قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَىٰ إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌ وَاحِدٌ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
"হে হাবীব আপনি বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।" (সূরা কাহাফঃ১১০)
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَاسْتَقِيمُوا إِلَيْهِ وَاسْتَغْفِرُوهُ وَوَيْلٌ لِّلْمُشْرِكِينَ
“হে হাবীব আপনি বলুন, "আমি ও তোমাদের মতই মানুষ , ওহীর মাধ্যমে আমাকে প্রত্যাদেশ দেয়া হয়েছে যে, তোমাদের উপাস্য এক আল্লাহ্ । সুতারাং তাঁর দিকে সত্য পথে চল; এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর”। (সূরা হামীম সিজদাহঃ ০৬)
উক্ত আয়াতে করীমা দ্বয়ে প্রথম শব্দ " قُلْ " দিয়ে আয়াতটিকে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, উক্ত আয়াতে "আমিও তোমাদের মত একজন মানুষ" একথাটি বলার অধিকার দেয়া হয়েছে একমাত্র হুজুর আকরাম কে।
সূরা কাহাফ এর এ আয়াত টিতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম কে বাশার বলা হয়েছে। এখানে বাশার বলতে মানুষের মত আকৃতিকে বুঝানো হয়েছে। উক্ত আয়াতে বাশার(মানুষের মত) বলার কারণে অনেকে হুজুর আকরাম কে মাটির মানুষ বলে থাকেন।
১)মানুষ। আর ২)মানুষের মত! এ ২টি কথার মধ্যে বিরাট ফারাক আছে।
যারা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাদের মত মানুষ বলে তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, তারা যেনে আয়াত দ্বয়ের পঠভুমি/প্রেক্ষাপট জেনে নেয়।
উক্ত আয়াতে কারিমায় গঠন/আকৃতিতে মানুষের মত (বাশার) বলা হয়েছে।রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের বেশে আসাটা আল্লাহর কুদরতেরই একটি উদাহরণ।
জিব্রাইল আমিন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বিভিন্ন বেশে আসতেন। অনেক সময় আগুন্তক আবার অনেক সময় কোন সাহাবীর বেশেও আসতেন।
আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র কুরাআনে হযরত জিব্রাইল আমিন কেও বাশার(মানুষের মত) বলে সম্বোধন করেছেন।
فَاتَّخَذَتْ مِن دُونِهِمْ حِجَابًا فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا
অর্থঃ আমি আমার রুহ (হযরত জিব্রাইল আঃ) কে তাঁর (হযরত মরিয়ম) প্রতি প্রেরণ করেছি, অতঃপর সে (জিব্রাঈল আঃ) তাঁর সামনে একজন পূনাঙ্গ সুঠোম মানুষ(বাশার) এর আকৃতিতে আত্ম প্রকাশ করেছেন।"
সূরা মরিয়মের আয়াত - ১৭।
জিব্রাইল আমিন একজন ফিরিশতা, মানুষ নন। অথচ উক্ত আয়াতে উনাকে বাশার বলা হয়েছে।
তাছাড়া, আল্লাহু রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনে "ইয়া আইয়ুহান্নাস" বা "ইয়া আইয়ুহাল ইনসান" বলে মানুষ/মানুষজাতিকে সম্বোধন করেছেন।
কিন্তু কুরআনের কোথাও বাশার(ইয়া আইয়ুহাল বাশার) বলে মানুষ/মানুষজাতিকে সম্বোধন করেন নি!
বাশার শব্দের অর্থ হলো নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট বহনকারী একটি প্রজাতির নাম | বাশার শব্দের আরো কিছু অর্থ আছে যেমন দৃষ্যমানরূপ বা প্রকাশিতরূপ, প্রশংশিতরূপ ইত্যাদি | আর এই আয়াতে করিমে সেই অর্থই ফুটে উঠেছে | যেমন মানুষের হাত, পা, চোখ, কান, নাক, ত্বক আছে তেমনি হুজুর পুর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন মানব সুরতে ও মানব বৈশিষ্ট দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন | উল্লেখ্য এই বাশার শব্দটি শুধু মাত্রই নবী রাসুলদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে | যত নবী রাসুলকে আল্লাহ পাক পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তাদের সবাইকেই বাশার হিসেবে পাঠিয়েছেন | এখন যারা বলে বাশার মানে আমাদের মত সাধারণ মাটির মানুষ তাদের কাছে প্রশ্ন আপনারা কি পৃথিবীর কোন অভিধানে দেখাতে পারবেন যে বাশার মানে রক্তে মাংসে গড়া একজন সাধারণ মানুষ ?
নানান জনের মনে নানান প্রশ্ন শুধু সৎচিন্তার অভাব। ফেইসবুকে একজনে এমন একটি পোস্ট এর কমেন্টে বলেছিল, নূরকে তারবারি দিয়ে আগাত করলে রক্ত ঝরবে কি ঝরবে না? লিন্তু মানুষকে আগাত করলেও রক্ত ঝরে তাই রাসুল মানুষ।
আমিও কমেন্টে লিখলাম, আপনি তারবারি দিয়ে মাটিকে যতই আগাত করেন রক্ত ঝরবে না। কিন্তু এই মাটি যখন আল্লাহর কুদরতে মানুষের সুরত নিবে তখন এ থেকে রক্ত ঝরবে।রাসূল বাশার বেশে এসেছেন, এটাও আল্লাহর একটি বিশেষ কুদরত। আল্লাহ সবই পারেন। আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা, আল্লাহ অবয়বদানকারী,আল্লাহ সৃজনকর্তা।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম "নূর" হওয়ার কুরআনী দালায়েল
আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন-
يَا أَهْلَ الْكِتَابِ قَدْ جَاءكُمْ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمْ كَثِيرًا مِّمَّا كُنتُمْ تُخْفُونَ مِنَ الْكِتَابِ وَيَعْفُو عَن كَثِيرٍ قَدْ جَاءكُم مِّنَ اللّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُّبِينٌ
" হে কিতাবীগণ! আমার রাসূল তোমাদের নিকট এসেছেন, তোমারা কিতাবের যা গোপন করতে তিনি তার অনেক তোমাদের নিকট প্রকাশ করেন এবং অনেক উপেক্ষা করেন।
আল্লাহর নিকট হতে এক মহান নূর ও স্পষ্ট কিতাব তোমাদের নিকট এসেছে।"
[সূরা মায়িদা আয়াত- ১৫]
উক্ত আয়াতে করিমার প্রথম অংশে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দুইটি বিষয়কে আলোকপাত করেছেনঃ
১) রাসুল
২) কিতাব
প্রথম অংশকে ভালভাবে খেয়াল করলে বুঝা যায়, পরবর্তী অংশে আল্লাহু তায়ালা কি বুঝিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অন্য কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজন পরে না।
প্রথম অংশে রাসুল এবং কিতাবকে সাধারন ভাবে বুঝিয়েছেন। আর পরবর্তী অংশে নির্দিষ্ট করে আরও সুন্দর ভাবে/গুণগতভাবে বুঝিয়েছেন।
উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় প্রসিন্ধ তাফসীর গ্রন্থগুলো কি বলে দেখা যাকঃ উপরিউক্ত আয়াতে কারিমায় নূর দ্বারা যে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বুঝানো হয়েছে তার প্রমানঃ
সায়্যিদ মুফাসসিরিন হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني محمدا صلي الله عليه ؤسلم-
"আল্লাহর পক্ষ হতে তোমাদের নিকট নূর এসেছে, যার সম্মানিত নাম হচ্ছে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম"
তাফসীরে ইবনে আব্বাস, পৃ-১৭২।
ইমাম আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারীর আত্-তবারী (রা) তাঁর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ইবনে জারীর এর মধ্যে বলেন-
قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني بالنؤر محمدا صلي الله عليه ؤسلم الذي انار الله به الحق واظهربه الاسلام ومحق به الشرك-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন, যে নূর দ্বারা আল্লাহ সত্যকে উজ্জ্বল ও ইসলামকে প্রকাশ করেছেন এবং শিরিককে নিশ্চিহ্ন করেছেন।
তাফসীরে ইবনে জারীর, ৬:৯২।
মুহীউস্সুন্নাহ আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহাম্মদ (রাঃ) (যিনি ‘খাজিন’ নামে পরিচিত) তাফসীরে খাজেনের মধ্যে বলেন-
قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعنى باالنور محمدا صلي الله عليه وسلم انما سماه الله نور لانه يهدى بالنور في الظلام-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। আল্লাহ তায়া’লা তাঁর নামকরণ করেছেন নূর, কারণ তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়। যেভাবে অন্ধকারে নূর দ্বারা পথ পাওয়া যায়।
তাফসীরে খাজিন ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭।
ইমাম হাফেজ উদ্দীন আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ আন- নাসাফী (রা) এই আয়াত শরীফ ( قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-
والنور محمد عليه والسلام لانه يهتدي به كما سمي سراجا منيرا-
আর নূর হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কেননা তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়, যেমন তাঁকে উজ্জ্বল প্রদীপ বলা হয়েছে।
তাফসীরে মাদারিক ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭।
ইমামুল মুতাকাল্লেমীন আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী (রা) এই আয়াত শরীফ (قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-
ان المراد بالنور محمد صلي الله عليه و سلم وبالكتاب القران-
অর্থঃ নিশ্চয়ই নূর দ্বারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং কিতাব দ্বারা আল কোরআন মজীদকে বুঝানো হয়েছে।
তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯।
ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রা) বলেনঃ
قد جاءكم من الله نور هو النبى صلي الله عليه وسلم-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর এসেছে, তা হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক।
তাফসীরে জালালাইন শরীফ পৃষ্ঠা ৯৭।
আল্লামা মাহমূদ আলূসী বাগদাদী (রা) বলেন-
There is a notable explanation among Ahl al-Sunna which ascribes the meaning of the Prophet to both the Light and the Book. al-Sayyid al-Alusi said in Ruh al-ma`ani: "I do not consider it far-fetched that what is meant by both the Light and the Manifest Book is the Prophet, the conjunction being in the same way as what was said by al-Jubba'i [in that that both the Light and the Book were the Qur'an]. There is no doubt that all can be said to refer to the Prophet. Perhaps you will be reluctant to accept this from the viewpoint of expression (`ibara); then let it be from the viewpoint of subtle allusion (ishara)."
রুহুল মা'নী, ৬:৯৭-৯৮।
আরবী স্ক্যান কপিঃ
Click This Link
আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রা) বলেন-
قيل المراد باالاول هو الرسول صلى الله عليه وسلم وبالثانى القران-
অর্থঃ বলা হয়েছে যে, প্রথমটা অর্থাৎ নূর দ্বারা রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বুঝানো হয়েছে এবং দ্বিতীয়টা অর্থাৎ কিতাবে মুবীন দ্বারা কুরআন কে বুঝানো হয়েছে।
তাফসীরে রুহুল বয়ান ২খন্ড, পৃষ্ঠা ২৬৯
আর অগ্রসর হয়ে বলেন-
سمى الرسول نورا لان اول شيئ اظهره الحق بنور قدرته من ظلمة العدم كان نور محمد صلي الله عليه و سلم كما قال اول ما خلق الله نورى-
অর্থ: আল্লাহ তায়া’লা রসূল আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম রেখেছেন নূর। কেননা আল্লাহ তায়া’লা তাঁর কুদরতের নূর থেকে সর্বপ্রথম যা প্রকাশ করেছেন তা তো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক। যেমন তিনি ফরমায়েছেন- আল্লাহ তায়া’লা সর্বপ্রথম আমার নূর মোবারক কে সৃষ্টি করেছেন।
তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৬৯।
ইমাম মুহীউস সুন্নাহ আবু মুহাম্মদ আল- হোসাইন আল-ফাররা আল-বাগাভী (রা) বলেন-
قد جاءكم من الله نور يعنى باالنور محمدا صلي الله عليه وسلم-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।
তাফসীরে মাআলিমুত তান্যীল, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৩, তাফসীরে খাযিনের পাদ টীকা।
ইমামুল কবীর, মুহাদ্দিসুশ শাহীর আল্লামা আবু জাফর মুহম্মদ ইবনে জারীর তাবারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قد جاءكم من الله نور -يعني بانور محمد صلي الله عليه و سلم
অর্থ: উক্ত আয়াত শরীফে নূর দ্বারা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়েছে।"
তাফসীরে জামিউল বয়ান (তাবারী) ৬ষ্ঠ খন্ড ১০৪ পৃষ্ঠা।
আল্লামাতুল হিবর,হামিলুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত,আলামুল হুদা,আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানীপথী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قد جاءكم من الله نور -يعني محمد صلي الله عليه و سلم
অর্থ: তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে "নূর'" অর্থাৎ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।"
তাফসীরে মাযহারী ৩য় খন্ড ৬৮ পৃষ্ঠা।
ক্বাজিউল কুজাত,ইমাম আবূ সাউদ মুহম্মদ ইবনে মুহম্মদ ইমাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قد جاءكم من الله نور....... المراد بالاول هو الرسل صلي الله عليه و سلم وبالثاني القران
অর্থ: বর্নিত আয়াত শরীফের প্রথম শব্দ "নূর" দ্বারা উদ্দেশ্যে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আর দ্বিতীয় শব্দ কিতাবে মুবীন দ্বারা উদ্দেশ্যে হলো কুরআন শরীফ।"
তাফসীরে আবী সাউদ ৩য় খন্ড ১৮ পৃষ্ঠা।
ইমাম আবুল ফারজ জামালুদ্দীন আব্দুর রহমান ইবনে আলী ইবনে মুহম্মদ জাওযী ক্বোরাঈশী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قوله تعالي- من الله نور - قال قتادة يعني بانور النبي محمدا صلي الله علي و سلم
অর্থ : (মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নূর এসেছে) হযরত কাতাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নূর দ্বারা উদ্দেশ্যে হলো হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।"
তাফসীরে যাদুল মাসীর ২য় খন্ড ২৫৪ পৃষ্ঠা।
বিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা আবু আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আহমদ আনছারী কুরতুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قد جاءكم من الله نور- قيل محمد صلي الله عليه و سلم عن الزجاج
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট "নূর" এসেছে, হযরত জুযাজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।"
তাফসীরে জামে আহকামুল কুরআন ৬ষ্ঠ খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা।
ইমাম বুরহানুদ্দীন আবুল হাসান ইব্রাহীম ইবনে ওমর ফাক্বায়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
من الله نور - اي واضح النورية وهو محمد صلي الله عليه و سلم الذي كشف ظلمات الشرك
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট নূরের প্রকাশক এসেছেন,তিনি হলেন , হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যিনি সন্দেহ আর শিরকের আঁধার দূর করবেন।"
তফসীরে নাযমুদ দুরার ২য় খন্ড ৪১৯ পৃষ্ঠা।
আবুল হাসান আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে হাবীব মাওয়ারাদী বছরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قد جاءكم من الله نور -محمد صلي الله عليه و سلم
অর্থ: উক্ত আয়াত শরীফে বর্নিত নূর হচ্ছে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।"
তাফসীরে মাওয়ারেদী ২য় খন্ড ২২ পৃষ্ঠা।
এছাড়া পৃথিবীর সকল তাফসীরের গ্রন্থ সূরা মায়েদা শরীফের ১৫ নং আয়াতের তাফসীরে " নূর" দ্বারা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়েছে ।
দেখনঃ-
তাফসীরে গরায়েবুল কুরআন ৬ষ্ঠ খন্ড ৯৭ পৃষ্ঠা;
তাফসীরে ক্বাদেরী ১ম খন্ড ২০২ পৃষ্ঠা;
তাফসীরে বায়জবী ২য় খন্ড ৯২ পৃষ্ঠা;
হাশিয়ায়ে মুহিউদ্দীন শায়েখ যাদাহ ২য় খন্ড ১০৩ পৃষ্ঠা;
হাশিয়াতুশ শিহাব ৩য় খন্ড ২২৬ পৃষ্ঠা;
শরহুস শিফা লি মুল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১ম খন্ড ৪২ পৃষ্ঠা;
তাফসীরে ফতহুল ক্বাদীর ২য় খন্ড ২৩ পৃষ্ঠা;
তাফসীরে মাওয়াহেবুর রহমান ৩য় খন্ড ১০৯ পৃষ্ঠা;
তাফসীরে দ্বিয়াউল কুরআন ১ম খন্ড ৪৫৩ পৃষ্ঠা;
তাফসেরী কাসেমী ৩য় খন্ড ৮৪ পৃষ্ঠা;
তাফসীরে মুদ্বিহুল কুরআন ১০২ পৃষ্ঠা;
তাফসীরে মাজেদী ২৪৪ পৃষ্ঠা;
তাফসীরে আলী হাসান ৩৪৯ পৃষ্ঠা;
তাফসীরে তাহেরী ১ম খন্ড ৪৩৫ পৃষ্ঠা।
শুধুতাই নয়, দেওবন্দী দের মুরুব্বীরাও উক্ত আয়াতুল কারীমার "নূর" দ্বারা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝিয়েছে। দেখুন,
* দেওবন্দী শিব্বীর আহমদ ওছমানী লিখেছে-
قد جاءكم من الله نور - شايد نور سے خود نبي كريم قلي الله علي و سلم اور كتاب مبين سے قران كريم مراد هے
অর্থ: আয়াত শরীফে নূর দ্বারা স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং কিতাবে মুবীন দ্বারা কুরআন শরীফ উদ্দেশ্য।"
তাফসীরে ওছমানী ১৪২ পৃষ্ঠা।
* দেওবন্দী আহমদ সাঈদ দেহলবী তার তাফসীরে লিখেছে-
قد جاءكم من الله نور - نور سے مراد نبي كريم صلي الله عليه و سلم هيی اور کتاب سے مراد قران هے
অর্থ: বর্নিত আয়াত শরীফে "নূর" দ্বারা উদ্দেশ্য হলো হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আর কিতাব দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কুরআন শরীফ।"
কাশফুর রহমান ১৭৫ পৃষ্ঠা।
* মাওলানা নঈম উদ্দীন দেওবন্দী লিখেছে-
"নূর অর্থাৎ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন, আর কিতাব দ্বারা কুরআন শরীফ এসেছে।"
তাফসীরে কামালাইন ১ম খন্ড ৪৪ পৃষ্ঠা।
* বাংলাদেশের দেওবন্দী/কাওমী মৌলবী মুহম্মদ আমীনুল ইসলাম লিখেছে-
"নূর অর্থ নূরে মুহম্মদী তথা হযরত রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরা কিতাব তথা পবিত্র কুরআন শরীফ।"
তাফসীরে নুরুল কোরআন ৬ষ্ঠ খন্ড ১৬৭ পৃষ্ঠা।
* বাংলাদেশের দেওবন্দী/কাওমী মৌলবী শামসুল হক ফরিদপুরী ও আজিজুল হক রচিত বুখারী শারীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থের ৫ম খন্ডের শুরুতে একটি ক্বাসিদা আছে যেখানে বলা হয়েছে
"পবিত্র কুর'আনে নূর(আলো), বোরহান (উজ্জ্বল প্রমাণ), শাহেদ (স্বাক্ষী) এবং 'তোয়া-হা' বলিয়া মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই উদ্দেশ্য করা হইয়াছে"।
اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ الْمِصْبَاحُ فِي زُجَاجَةٍ
"আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি, তাঁর জ্যোতির উদাহরণ যেন একটি কুলঙ্গি, যাতে আছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচপাত্রে স্থাপিত, কাঁচপাত্রটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ্য।"
সূরা আন নুরঃ৩৫।
হযরত সাঈদ বিন যুবায়ের ও দাহহাক রাদিঃ বর্ণনা করেন যে, অত্র আয়াতে নূর দ্বারা উদ্দেশ্য মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সত্ত্বা।
তাফসীরে মাযহারী ৬ :৫২২।
উক্ত আয়াতে(সূরা আন নুরঃ৩৫) কুলঙ্গি দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র বক্ষ, কাঁচপাত্র দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্মল আত্মা। প্রদীপ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে নবুয়তের বৈশিষ্ট্য।
তাফসীরে খায়েন, ৫:৬৫।
এই আয়াতে দ্বিতীয় নূর দ্বারা উদ্দেশ্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আস শিফা ১:১০-১১।
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, “ তিনি বলেন- আমি আরজ করলাম, হে রাসুল আল্লাহ্ (সঃ), আপনার উপর আমার পিতা মাতা উৎসর্গিত, আল্লাহতালা সর্বপ্রথম কোন বস্তুটি সৃষ্টি করেছেন? উত্তরে নবী করিম (সঃ) বলেন-- হে জাবের, আল্লাহতালা সর্ব প্রথম সমস্ত বস্তুর পূর্বে তাঁর আপন নূর হতে তোমার নবীর নূর পয়দা করলেন। তারপর আল্লাহ্র ইচ্ছানুযায়ী সেই নূর পরিভ্রমণ করতে লাগল। ওই সময় না ছিল লউহে-মাহফুজ, না ছিল কলম, না ছিল বেহেস্ত, না ছিল দোজখ, না ছিল ফেরেশতা, না ছিল আকাশ, না ছিল পৃথিবী, না ছিল সূর্য, না ছিল চন্দ্র, না ছিল জিন জাতি, না ছিল মানবজাতী। অতঃপর যখন আল্লাহ্ তালা অন্যান্য বস্তু সৃষ্টি করার মনস্ত করলেন, তখন ওই নূর কে চার ভাগ করে প্রথম ভাগ দিয়ে কলম, ২য় ভাগ দিয়ে লউহে-মাহফুজ, ৩য় ভাগ দিয়ে আরশ সৃষ্টি করলেন। অবশিষ্ট এক ভাগকে আবার চার ভাগে ভাগ করে ১ম ভাগ দিয়ে আরশ বহনকারী ফেরেশতা, ২য় ভাগ দিয়ে কুরশি, ৩য় ভাগ দিয়ে অন্যান্য ফেরেশতা সৃষ্টি করলেন। ২য় চার ভাগের অবশিষ্ট এক ভাগ কে আবার পুনরায় চার ভাগ করে ১ম ভাগ দিয়ে আকাশ, ২য় ভাগ দিয়ে জমিন, ৩য় ভাগ দিয়ে বেহেস্ত-দুজখ সৃষ্টি করলেন। অবশিষ্ট এক ভাগ কে আবার চার ভাগে ভাগ করে ১ম ভাগ দিয়ে মোমেনদের নয়নের দৃষ্টি, ২য় ভাগ দিয়ে কালবের নূর তথা আল্লাহ্র মারেফত, ৩য় ভাগ দিয়ে তাদের মহবতের নূর তথা তাওহিদি কালেমা “লা ইলাহা ইল্লালাহু মহাম্মুদুর রাসুলাল্লাহ (সঃ)” সৃষ্টি করলেন এবং বাকি এক ভাগ দিয়ে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলেন।
[মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, ভলি-০১, পৃ-৯৯, হাদীস নং-১৮; এই সহীহ হাদীসের কিতাবটি ইমাম বুখারী (রঃ) এর দাদা উস্তাদ মুহাদ্দীস আব্দুর রাজ্জাক (রঃ) কর্তৃক রচিত]
আসুন আমরা হাদীসটির সনদ যাচাই করে দেখি।
১. আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হলে মুসলিম উম্মাহের সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীস ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দাদা উস্তাদ। যদি বিতর্কের খাতিরে ধরেই নেই আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে দুর্বল হাদীস উল্লেখ করেছেন তাহলে বলতে হয় বুখারী শারীফেও দুর্বল হাদীস আছে যেহেতু ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদীস শাস্ত্রের জ্ঞান লাভ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর কাছ থেকে। কিন্তু বুখারী শারীফে দুর্বল হাদীস আছে সেটা কেউই বলেন না। তাই "হাদীসটি দুর্বল/জাল" কথাটি ভুল প্রমাণীত হল।
২. হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম>>জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়্যাল্লাহু আনহু>>মুহাম্মাদ বিন মুকদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি>>মা'মার বিন রাশীদ>>আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি
এবার দেখা যাক মুহাদ্দীগণের মন্তব্য
(ক) মুহাদ্দীস আব্দুল হক দেহলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর সুবিখ্যাত সিরাত গ্রন্থ 'মাদারিজ নব্যুওত' গ্রন্থে হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।
(খ) আহমাদ ইবন সালীহ (রঃ) বলেন, "আমি একবার আহমাদ বিন হাম্বল (রঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি হাদীস শাস্ত্রে আব্দুর রাজ্জাকের থেকে আর কাউকে পেয়েছেন? আহমাদ বিন হাম্বল (রঃ) বলেন, না"।
[আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ২/৩৩১]
(গ) হাদীসটির একটি রাবী হলেন মা'মার বিন রাশীদ।
উনার সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল (রঃ) বলেন, আমি বাসরার সকল হাদীস শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞের থেকে মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাকে মা'মার বিন রাশীদ এর সূত্রে পাওয়া হাদীসগুলো পছন্দ করি। ইবন হাজর আসকলানী (রঃ) উনাকে দক্ষ মুখস্তবীদ, নির্ভরযোগ্য বলেন।
[আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ১/৫০৫]
মা'মার বিন রাশীদ সূত্রে বর্ণিত বুখারী শারীফের হাদীস সংখ্যা প্রায় ২২৫ এবং মুসলিম শারীফে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা প্রায় ৩০০
(ঘ) হাদীসটির আরেক রাবী হলেন মুহাম্মাদ বিন মুকদার।
ইমাম হুমায়দি বলেন, মুকদার একজন হাফিজ
ইমাম জারাহ তাদীল ইবন মা'ঈন বলেন, উনি নির্ভরযোগ্য
[আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ভলি ০৯/১১০৪৮]
মুকদার থেকে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা বুখারী শারীফে ৩০টি এবং মুসলিম শারীফে ২২টি।
(ঙ) আর জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহাবী। বুখারী ও মুসলিম শারীফের উনার থেকে বর্ণিত অনেক হাদীস আছে।
সুতরাং বুঝা গেল, হাদীসটির সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য এবং উনাদের সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শারীফেও হাদীস বর্ণিত আছে। তাই হাদীসটি সম্পূর্ণ সহীহ। যাদের হাদীস শাস্ত্রে নূন্যতম পরিমাণ জ্ঞান আছে তারা খুব ভালমতই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন।
আরবী কিতাবে স্ক্যান কপি দেখাচ্ছি। নিচের লিঙ্কে গিয়ে দেখুন
Click This Link
হযরত হালিমা সা'দিয়া রাদিআল্লাহু আনহা বলেন,
"যে দিন হতে আমরা তাকে(রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে) আমাদের ঘরে এনেছি, সেদিন হতে আমাদের ঘরে প্রদীপ জালানোর প্রয়োজন হয়নি। কেননা, তার পবিত্র চেহারার আলো প্রদীপের আলোর চেয়ে অধিক আলোকিত ছিল। যখনই আমাদের কোন স্থানে প্রদীপের প্রয়োজন হত, তখনই তাঁকে সেখানে নিয়ে যেতাম। তাঁর বরকতে সর্বত্র আলোকিত হয়ে যেত।"
তাফসীরে মাযহারী ৬:৫২৮।
হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত,
"এক অন্ধকার রাত্রে তিনি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলেন। তখন হাত হতে একটি সুঁই মাটিতে পড়ে গেল।(তিনি তালাশ করছিলেন) এমতাবস্থায় হঠাৎ হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারা মোবারক হতে আলোর কিরণ উদ্গিরণ হতে শুরু করলো। তাঁর কপালের আলোতে আমার হারানো সুঁই পেয়ে গেলাম।"
জওয়াবিরুল বিহার ৪:২২৪।
ইবনে আসাকিরের বর্ণনায় শেষ বাক্যটি হচ্ছে,-
"তাঁর পবিত্র চেহারার চমকে আমি সুঁই পেয়ে গেলাম।"
ইবনে আসাকির, তারিখে দামিস্ক ১:৩২৫।
কুরআন কিভাবে নুরী দেহের বর্ণনা দিচ্ছে দেখুনঃ
وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى
অর্থঃ উজ্জল নক্ষত্রের শপথ! যখন তা অস্তমিত হয়।
(সূরা আন নাজমঃ১)
আল্লামা আলুসী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হযরত ইমাম জাফর সাদেকের সুত্রে লিখেছেন,
উক্ত আয়াতে النجم ( উজ্জল নক্ষত্র) দ্বারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র সত্ত্বা এবং هَوَى দ্বারা উনার মে'রাজ হতে প্রত্যাগমন (অন্যত্র উনার প্রান্তহীন জগত পর্যন্ত তাসরিফ নিয়ে যাওয়াটাই) উদ্দেশ্য।
তাফসীরে রুহুল মা'আনি ২৭:৪৫
তাফসীরে মাজহারী ৯০:১০৩।
النجم দ্বারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র আত্মা।
আস শিফা ১:২৩।
সূরা আত-তারিক এর ৩ নং আয়াতে النجم দ্বারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মানিত সত্ত্বাকে বুঝানো হয়েছে।
আস শিফা ১:২৩।
وَالْفَجْرِ
অর্থঃ শপথ ফজরের।
(সূরা আল ফজরঃ১)
এর তাফসীরে ইমাম ইবনে আতা বলেন,
এখানে الفجر দ্বারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বুঝানো হয়েছে।
আস শিফা ১:১০।
নূর সম্পর্কে আরও কিছু উদাহরণ দেখুনঃ
(i) আশরাফ আলী থানভী তার কিতাবে লিখেছেনঃ
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হে যাবির (রাঃ)! মহান আল্লাহ পাক সবকিছু সৃষ্টির করার পূর্বে আপনার রাসূল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নূর মোবারাক সৃষ্টি করেছেন।
(নাসরুত্তিব ৫)
(ii) আশরাফ আলী থানভী আরও লিখেছেনঃ
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করার ১৪ হাজার বছর পূর্বে আমি আমার রবের নিকট নূর হিসেবে ছিলাম।
(নাসরুত্তিব ৬)
(iii) আশরাফ আলী থানভী তার কিতাবে লিখেছেনঃ
একথা প্রসিদ্ধ যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন ছায়া ছিলনা। কেননা তাঁর শরীর মোবারাক ছিল আপাদমস্তক নূর, তথা নূরে মোজাস্সাম।
(শুকুরুন নিয়ামাহ ৩৯)
(iv) আশরাফ আলী থানভী আরও লিখেছেনঃ
হুজূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই নূর এবং কোরআন শরীফ নামক নূরেরও তিনি অধিকারী। তাহলে উভয় নূর মিলে কেন নূরুন নূর হবেন না ?
(সালসুজ সুদুর ৮৩)
(v) ভারতের দেওবন্দীদের ওয়েবসাইট থেকে
Question: 3126
Is the Prophet peace be upon him's nur the first thing to be created? Also, was it created before Adam alayhis salam's?
Answer: 3126
(Fatwa: 903/876=D)
Hazrat Hakimul Ummah, Maulana Ashraf Ali Thanwi has mentioned a Hadith in his book نشر الطیب فی ذکر النبی الحبیب صلی اللہ علیہ وسلم with reference of Ahkam bin Al-Qattan that Hazrat Ali bin Al-Hussain (Zainul Abdeen) narrated from his father Hazrat Hussain (رضی اللہ عنہ) and he narrated from his father (Hazrat Ali رضی اللہ عنہ) that the Prophet (صلی اللہ علیہ وسلم) said: ?I was a noor (light) in front of my Lord some forty thousand years before the birth of Hazrat Adam (علیہ السلام)?.
There are some more traditions which prove that the noor of the Prophet (صلی اللہ علیہ وسلم) was created in the earliest time, some traditions say that his noor was created before the Tablet, the Pen, earth, sky and even before all creatures.
Allah (Subhana Wa Ta'ala) knows Best
Darul Ifta,
Darul Uloom Deoband
লিঙ্কঃ
Click This Link
(vi) রশীদ আহমেদ গাংগুহী লিখেছেনঃ
একারণে মহান আল্লাহ পাক তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে এরশাদ করেন- তোমাদের নিকট আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে এসেছে একখানা নূর। উক্ত আয়াতে বর্ণিত নূর হচ্ছেন হুজূরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
(এমদাদুস সুলুক ৮৫)
(vii) আহমেদ গাংগুহী আরও লিখেছেনঃ
একথা মুতাওয়াতির বর্ণণা থেকে প্রমাণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহ মোবারাকের কোন ছায়া ছিলনা। প্রকাশ থাকে যে নূরের দেহ ছাড়া বাকি সকল দেহের ছায়া রয়েছে।
(এমদাদুস সুলুক ৮৬)
(viii) হোসাইন আহমেদ মাদানী লিখেছেনঃ
সমস্ত কায়নাত নূরে মোহাম্মাদ থেকে সৃষ্ট। যদি আপনি না হতেন তাহলে আমি আসমান-যমীন সৃষ্টি করতাম না। আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মোবারাক সৃষ্টি করেছেন এই সমস্ত হাদীস সমূহের এটাই অর্থ।
(সিহাবুস সাকিব ৫০)
(ix) বাংলাদেশের দেওবন্দী আজিজুল হক বুখারী শরীফের অনুবাদে সিরাত সংখ্যা ৫/৩ এ লিখেছেঃ
সমস্ত সৃষ্টির পূর্বে নবীজীর নূর মোবারাক সৃষ্টি হয়েছে।
(x) ইউসুফ লুদায়ান্নাবী লিখেছেনঃ হুজুর
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নূর মোবারাক সবকিছুর পূর্বে সৃষ্টি করা হয়েছে।
(আপকা মাসায়েল অর উনকা হাল ৩/৮৩)
(xi) আব্দুল হাই লাখনাভী লিখেছেনঃ
হুজূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শরীর মোবারাকের কোন ছায়া ছিল না, কারণ তিনি ছিলেন নূর।
(তালিকুল আযিব লি হাল্লি হাসিয়াতুল যালালি মানতিকিত তাহাযিল)
নিচের লিঙ্ক থেকে আরবী কিতাবের স্ক্যান কপিসহ হাদীসগুলো দেখে নিন কি লিখা আছে।
Click This Link
ডাউনলোড করুন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূর, এ সম্পর্কিত বই
Click This Link
আরও কিছু হাদীস দেখুনঃ
Hadith #1
Arbaz Bin Sariyah (ra) narrated that the Sahaba asked (about reality of Prophet). The Prophet (Peace Be Upon Him) said: I am the prayer of Ibrahim (Peace Be Upon Him) and Esa (Peace Be Upon Him) gave glad tiding of my arrival to his nation. My mother saw such a Light (Nur) coming out from her body that it lit the castles of Syria
Reference
►Bayhaqi, Dala’il un Nubuwwah, Volume 001, Page No. 83
►Imam Ibn Kathir (rah) narrated it in his Tafsir (4:360).
►It is also narrated by al-Hakim in his Mustadrak (2:616-617)
►Ahmad in his Musnad (4:184)
►Bayhaqi again in Dala'il al-nubuwwa (1:110, 2:8).
►Ibn al-Jawzi cites it in al-Wafa' (p. 91, ch. 21 of Bidayat nabiyyina sallallahu `alayhi wa sallam
►Haythami cites it in Majma` al-zawa'id (8:221) and said Tabarani and Ahmad narrated it, and Ahmad's chain is fair (hasan). See for Ahmad's complete text Bisharatu `Isa (#454).
Hadith #2 (আগেও উল্লেখ করা হয়েছে)
Musannaf Abdur Razaq
It is narrated by Imam Abdur Razaq from Mua'mar, from Ibn al-Manqadr, from Jabir ibn `Abd Allah who said to the Prophet (Peace Be Upon Him) : "O Messenger of Allah (Peace Be Upon Him), may my father and mother be sacrificed for you, tell me of the first thing Allah created before all things." He (Peace Be Upon Him) said: "O Jabir, the first thing Allah created was the light of your Prophet from His (created) light, and that light remained (lit. "turned") in the midst of His Power for as long as He wished, and there was not, at that time, a Tablet or a Pen or a Paradise or a Fire or an angel or a heaven or an earth. And when Allah wished to create creation, he divided that Light into four parts and from the first made the Pen, from the second the Tablet, from the third the Throne, [and from the fourth everything else]......."
References
►Musannaf Abdur Razaq, al-Juz al-Mafqud min al-Juz al-Awwal min al-Musannaf Abdur Razaq, Page No. 99, Hadith Number 18
►Qastalani in Mawahib ul Laduniyah Volume 001, Page No. 71,
►Zurqani in Sharah Mawahib ul Laduniyah Volume 001, Page No. 89-91,
►Ajluni in Kashf al-Khafa (وقال : رواه عبد الرزاق بسنده عن جابر بن عبد اﷲ رضي اﷲ عنهما) Volume 001, Page No. 311, Hadith Number 827,
►Halabi in his Sirah Volume 001, Page No. 50,
►Ashraf Ali Thanvi in Nashar ut-Tib Volume 001, Page No. 13
Imam Ibn Hajr al-Haythami (rah) narrates in his Fatawa al Hadithiyyah:
فقد أخرج عبد الرزاق بسنده عن جابر بن عبد الله الأنصاري رضي الله عنهما قال: "قلت: يا رسول الله بأبي أنت وأمي أخبرني عن أوّل شيء خلقه الله قبل الأشياء؟ قال: يا جابر إن الله خلق قبل الأشياء نور نبيك محمد صلى الله عليه وسلّم من نوره فجعل ذلك النور يدور بالقدرة حيث شاء الله، ولم يكن في ذلك الوقت لوح ولا قلم ولا جنة ولا نار ولا ملك ولا سماء ولا أرض ولا شمس ولا قمر ولا إنس ولا جن، فلما أراد الله تعالى أن يخلق الخلق قسم ذلك النور أربعة أجزاء: فخلق من الجزء الأوّل القلم، ومن الثاني اللوح، ومن الثالث العرش، ثم قسم الجزء الرابع أربعة أجزاء: فخلق من الأول حملة العرش، ومن الثاني الكرسي، ومن الثالث باقي الملائكة Undoubtedly Abdur Razzaq mentioned with his Sanad from Jabir ibn `Abd Allah who asked: "O Messenger of Allah, may my father and mother be sacrificed for you, tell me of the first thing Allah created before all things." He said: "O Jabir, the first thing Allah created was the light of your Prophet from His light, and that light remained (lit. "turned") in the midst of His Power for as long as He wished, and there was not, at that time, a Tablet or a Pen or a Paradise or a Fire or an angel or a heaven or an earth. And when Allah wished to create creation, he divided that Light into four parts and from the first made the Pen, from the second the Tablet, from the third the Throne, [and from the fourth everything else]
Reference
►Narrated by Imam Ibn Hajr al Haytami in Fatawa al Hadithiyyah Page No. 289
Note: Sheikh Abdul Haqq Muhadith Dhelvi (Rahimuhullah) said: The source of creation, universe and of Adam is Nur of Muhammad(Salallaho alaihi wasalam), hence "IT HAS COME IN SAHIH HADITH THAT THE FIRST THING WHICH ALLAH CREATED WAS MY NUR!" [Madarij al Nabuwah, Volume No.2, Page No. 2]
Some people object that in hadith it has also come that first thing which Allah created was Al-Qalam (i.e. pen) and they cite the hadith in Tirimdhi as proof which states: أَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ الْقَلَمُ (i.e. First thing which Allah created was the pen)
They say that hence Pen is the first creation therefore the hadith of Prophet (Peace be upon him) being first created Nur contradicts it.
This is their misconception because things have been first created according to their relative primacy, here is hadith from Sahih Bukhari which even proves Throne and Water to be created before Pen
كان اللهُ ولم يكُنْ شيءٌ غيرُه. وكان عرشُهُ على الماءTranslation: First of all, there was nothing but Allah, and (then He created His Throne). His throne was over the water [Translation by Muhsin Khan, Sahih Bukhari in English, Volume 4, Book 54, Number 414]
After seeing this the deniers are dumbstruck and their own pseudo logic stands refuted because now there is even conflict between other Sahih ahadith regarding what was the first thing created! But the point is how to bring reconciliation? Imam Badr ud-din Ayni (rah) gave a magnificent answer, he states in his Umdat al Qari, Sharh Sahih al Bukhari
روى أحمد والترمذي مصححا من حديث عبادة بن الصامت مرفوعاً أول ما خلق الله القلم ثم قال أكتب فجرى بما هو كائن إلى يوم القيامة واختاره الحسن وعطاء ومجاهد وإليه ذهب إبن جرير وابن الجوزي وحكى ابن جرير عن محمد بن إسحاق أنه قال أول ما خلق الله تعالى النور والظلمة ثم ميز بينهما فجعل الظلمة ليلاً أسود مظلماً وجعل النور نهاراً أبيض مبصراً وقيل أو ما خلق الله تعالى نور محمد قلت التوفيق بين هذه الروايات بأن الأولية نسبي وكل شيء قيل فيه إنه أول فهو بالنسبة إلى ما بعدها
Translation: Imam Ahmed and Imam Tirimdhi have narrated the Marfu hadith with Sahih Isnad from Ibada bin Samit (ra) which proves that Allah first created the Pen and then told it to write and It wrote everything which would happen till day of Judgement. Hassan, Ata and Mujahid have adopted this too, Ibn Jarir and Ibn Jawzi also have this Madhab whereas Ibn Jarir has narrated from Muhammad bin Ishaq that “ALLAH CREATED THE NUR AND DARKNESS PRIOR TO EVERYTHING” and then differentiated between them, There is also a saying that Allah first created “THE NUR OF MUHAMMAD (PEACE BE UPON HIM)” so how could reconciliation be brought in these different narrations? I say that they could be reconciled by saying that everything has its “RELATIVE PRIMACY” and they are first in relevance to things which came after them. [Umdat al Qari, Sharh Sahih al-Bukhari, Volume No. 15, Page No. 109]
Mullah Ali Qari (rah) beautifully said:
الأوّل الحقيقي هو النور المحمدي على ما بينته في المورد للمولد
Translation: The first reality is the “NUR-AL-MUHAMMADI” as I have mentioned in my book Al-Mawrid lil-Mawlid [Mullah Ali Qari in Mirqat, Sharh al Mishqaat (1/289), Published by Dar ul Fikr, Beirut, Lebanon]
Mullah Ali Qari (rah) also said:
والأوّلية من الأمور الإضافية فيؤوّل أن كل واحد مما ذكر خلق قبل ما هو من جنسه ؛ فالقلم خلق قبل جنس الأقلام ونوره قبل الأنوار وإلا فقد ثبت أن العرش قبل خلق السموات والأرض، فتطلق الأوّلية على كل واحد بشرط التقييد فيقال: أوّل المعاني كذا، وأوّل الأنوار كذا، ومنه قوله: «أوّل ما خلق الله نوري»، وفي رواية: «روحي» ومعناهما واحد، فإن الأرواح نورانية
Translation: Being first is amongst the matters of “Idhafiyah” hence the interpretation will be done that these things (i.e. Qalam, Aql, Nur, Ruh, Arsh etc…) are first according to their own “JINS” hence Pen was created first in relevance to other Pens [Note: Here Mullah Ali Qari is beautifully explaining relative primacy] and the Nur [al-Muhammadi] was created prior to every other Nur. It is also proven that Arsh was created prior to heavens and earth and all this will be attributed towards one meaning as the Prophet (Peace be upon him) said: “The First thing which Allah created was my Nur” and It has also come in another report thatIt was his “RUH” and both of them “HAVE SAME MEANING BECAUSE SPIRITS ARE CREATED FROM NUR[Mullah Ali Qari in Mirqat, Sharh al-Mishqaat (1/290), Published by Dar ul Fikr, Beirut, Lebanon]
So people who deny Muhammadan reality are first asked to pass a verdict of Kufr/Shirk upon Imam Badr ud-din Ayni (rah), Imam al-Qastallani (rah), Mullah Ali Qari (rah), Ibn Hajr al-Haythami (rah), Allama Alusi (rah) and many others, only then they can have a valid difference of opinion over this issue!
The hadith of Jabir bin Abdullah (rah) is further authenticated by another hadith which is Sahih and proves that Nur of Prophet (Peace be upon him) was created prior to Adam (a.s).
2) Abu Hurraira (ra) narrates from the Messenger of Allah (May Peace be upon him) that he said: When Allah created Adam (Peace be upon him) He informed him of his descendants, at this Adam (Peace be upon him) saw superiority of some over others, then he saw me towards the end in form of an “ILLUMINATING NUR”(i.e. the Last of the Prophets to be sent) he (adam) said: O my Lord who is this? The Lord replied: This is your son Ahmed who is the first and the last and (on the Day of Judgment) he will be first to do intercession.
Reference
►Bayhaqi, Dala’il un Nubuwwah: Volume 005, Page No. 483
Hadith #3
Imam Taj ad-Din Subki said: "It has been said that Allah created the spirits before the bodies, and the Prophet's reference to his prophecy in the hadith, "I was a Prophet while Adam was still between the spirit and the body”may be a reference to his blessed spirit and to the Reality of Realities (haqiqat al-haqa'iq). Our minds fall short of knowing such a Reality, but its Creator knows it, and also those to whom He extends a madad of light from Him [man amaddahu bi nurin ilahi]. Allah brings to existence whichever of these realities that He likes in the time that He pleases. As for the reality of the Prophet, it is most likely that it was before the creation of Adam, and Allah gave it its prophetic attribute upon its creation; therefore already at that time, he was the Prophet."
Reference
►Imam Qastallani, Mawahib al-laduniyya Volume 001, Page No. 31-32
There is a further confirmation of the relation of the light of the Prophet to that of the rest of creation in the hadiths comparing Prophetic knowledge to the light of the stars in the darkness of night. Anas relates that the Prophet said: "The simile of the scholars of knowledge (al-`ulama') on the earth is the stars in the sky by which one is guided in the darkness of the land and the sea. When the stars are clouded over, the guides are about to be lost." Ahmad narrated it in his Musnad (Volume 003, Page No. 157 Hadith Number12606) with a chain containing Rishdin ibn Sa`d who is weak. However, it is confirmed by the hadith in Muslim and Ahmad narrated by Abu Musa al-Ash`ari whereby the Prophet said: The stars are trust-keepers for the heaven, and when the stars wane, the heaven is brought what was promised (i.e. of the corruption of the world and the coming of the Day of Judgment); and I am a trust-keeper for my Companions, so when I go my Companions will be brought what was promised them (i.e. of fitna and division); and my Companions are trustkeepers for my Community, so when they go my Community will be brought what was promised to you (i.e. following hawa and vying for dunya).
Imam Abu Abdullah Ibn al-Haaj al-Maliki
"The first thing Allah created is the light (Nur) of Muhammad (Peace Be Upon Him), and that light came and prostrated before Allah. Allah divided it into four parts and created from the first part the Throne, from the second the Pen, from the third the Tablet, and then similarly He subdivided the fourth part into parts and created the rest of creation. Therefore the light of the Throne is from the light of Muhammad , the light of the Pen is from the light of Muhammad (Peace Be Upon Him), the light of the Tablet is from the light of Muhammad , the light of day, the light of knowledge, the light of the sun and the moon, and the light of vision and sight are all from the light of Muhammad (Peace Be Upon Him). [al-Madkhal, Volume 002, Page No. 32-3]
Hadith # 4
Ka'aab bin Ahbaar said: That Adam (may peace and blessings be upon Him) said O my son whenever you do Zikr of Allah always remember to do zikr of Prophet Muhammad (Peace Be Upon Him) too with out doubt I saw his name written on skies when I was between Soul and Soil I did Tawaf of all the skies and didnt saw a single place in these skies when Muhammad name wasnt written, on the cheeks of Hoors, on the heaven's castle's tree leafs, on the leafs of Tooba tree, on the leaves of tree called Sidrah al-Muntiha, on the eyes of gatekeepers of heaven and between the eyes of angels I saw Muhammad written, so you should do their Zikr with much focus and extreme, without doubt the angels also remember him all the time.
Reference
► Ibn Asakir, Tarikh Madina-Damishq Volume 023, Page No. 281: Publish: Dar al Fikr, Beirut, Lebanon
Hadith # 5 Abdullah Ibn Abbas narrated: That I said 'O' Prophet (Peace Be Upon Him), my mother and father be sacrificed on you where were you at the time Adam (may peace and blessings be upon Him) was in heaven, He said that the Prophet (Peace Be Upon Him) smiled so that his teeth became clear then he said I was in the loin of Adam (may peace and blessings be upon Him) and then in the loin of my father Noah (may peace and blessings be upon Him) then I was taken on a ship then my Light (Nur) was put into loin of Abraham (may peace and blessings be upon Him) my parents were never given to me expect those who did Nikah I was always transferred to pure people. In Turah and Bible was my name was mentioned every Prophet of Allah mentioned by blessings, With my Light (Nur) the morning was lightened and the people got cloud shadow due to me and Allah granted me one of his names and He is Mehmood of Arsh and I am Muhammad and Allah promised me Hodh al-Kosar and he made me the first Intercessor and I will be the first person who Intercession on will be accepted, and Allah gave me birth in the best time of mankind, the people of my Ummah are those who praise Allah, they ask to do good deeds and stop from sins.
Reference
►Ibn Asakir, Tarikh Madina-Damishq Volume 003, Page No. 408: Publish: Dar al Fikr, Beirut, Lebanon
Hadith # 6
Hadrat Sayyida Halima Sa'adiya (radi Allahu anha) who was the one responsible for feeding milk to the Holy Prophet (صلى الله عليه وآله وسلم) The one before whom the Holy Prophet (صلى الله عليه وآله وسلم) used to eat and drink, even she believed that the Holy Prophet (صلى الله عليه وآله وسلم) was Noor and this has been explained by Allama Muhadith Ibn Jauzi and Qazi Thanaullah Paani Pati (rahmatuallah aleh) as follows: "When I used to feed milk to the Holy Prophet (صلى الله عليه وآله وسلم) then I never felt the need for a light in my house. Thus one day Umme Khula Sa'diya said, "O Halima ! Do you leave the fire burning for the entire night in your house? and I answered by saying, "No! I swear by Almighty Allah that I do not keep the fire burning at all. This Noor and brightness is that of Sayidduna Rasoolullah Prophet (صلى الله عليه وآله وسلم)Reference
►Bayaanul Miladun Nabwi pg 54 - Tafseere Mazhari
Hadith # 7
لَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي دَخَلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ أَضَاءَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَظْلَمَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ وَلَمَّا نَفَضْنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَيْدِي وَإِنَّا لَفِي دَفْنِهِ حَتَّى أَنْكَرْنَا قُلُوبَنَا
Sayyidina Anas ibn Maalik (RA) narrated: The day when Allah’s Messenger entered Madinah, everything in it was illuminated. Then, the day when he died everything in it became dark. And we had barely dusted off our hands after burying him when our hearts changed.
References
►Trimidhi Hadith No: 3638
►Musnad Ahmad Hadith No: 13311
►Ibne Majah Hadith No: 1613
►Muwahibul ladaniyah pg 68 vol 1
►Mustadrik pg 12 vol 3
Hadith # 8
Ibn 'Abbas said: I spent the night in the house of my mother's sister, Maimuna, and observed how the Messenger of Allah (may peace be upon him) prayed (at night). He got up and relieved himself. He then washed his face and hands and then went to sleep. He again got up and went near the water-skin and loosened its straps and then poured some water in a bowl and inclined it with his hands (towards himself). He then performed a good ablution between the two extremes and then stood up to pray. I also came and stood by his left side. He took hold of me and made me stand on his right side. It was in thirteen rak'ahs that the (night) prayer of the Messenger of Allah (may peace be upon him) was completed. He then slept till he began to snore, and we knew that he had gone to sleep by his snoring. He then went out (for the dawn prayer) and then again slept, and said while praying or prostrating himself:" O Allah! place light in my heart, light in my hearing, light in my sight, light on my right, light on my left, light in front of me, light behind me, light above me, light below me, make light for me," or he said:"Make me light."
Reference
►Sahih Muslim, Book 004, Hadith #1677
Hadith # 9
'Abdullah b. 'Abbas reported: He spent (one night) in the house of the Messenger of Allah (may peace be upon him). He (the Holy Prophet) got up, brushed his teeth and performed ablution and said:" In the creation of the heavens and the earth, and the alternation of the night and the day, there are indeed signs for people of understanding" (al-Qur'an, iii. 190), to the end of the Surah. He then stood up and prayed two rak'ahs, standing, bowing and prostrating himself at length in them. Then he finished, went to sleep and snored. He did that three times, six rak'ahs altogether, each time cleaning his teeth, performing ablution, and reciting these verses. Then he observed three rak'ahs of Witr. The Mu'adhdhin then pronounced the Adhan and he went out for prayer and was saying,:" O Allah I place light in my heart, light in my tongue, place light in my hearing, place light in my eyesight, place light behind me, and light in front of me, and place light above me, and light below me. O Allah! grant me light." Reference
►Sahih Muslim, Book 004, Hadith #1682
Hadith # 10مجتمعات فقالت امرأة منهن يا نساء قريش أيتكن تتزوج هذا الفتى فتصطاد النور الذي بين عينيه وإن بين عينيه نوراً قال فتزوجته آمنة بنت وهب بن عبد مناف بن زهرة فجامعها فحملت برسول اللهal-Zuhri narrated: `Abd Allah ibn `Abd al-Muttalib was the most handsome man that had ever been seen among the Quraysh. One day he went out and was seen by a an assembly of the women of Quraysh. One of them said: "O women of the Quraysh, which among you will marry this youth and catch thereby the light that is between his eyes?" For verily there was a light between his eyes. Thereafter Amina bint Wahb ibn `Abd Manaf ibn Zuhra married him, and after he joined her she carried Allah's Messenger.
References
►al-Bayhaqi narrated it in Dala'il al-nubuwwa (1:87)
► Tabari in his Tarikh (2:243)
►Ibn al-Jawzi in al-Wafa' (p. 82-83, ch. 16 of Abwab bidayati nabiyyina)
Hadith # 11
1) Ibn al Jawzi al-Hanbali, narrates that the light of the Messenger of Allah would overcome the light of both the sun and lamp
Reference: [Al Wafa, Chapter al Wilada, Ibn al Jawzi]
2) Abu ‘Ubayda ibn Muhammad ibn ‘Ammar ibn Yasir said: “I said to say to al-Rubayyi’ bint Mu ‘awwadh: ‘Describe for me Allah's Messenger.’ She replied: ‘If you saw him you would say: The sun is rising.’” References: Bayhaqi narrates it with his isnad in Dala’il al-Nubuwwa (1:200), and Haythami in Majma’ al-Zawa’id (8:280) says that al-Tabarani narrates it in al-Mu'jam al-kabir and al-Awsat and that its narrators have been declared trustworthy.
3) That when Adam (May Allah bless him and grant Him peace) was being created, the noor of Prophet [May Allah bless him and grant Him peace] was placed in Adam [May Allah bless him and grant Him peace]’s forehead and Adam [May Allah bless him and grant Him peace] saw Prophet [May Allah bless him and grant Him peace], Adam [May Allah bless him and grant Him peace] asked “who is he?” Allah Ta’ala replied “He is the last Prophet and will be the chief of your children.”
Reference: Al Wafa chap on Birth of Prophet [May Allah bless him and grant Him peace] by Ibn Jawzi
Hadith # 12
Imam Qadhi Iyaad (rah) narrates:
و عن ابن عباس : إن قريشاً كانت نوراً بين يدي الله تعالى قبل أن يخلق آدم بألفي عام ، يسبح ذلك النور ، و تسبح الملائكة بتسبيحه ، فلما خلق الله آدم ألقى ذلك النور في صلبه ، فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم : فأهبطني الله إلى الأرض في صلب آدم ، و جعلني في صلب نوح ، و قذف بي في صلب ابراهيم ، ثم لم يزل الله تعالى ينقلني من الأصلاب الكريمة و الأرحام الطاهرة ، حتى أخرجني من بين أبوي لم يلتقيا على سفاح قط Translation: Ibn Abbas (ra) said that the spirit of the Prophet was a light in the hands of Allah two thousand years before he created Adam. That light glorified Him and the angels glorified by his glorification. When Allah created Adam, He casted that light into his loins. The Messenger of Allah (Peace be upon him) then said: “Allah brought me down to earth in the loins of Adam (a.s), placed me in the loins of Nuh (a.s) and then cast me into the loins of Ibrahim (a.s). Allah continued to move me from noble loins and pure wombs until he brought me out from my parents. None of them were ever joined together in fornication
Reference
►Qadhi Iyaad in Ash-Shifa bi Tarif al Haquq al Mustafa, Page No. 43
Hadith #13
عن العِرْباض بن سارِيَة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «إِنّي عِنْدَ الله لَخَاتِمُ النَّبِيِّينَ وإِنَّ آدَمَ لمُنْجَدِلٌ فِي طِيْنَتِه» .Translation: Narrated by Arbaas bin Sariyah (ra) who said that the Prophet (salallaho alaihi wasalam) said: I was the last Prophet in sight of Allah when Adam was intermingled in mud [Al Wafa bi Ahwal lil Mustafa by Ibn Jawzi, Page No. 25]
Takhreej: Narrated by Hakim in his Mustadrak 2/600 and Tabarani in his Al-Kabir 18/253, and Al Baihaqi in his Dalail an Nabuwwa 1/83, Ibn Asakir in Tarikh ul Dimishq 1/38
Ibn Hibban in his “Sahiha” Hadith No. 2093, Imam Ahmed in his Musnad 4/127, 128
Hakim said in his Mustadrak (2/600): This Hadith has Sahih chain, Haythami narrated it in Majma Az Zawaid (8/223) where he said: It is narrated by Ahmed, Tabarani, Al-Bazzar, the narrators of Ahmed are those of Sahih, except for Sa’id bin Suwaid who is Thiqa as said by Ibn Hibban
Hadith #14حدثنا الحسن قثنا أحمد بن المقدام العجلي قثنا الفضيل بن عياض قثنا ثور بن يزيد عن خالد بن معدان عن زاذان عن سلمان قال سمعت حبيبي رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول كنت انا وعلي نورا بين يدي الله عز وجل قبل ان يخلق آدم بأربعة عشر ألف عام فلما خلق الله آدم قسم ذلك النور جزءين فجزء أنا وجزء علي عليه السلام
Salman (ra) narrates that he heard the beloved Prophet (صلى الله عليه وسلم) say: I along with Ali were Nur in hands of Allah, 14000 years before he created Adam
Reference
►Imam Ahmed bin Hanbal in Fadhail as Sahaba, Volume No. 2,Page No. 663, Hadith No 1130
Note: It is known to Ahlus sunnah wal Jammah that the above hadith about Prophet (Peace be upon him) and Ali (ra) is not authentic but in relevance to other overwhelming ahadith shown and the Usool that many ahadith on a certain subject streghthen eachother, we are citing it and there is no problem if this specific hadith is rejected by someone. Having said that It should be clarified that those who understand that Arwah were created prior to bodies would know that mention of Ali (ra) over here is just to praise him though the arwah of other sahaba like Abu Bakr (ra) are also created from the Nur of Muhammad (salallaho alaihi wasalam), such a high and primitive praise has been given to many other sahaba, for example regarding Umar (ra), The Prophet (saw) said that Had there been a Nabi after me then it would have been Umar (ra)[Tirimdhi], now this does not mean there is even a possibility of someone else being a Nabi, It is just a praise, or regarding Ali (a.s) at another place when Prophet (saw) said: You are to me What Harun was onto Moses (Sahih Muslim), this would not mean that Ali (ra) becomes a Prophet (Naudhobillah).
Hadith #15
وقد كانت أم قتال رقيقة بنت نوفل أخت ورقة بن نوفل توسمت ما كان بين عيني عبدالله قبل ان يجامع آمنة من النور فودت أن يكون ذلك متصلا بها لما كانت تسمع من اخيها من البشارات بوجود محمد صلى الله عليه وسلم وأنه قد أزف زمانه فعرضت نفسها عليه قال بعضهم ليتزوجها وهو أظهر والله أعلم فامتنع عليها فلما انتقل ذلك النور الباهر إلى آمنة بمواقعتهTranslation: The sister of Waraqa bin Nawfal (RA) i.e. Umm Qatal saw Nur between eyes of Abdullah (RA)before he had gone onto his wife Amina (RA), and she had proposed to him too, her brother (Waraqa bin Nawfal) had told her that a mighty Prophet would be born from Abdullah (RA) therefore it was desire of Um Qatal that the Nabi is born through her., however the Nur (i.e. Prophet (صلى الله عليه وسلم) was transferred into Amina (RA)
Reference
►Ibn Kathir in Al Bidayah Wal Nihayah Volume 2, Page No. 162
Hadith #16
وذكر القاضي عياض عن الشفاء أم عبدالرحمن بن عوف أنها كانت قابلته وأنها أخبرت به حين سقط على يديها واستهل سمعت قائلا يقول يرحمك الله وإنه سطع منه نور رؤيت منه قصور الرومTranslation: Qadhi Iyaad (Rahimuhullah) mentioned in Ash-Shifa through the reference of Umm Abdur Rahman bin Awf (RA) that she was a Dai during the time when Prophet (saw) was born. She explains that when Prophet (salallaho alaihi wasalam) came into her hands from the body of his mother, she heard him saying: Ya Rahmak Allah and (from the body of Prophet) a Nur emerged and she saw that it illuminated the Palaces of Rome
Reference
►Al Bidayah Wal Nihayah, Volume 2, Page No. 165
Hadith #17
عن عثمان بن أبي العاص حدثتني أمي أنها شهدت ولادة آمنة بنت وهب رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة ولدته قالت فما شيء أنظره في البيت إلا نور وإني أنظر إلى النجوم تدنو حتى إني لأقول ليقعن عليTranslation: Hafidh Abu Bakr al Baihaqi (RA) narrated from mother of Uthman bin Abi al Aas(ra) that she witnessed the Haml of Hadrat Amina bint Wahb (ra) with her own eyes and on the night of birth she saw that there was nothing but Nur spread everywhere in the house and the stars had come so close to earth that it was hard to comprehendReference
►Al Bidayah Wal Nihayah, Volume 2, Page No. 164
Hadith #18
أن آمنة بنت وهب قالت لقد علقت به تعني رسول الله صلى الله عليه وسلم فما وجدت له مشقة حتى وضعته فلما فصل مني خرج معه نور أضاء له ما بين المشرق إلى المغرب Translation: Amina bin Wahb (RA) explained that before the birth of Prophet (صلى الله عليه وسلم) when she was experiencing labor pains, she saw that a Nur emerged from her body which illuminated the east and westReference
►Al Bidayah Wal Nihayah, Volume 2, Page No. 164
Hadith #19
عن العرباض بن سارية صاحب رسول الله أنه قال سمعت رسول الله يقول إني عبد الله وخاتم النبيين وإن آدم لمنجدل في طينته وسأخبركم عن ذلك دعوة أبي إبراهيم وبشارة عيسى بي ورؤيا أمي التي رأت وكذلك أمهات النبيين يرين وإن أم رسول الله رأت حين وضعته نوراً أضاءت له قصور الشامTranslation: Hadrat Arbas bin Sariyah (RA) the companion of Prophet (صلى الله عليه وسلم) heard the Messenger of Allah (Peace be upon him) saying: I am Abdullah (Slave of Allah), and last of all prophets, (I was a Prophet) when Adam was mingled in the mud, I inform you that I am the dua of my father Ibrahim (A.S) the tiding of Isa (A.S), and the dream of my mother which mothers of other prophets also used to see, My mother saw that she gave birth to a Nur which illuminated the castles of Syria
Reference
►Imam Baihaqi in Dalail an Nabuwwa, Volume No. 1, Page No. 80
Imam Hakim after narrating it said: هذا حديث صحيح الإسناد شاهد للحديث الأول
Translation: This Hadith has a Sahih chain and is also a witness over the first hadith (which he mentioned in the chapter)
Reference
►Mustadrak ala Sahihayn, Volume 2, Page No. 600, Hadith No. 4175
Hadith #20
حدثنا أبو العباس محمد بن يعقوب حدثنا أحمد بن عبد الجبار حدثنا يونس بن بكير عن بن إسحاق قال حدثني ثور بن يزيد عن خالد بن معدان عن أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم أنهم قالوا يا رسول الله أخبرنا عن نفسك فقال دعوة أبي إبراهيم وبشرى عيسى ورأت أمي حين حملت بي أنه خرج منها نور أضاءت له بصرى وبصرى من أرض الشامTranslation: The Companions of Prophet (Peace be upon him) asked him: O Messenger of Allah, inform us about yourself, (The Prophet) said: I am the prayer of my father Ibrahim (A.S), the tiding of Isa (A.S), My Mother during her haml saw that a Nur emerged from her which made her see Syria [Mustadrak al Hakim, Volume 2, Page No. 600, Hadith No. 4174]
Imam Hakim (Rahimuhullah) said after this hadith:قال الحاكم خالد بن معدان من خيار التابعين صحب معاذ بن جبل فمن بعده من الصحابة فإذا أسند حديث إلى الصحابة فإنه صحيح الإسناد ولم يخرجاهKhalid bin Madan (rah) is amongst the great Tabiyeen, the companion of Muadh bin Jabal (ra)… This hadith has Sahih Isnaad [Ibid]
Hadith #21
قد ذكرنا في باب هواتف الجان ما تقدم من خرور كثير من الأصنام ليلتئذ لوجوهها وسقوطها عن أماكنها وما رآه النجاشي ملك الحبشة وظهور النور معه حتى أضاءت له قصور الشام حين ولد وما كان من سقوطه جاثيا رافعا رأسه إلى السماء وانفلاق تلك البرمة عن وجهه الكريم وما شوهد من النور في المنزل الذي ولد فيه ودنو النجوم منهم وغير ذلك حكى السهيلي عن تفسير بقي بن مخلد الحافظ أن إبليس رن أربع رنات حين لعن وحين أهبط
وحين ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم وحين أنزلت الفاتحةTranslation: The Screaming of (evil) Jinns at the birth of Prophet (صلى الله عليه وسلم), The idols falling on their faces by whisking like cats, Najashi experiencing strange events at Habsha. Nur illuminating from the body of (Prophet)'s mother and then it turning towards sky and becoming still, All castles of Syria being illuminated with this Nur, Stars coming near to ground and this Nur illuminating on your blessed face and other such witnessed accounts we have mentioned before
Imam Suhaili (R.A) explained that Iblis cried loudly 4 times, first time when Allah declared him to be La'een and sent Lanah upon him, second time when he was thrown to earth from heaven, third time when Prophet ( صلى الله عليهوسلم) was born and fourth time when Surah Al-Fatiha was revealed.
Reference
►Al Bidayah Wal Nihayah, Volume 2, Page No. 166
Hadith #22
حدثنا علي بن حمشاذ العدل إملاء حدثنا هارون بن العباس الهاشمي حدثنا جندل بن والق حدثنا عمرو بن أوس الأنصاري حدثنا سعيد بن أبي عروبة عن قتادة عن سعيد بن المسيب عن بن عباس رضى الله تعالى عنهما قال أوحى الله إلى عيسى عليه السلام يا عيسى آمن بمحمد وأمر من أدركهمن أمتك أن يؤمنوا به فلولا محمد ما خلقت آدم ولولا محمد ما خلقت الجنة ولا النار ولقد خلقت العرش على الماء فاضطرب فكتبت عليه لا إله إلا الله محمد رسول الله فسكن هذا حديث صحيح الإسناد ولم يخرجاهTranslation: Ibn Abbas (R.A) narrates that Allah inspired Isa (A.S) saying O Isa, believe in Muhammad (صلى الله عليهوسلم), and whosoever form your Ummah finds him should believe in him, If I had not created Muhammad (صلى اللهعليه وسلم) then I would not have created Adam, If not for him I would not have created the paradise and hell, When I made the throne on Water, it started to shake, I wrote La Ilaha Il Allah Muhammad ur Rasul Ullah, due to which it became still
Reference
►Imam Hakim in Mustadrak ala Sahihayn, Volume No. 2, Page No. 609, Hadith No. 4227
Imam Hakim after narrating it said: هذا حديث صحيح الإسنادThis Hadith has Sahih chain.
Aqwaal (sayings) of great Imams and Scholars
1) Imam Fakhr ud din Razi (Rahimuhullah)
He is ranked amongst top most Mufasireen of Ahlus-Sunnah and Muslims in the east, west, north and south all accept him to be a great commentator of Qur'an (We do not care if the La Madhabiyyah sect starts accusing the great Mufasir after reading the following)
He said:
أن الملائكة أمروا بالسجود لآدم لأجل أن نور محمد عليه السلام في جبهة آدم.Translation: The Angels were ordered to prostate to Adam because there was Nur of Muhammad(صلى الله عليه وسلم) in forehead of Adam
Reference
►Imam Fakhr ud din Razi in Tafsir ul Kabir, Volume No. 2, Page No. 302
2) Imam Jalal ud din Suyuti (Rahimuhullah)
Note: Some people claim that Imam Jalal ud din Suyuti (rah) rejected the Prophet (Peace be upon him) to be Nur, therefore we consider it important to prove from Imam Suyuti (rah) at second place.
Imam Jalal ud din Suyuti (Rahimuhullah) said: Ibn Sabih (R.A) said that the shadow of Prophet (صلى الله عليه وسلم) did not fall on ground , because the "PROPHET WAS NUR"
Reference
►Al Khasais ul Kubra of Imam Suyuti, Volume No. 1, Page No. 169
Imam Jalal ud-din Suyuti (rah) did not refute this in his magnificent book on Merts of Prophet (Peace be upon him). Had there been a hint of Shirk in this concept then Imam Suyuti (rah) would have strongly refuted this report.
3) Allama Alusi al-Hanafi (Rahimuhullah) وكونه صلى الله عليه وسلم رحمة للجميع باعتبار أنه عليه الصلاة والسلام واسطة الفيض الإلهي على الممكنات على حسب القوابل، ولذا كان نوره صلى الله عليه وسلم أول المخلوقات، ففي الخبر " أول ما خلق الله تعالى نور نبيك يا جابر " وجاء " الله تعالى المعطي وأنا القاسم " وللصوفية قدستأسرارهم في هذا الفصل كلام فوق ذلك،Translation: "The Prophet's being a mercy to all is linked to the fact that he is the intermediary of the divine outpouring over all contingencies [i.e. all created things without exception], from the very beginnings(wasitat al-fayd al-ilahi `ala al-mumkinat `ala hasab al-qawabil), and that is why his light was the first of all things created, as stated in the report that "The first thing Allah created was the light of your Prophet, O Jabir," and also cited is: "Allah is the Giver and I am the Distributor." The Sufis have more to say on that chapter." [Tafsir Ruh al Ma’ani Volume 17 Page 105]
4) Imam Abu Hanifa (Rahimuhullah)
Imam Abu Hanifa (Rahimuhullah) said: You are the Nur from which even the moon of 14th night receives light, and from your Nur is the sun shinning
Reference
►Qasida al Nauman, Page No. 23
5) Mullah Ali Qari
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৮