গত বছর অক্টোবর মাসে ডেসটিনির অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে ভয়ঙ্কর একটি চক্র ১০০ কোটি টাকার বিশাল বাজেটে 'ডেসটিনি বন্ধ প্রকল্প' গ্রহণ করে। যে চক্রের সঙ্গে দেশের অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডেকেটের কতিপয় হোতা, খাদ্য ভেজালদাতা চক্র, নকল ওষুধ তৈরি করে শিশু হত্যাকারী, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেট, মাদকসম্রাটসহ দেশ ও সমাজবিরোধী মুখোশধারী একশ্রেণীর লোক জড়িত রয়েছে, যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশের জনগণকে অনবরত বিভ্রান্ত করে চলেছে।
সরকার চায় না দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে মানুষকে পথে বসাতে বরং দেশের উন্নয়নে সরকার সব সময় সহযোগিতা করে থাকে। এ ক্ষেত্রে সরকারও ইতিবাচক সাপোর্ট দিয়ে ডেসটিনির সংকটকালে পাশে দাঁড়িয়েছে, তবে সরকারের ভেতর লুকিয়ে থাকা কতিপয় দুর্নীতিবাজ লোক বসে কলকাঠি নাড়ছে ।
ডেসটিনিকে নিয়ে হাতেগোনা কয়েকটি পত্রিকার উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে রফিকুল আমীন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ অথচ ওই সব মিডিয়া আমার কাছে এসে কখনও এর জবাব জানতে চায়নি। অসৌজন্যমূলকভাবে টেলিফোনে কেউ কেউ আমার সঙ্গে কথা বললেও আমি আজ পর্যন্তও জানি না কেন তারা আমার কাছে এসে সত্যিকার তথ্য গ্রহণ করে রিপোর্ট করেনি।
রফিকুল আমীন বলেন, তাদের ওই আচরণ থেকে পরিষ্কার বোঝা গেছে যে, ডেসটিনির বিরুদ্ধে তারা 'কলম সন্ত্রাসের' পথ বেছে নিয়েছে। মানুষকে বোকা বানিয়ে, ধোঁকা দিয়ে যারা কলম সন্ত্রাস করছে, তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে এবং তাদের বিষয়ে যুগোপযোগী একটি আইন প্রণয়ন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। রফিকুল আমীন বলেন, লাখ লাখ মানুষের রুটি-রুজি নিয়ে যারা খেলা করছে, যারা মানুষের ক্ষতি করে চলেছে, তারা অবশ্যই অভিশপ্ত। আর এদের অপঘাতে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে।
ডেসটিনির মিডিয়া প্রসঙ্গে রফিকুল আমীন বলেন, আমাদের সংকটকালে দৈনিক ডেসটিনি ও বৈশাখী টেলিভিশন যেভাবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, তার ঋণ কোনো কিছু দিয়ে শোধ করা যাবে না। এর সঙ্গে জড়িতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মধ্যে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ মিডিয়া হাউস হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সে জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রফিকুল আমীন আরো জানান, ডেসটিনি সম্পর্কে সঠিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে অপপ্রচারকারীদের মুখোশ উন্মোচন হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রতি শনি ও বুধবার বৈশাখী টেলিভিশনে 'এমএলএম জিজ্ঞাসা' অনুষ্ঠান হবে। এছাড়া ডেসটিনিতে এসে সফল হয়েছেন এমন মানুষদের নিয়ে টকশো, নারী উন্নয়ন, পণ্যসহ কোম্পানির নানা বিষয় নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান হবে।
ডেসটিনির বিরুদ্ধে পত্রিকাগুলোর উদ্দেশ্যমূলক প্রচারকে হলুদ সাংবাদিকতার শামিল বলে মন্তব্য করে মোহাম্মদ রফিকুল আমীন বলেন, শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যকে ভিত্তি করে পত্রিকাগুলো লিখছে; কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্টে যেটা অনুমান করা হয়েছে, সেটাকে পত্রিকাগুলো চূড়ান্ত হিসেবে লিখছে। এর সঙ্গে মন্তব্য জুড়ে দিচ্ছে। আমি যতদূর জানি সংবাদে মন্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই। মন্তব্য লিখতে হলে সম্পাদকীয়তে লিখুন।
একটি পত্রিকার ডেসটিনিবিরোধী রিপোর্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা এক বছর আগে ১৬ পৃষ্ঠার ২ টাকা মূল্যের একটি পত্রিকা ১০ লাখ গ্রাহকের জন্য প্রকাশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম। যেটা কোনো রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির মুখপত্র হবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এটা চলবে। প্রয়োজনে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্টেও এটা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানেও বলা হয়েছে_ এটা (পত্রিকাটি) তাদের 'রক্ষাকবচ'। তাহলে যে পত্রিকাগুলো বাজারে আছে সেগুলো কি কারো কারো ব্যবসার রক্ষাকবচ_ উল্টো প্রশ্ন করেন তিনি।
বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ৬৩ কোটি কেন ৬৩ লাখ টাকাও বিদেশে পাচারের কোনো সুযোগ নেই। এমনভাবে ব্যবসার সিস্টেম চালু করা হয়েছে, যেখানে কোনো পরিচালক ইচ্ছে করলেও টাকা পাচার করতে পারবেন না।