কবিতা আমার লেখাই হয়না আর
যখনই হঠাৎ লিখতে বসি আমি,
কলমের মুখে আসে জয় গোস্বামী;
নিজের কবিতা হারিয়ে যায় আবার !
ঠান্ডা চা'য়ের পেয়ালা লাগাই ঠোঁটে
আকাশ কাঁপিয়ে নজরুল হেসে ওঠে,
"ওরে পাগলা, এভাবে কি লেখা আসে?"
আমি চেয়ে থাকি, বিদ্রোহী কবি হাসে
জসীমউদ্দিন মুচকি হেসে বলেন,
"কবিতা দেখবি? ঐযে বাইরে তাকা !
পূবের আকাশ শ্রাবণের মেঘে ঢাকা
ধানখেতে জল - এই তো বিশাল কবিতা !"
ঘোর ঘোর চোখে সেদিকে তাকিয়ে থাকি
হঠাৎ খাতায় কার যেন ছায়া পড়ে
জীবনানন্দ দাঁড়িয়ে চুপটি করে !
চোখে তাঁর ছায়া - সোনালী ডানার পাখি...
শক্তি চট্টোপাধ্যায় বলে ওঠেন,
কবিতা শিখতে চাস কবিদের কাছে?
নিজের ভেতরই চেয়ে দেখ, খুঁজে পাবি -
"বুকের ভিতর আলগা হয়ে আছে !"
লাইনগুলো তাই ভেঙে-চুরে ফের লিখি
নিজেই বুঝি - হয়না, কিচ্ছু হয়না !
শক্তি হাসেন, এ আর নতুন কী?
"নদীর বুকে বৃষ্টি - পাহাড় সয়না !"
নির্মলেন্দু গুণ খোঁচা দিয়ে বলেন,
"এত দ্বিধা, তবে জন্মেছিলি কেন?"
আবুল হাসান ওপাশ ফিরে ঘুমায়
শহীদ কাদরী কিছুই বলেনা - মৌন।
নিজের খাতায় চোখ ফিরিয়ে ভাবি,
ছন্দ পেলেও কবিতা হয়তো পাব না;
আমি কি কখনও কবিতা ছেড়েছি, নাকি
কবিতা আমায় ছেড়েছে - সেটাও ভাবনা !
তরুণ কবি তানিম হঠাৎ ডাকে,
"ভাইয়া, এমন গায়েব হয়ে যাও কোথা?"
ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকি আর ভাবি,
আমার কি আদৌ কবিতা লেখার কথা???