অসাধারণ ডিজাইন এবং সর্বোত্তম পার্ফরমেন্সের কারনে অ্যাপলের পণ্য সমগ্র বিশ্বেই পেয়েছে জনপ্রিয়তা। তবে বর্তমানে অ্যাপলের যে ডিজাইন, সেখানে পৌঁছতে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে। বিশেষ করে অ্যাপলের প্রথম দিকের প্রযুক্তি পণ্যসমূহ ছিল বেশ বড় আকারের এবং ভারী। একটি কম্পিউটার স্থাপন করতে প্রয়োজন পড়তো গোটা একটি বড় আকারের টেবিল। আর বর্তমান সময়ের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো।
অ্যাপলের পুরনো সেসকল ডিভাইস থেকে বর্তমান সময়ের আধুনিক ডিভাইসের বিবর্তন।
১. অ্যাপলের প্রথম কম্পিউটার ছিল অ্যাপল ১ যা ১৯৭৬ সালে বাজারে আসে। এর মাধ্যমেই শুরু হয় অ্যাপলের পথচলা।
২. অ্যাপল ২, অ্যাপল ১ এর তুলনায় বেশ উন্নতমানের ছিল এবং দেখতেও আগেরটির থেকে আকর্ষণীয় ছিল।
৩. এরপর ১৯৮০ সালে বাজারে আসে অ্যাপল ৩। অনেকের মতে, এটি একটি ব্যর্থ ডিভাইস।
৪. ১৯৮৪ সালে অ্যাপল বাজারে আনে প্রথম পার্সোনাল কম্পিউটার ম্যাকিনটোশ। মূলত অ্যাপলের সফল পথচলার শুরু এখান থেকেই।
৫. ম্যাকিনটোশ পোর্টেবল, বাজারে আসে ১৯৯১ সালে। এটি ছিল ল্যাপটপ তৈরিতে অ্যাপলের প্রথম প্রচেষ্টা। আর এর বিশেষ এই ডিজাইনের ধারা পরবর্তী সকল অ্যাপল ডিভাইসে বজায় ছিল।
৬. ১৯৯৩ সালে অ্যাপল বাজারে আনে নিউটন মেসেজ প্যাড। এটিও ছিল একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা।
৭. পাওয়ার বুক ৫০০, বাজারে আসে ১৯৯৪ সালে।
৮. শুরু হল আইম্যাকের পথচলা। ১৯৯৮ সালে বাজারে আসে আইম্যাক জি৩। প্লাস্টিক ডিজাইন এবং নানা রংয়ে বাজারে আসা এ ডিভাইস মানুষের মাঝে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
৯. ঝিনুকের মত দেখতে আইবুক বাজারে আসে ১৯৯৯ সালে।
১০. সিনেমাপ্রেমীদের জন্য পাওয়ারবুক জি৪ বাজারে আনে অ্যাপল।
১১. ২০০১ সালে আপডেট করা হয় আইবুক। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পূর্বের ম্যাকবুকে ব্যবহৃত কালার বর্তমানে এড়িয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি।
১২. ২০০১ সালেই বাজারে আসে ম্যাকিনটোশের পর অ্যাপলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিভাইস আইপড।
১৩. ২০০৩ সালে অ্যাপল বাজারে আনে প্রথম অ্যালুমিনিয়াম বডিযুক্ত ল্যাপটপ পাওয়ারবুক জি৪। এর একটি টাইটেনিয়াম ভার্সনও বাজারে ছাড়ে প্রতিষ্ঠানটি।
১৪. থার্ড জেনারেশন আইপ্যাডে বাদ দেওয়া হয় ঘূর্ণনযোগ্য চাকা।
১৫. ২০০৪ সালে বাজারে আসে আইপড মিনি। পরবর্তী বছর আইপড ন্যানো বাজারে আসার আগ পর্যন্ত বাজার দাপিয়ে বেড়ায় এটি।
১৬. ম্যাক মিনি বাজারে আসে ২০০৫ সালে। টাওয়ার স্টাইল ডেস্কটপের বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়তা পায় এটি।
১৭. ছোট আকারের আইপড ন্যানো বাজারে আসে এবং আইপড মিনির জনপ্রিয়তা দখল করে নেয়।
১৮. ২০০৬ সালে বাজারে আসে ম্যাকবুক প্রো। এটি ছিল অ্যাপলের ফ্ল্যাগশিপ ল্যাপটপ।
১৯. একই বছর বাজারে আসে আইপড হাই-ফাই।
২০. ২০০৭ সালে অ্যাপল আইফোন বাজারে এনে বেশ হইচই ফেলে দেয়।
২১. প্রতিষ্ঠানটির মাউসে নতুন রুপ দেওয়া হয়।
২২. ২০০৭ সালের মধ্যে আইপডের ষষ্ঠ প্রজন্ম বাজারে চলে আসে যা আইপড ক্ল্যাসিক নামে পরিচিতি পায়।
২৩. আল্ট্রা স্লিম ম্যাকবুক ২০০৮ সালে বাজারে আনে প্রতিষ্ঠানটি।
২৪. ২০০৯ সালে আইফোন থ্রিজি এস বাজারে ছাড়া হয় যা দেখতে অনেকটা মূল ভার্সনের মতই ছিল।
২৫. ২০০৯ সালের মধ্যে আইম্যাক অ্যালুমিনিয়াম বডিতে রূপান্তরিত হয়।
২৬. ২০১০ সালে বাজারে আসে প্রতিষ্ঠানটির আরেকটি সফল পণ্য আইপ্যাড। অনেকের কাছে এটি ছিল আইফোনের বড় ডিসপ্লে ভার্সন।
২৭. অ্যাপল সেট টপ বক্স অ্যাপল টিভি'র সেকেন্ড জেনারেশন বাজারে আসে ২০১০ সালে।
২৮. ২০১১ সালে বাজারে আসে আইফোন ৪।
২৯. ২০১৩ সালে অ্যাপল নিয়ে আসে তৃতীয় প্রজন্মের ম্যাকবুক প্রো। এটি রেটিনা ম্যাকবুক প্রো নামেও পরিচিত।
৩০. আইপ্যাডের বর্তমান ভার্সন আইপ্যাড বাজারে আসে একই বছর।
৩১. ২০১৩ সালে বেশ কিছু পণ্যের আপডেট নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি যার মধ্যে ছিল আইফোন ফাইভ সি।
৩১. ২০১৪ সাল ৯ই সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ হবে আইফোন ছয়।