততক্ষণে সময় যে বড় বেশির মেরুতে চলে গেলো-
যন্ত্রনাতে সব কটা রং কালোতে মিশে এলো!
নিথর দেহের ভিতরের প্রাণ আলোর আশায় বিভোর-
চারিদিকের সকল আলো ভয়ে হলো ভয়াল কৃষ্ণ গহ্বর!!
আমার কল্পনা আর আবেগ হতে এযে অসীম অসহনীয়
জ্ঞানের ঊরধে এ যাতণাভার , দূরহ তা বহনীয়!!!
আঁধারের রাজ্যে মিসকালো আরেক অবয়ব এলো চলে
তামাম জাহানের ভার সাথে নিয়ে দেহেতে পরেছে ঝুলে!
ঐতো সে, জ্ঞান সীমার বাহিরের মত ভয়াল
মালাকুল মউত দেখিবে যে প্রাণ আগে ছিলোনা সেই খেয়াল!
মালাকুল মউত! সদয় হও! এই ব্যভিচারী দেহ তরে
হুংকার ছাড়ি সে দাপাইতেছে প্রাণ নিবে বলে দেহ চিড়ে!
প্রাণখানি সে যেমনে তেমনে টেনে হিঁচড়ে করিছে বাহির-
আর বলিতেছে অবাধ্য প্রাণ ইল্ল্যিন-সিজ্জিন্নে আজি হতে কোথাও নাই তোর নীড়!!!
যন্ত্রনা দিয়া বলিতেছে "হে! এটা শেষ নয় ,আজি হতে শুরু সবে-
অবাধ্য যার হলি শুধু সেই জানে এর সমাপন কবে!
পালিয়ে বেরা যত পারিস তুই যন্ত্রনা সাজা সাথ নিয়ে-
ক্ষণকাল অবসর তুই আর পাবিনা কোনো আড়াল গিয়ে!
শাস্তির বেড়ি গলেতে পরিয়া অপ আত্না আমার ছুটে!
আত্নবলির মিছে মোহ আর কোনো সজীব প্রানেতে না জোটে!
এই স্বল্প জীবনে ৩ বার মৃত্যুকে খুব,খুবই কাছ থেকে দেখে বেঁচে এসেছি। নিজে পূর্বের অভিজ্ঞতার বাস্তব ভয়ে অসার হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের বড় ভাইয়ের মৃত্যুকে একেবারে কাছ থেকে ঘটতে দেখেছি! :'( একবার আত্নহত্যার বৃথা চেষ্টা করেছি,কিন্তু পূর্বের দৈবক্রমে মৃত্যুর কাছাকাছি যাওয়ার কল্পনার ভয়ে ভীত হয়ে সামান্য এক ভীষণ বজ্রপাতের শব্দে পিছপা হয়ে যাই যার অভিজ্ঞতার আলোকে ছন্দ মালা লিখেছি।
পৃথিবিটা খুব সুন্দর,সেই সৌন্দর্যের অবলোকন ঈশ্বরের বেধে দেয়া এই স্বল্প আয়ুতে করা যায় না।আত্নহত্যায় আগ্রহি সকল সজীব প্রাণ সম্বলিত লোকের উদ্দেশ্যে মিনতি ও উৎসর্গ কৃত এই ছন্দ বিন্যাস।যাবার আগে একটিবার ভাবুন যাবার মাঝে আবার ফিরে আসার আকাংখাই প্রকট ,কিন্তু যাবার শেষের দিকে সে সময়টা বড় বেশি দেরি হয়ে যায়!নিজেকে হতাশ ও উদ্দেশ্যহীন ভাবার আগে ভাবুন ঈশ্বর প্রতিটি আত্নাকে একেকটি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে বানিয়েছেন!তাই নিজের অব্জেক্ট,চয়েস ও গোল সন্ধান করুন!সে যত কঠিনই হউকনা কেন এটা সবার ক্ষেত্রেই ফিক্সড সিচ্যুয়েশন!উদ্দেশ্যহীন সামান্য কারনকে বড় করে না দেখে এক বার নিজের সিচ্যুয়েশন ঘাটুন! আলোচিত ছন্দ মালা,উদ্দেশ্য,উৎসর্গ ও আলোচনার মূল ভাবনা অনেকের কাছে হাস্যকর ও উপদেশ মূলক হলেও মানিয়ে নিতে চেষ্টা করবেন!সকল সজীব প্রাণই হউক পরিপূর্ণ!!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫