পাঁচ যশুরে কবি
আমার কৈশোরে যশোরের পাঁচজন তরুণ কবি একটি বই লিখে আলোড়ন তুলেছিলেন। বই এর নাম পূর্ণ প্রাণ যাবো।
এই পাঁচজনই আমার খুব প্রিয় মানুষ। সবাই এখন ঢাকায়।
রব ভাইয়ের সাথে হঠাতই একদিন দেখা হয়ে গেল তাঁর ধানমন্ডির অফিসে।যশোর পাবলিক লাইব্রেরী ঘিরে যে কবির দলটি আজীজুল হক স্যারের পরিচর্যায় বড় হচ্ছিলেন, তাদের মধ্যে আব্দুর রবের কবিতা সবচেয়ে ভালো লাগতো। প্রায় তিরিশ বছর পর দেখা স্বভাবতই চিনতে পারেন নি।
দারা (দারা মাহমুদ) ভাই এর সাথে দেখা তাঁর ভোরের ডাকের অফিসে। খুলে যাচ্ছে দ্বিতীয় দরজার পর তাঁর সাথে আর দেখা হয়নি। এতদিন পরে চিনতে অসুবিধা হলেও শেষ পর্যন্ত চিনেছেন। কিন্তু ছোট বেলার মত নাম ধরে ডাকেননি। আমার চেহারার জন্যেই সম্বোধনটা আপনিতে আটকে আছে।
রানা ( সৈয়দ রানা মুস্তফি) ভাইয়ের সাথে শেষ দেখা প্রায় পঁচিশ বছর আগে মতিঝিলে। ফোন নম্বর জোগাড় করে ফোন দিয়েছিলাম গত বছর। অনেকক্ষণ কথাবার্তা হয়েছে।
স্ট্যালিন ( রেজাউদ্দিন স্ট্যালিন) ভাইয়ের সাথে সর্বশেষ দেখা হয়েছিলো, প্রকৃতির অফিসে গত বই মেলার আগে। আমার বই গোলাপের রঙের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে দেখি রেজাউদ্দিন স্ট্যালিন বসে আছেন। তাঁর একটি কবিতা সোনামুখী ধানশীষ পূর্ণ প্রাণ যাবে (ভুলও হতে পারে), আমাদের সময় যশোরে খুব জনপ্রিয় ছিলো।
কবীর হোসেন তাপসের চেহারা ছিলো নায়কদের মত। তার ভেসপাটি পরিচিত ছিলো যশোরে। কিশোর বাংলায় তার লেখা ছাপা হত। একটি বিজ্ঞাপনী অফিসে কাজ নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন শুনেছি। দীর্ঘদিন তাঁর কোন লেখা চোখে পড়েনি। শুনেছি মহাখালি ডিওএইচএসে তাঁর অফিস। আমিও এখানেই থাকি, কোন একদিন দেখা হয়ে যেতেও পারে।
জানি তিনিও আমাকে চিনতে পারবেন না।
তাদের প্রথম কবিতার বই
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৬