আমি ছোট বেলা থেকেই নেশগ্রস্থ। নেশার খোরাক যোগাতে গিয়ে ছোট বেলায় মা’র ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করতাম এক সময়। বড় হয়ে এই নেশার কারনে অনেক কিছু করেই টাকা আয় করতে হয়েছে। টিউশনি করানো, পার্ট টাইম জব সবই আমি করেছি এই নেশার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে। কিন্তু নেশায় আমার আসক্তি কমেনি। বরং দিন দিন এই আসক্তি বেড়েই চলেছে। ছোট বেলায় আমার বাবাই এই নেশার বীজ আমার রক্তে ঢুকিয়ে দিয়েছে। সেই বীজ আমি আজও বয়ে বেড়াচ্ছি। এ যে ভ্রমণের নেশা। ত্যাগ করা দায়, নেই যে উপায়!!!
১। নারায়ণগঞ্জে ফেব্রুয়ারিতে প্রচুর ফুলের চাষ হয়। গ্লাডিওলাস, গোলাপ, ডালিয়া, জারবেলা, ইনকা অন্যতম। সেগুলো দেখতে যাওয়ার কোন এক ফাঁকে।
২। হামহাম ঝর্ণা।
৩। সুন্দরবন সবসময় আমাকে টানে। প্রতিবছর একবার যাওয়া হয়। এ বছর অবশ্য ‘সাদা মনের মানুষ’ এর সাথে গিয়েছিলাম
৪। বালিয়াতি জমিদার বাড়িতে।
৫। নীলগিরি হেলিপ্যাড থেকে আমার উড়ার মুহূর্তে।
৬। কেউকারাডং এর চূড়ায়।
৭। মহামায়া রাবার ড্যাম প্রোজেক্ট।
৮। বিরিশিরি, আমার প্রিয় বিরিশিরি।
৯। বিছানাকান্দি
১০। লক্ষঞ্ছরা
১১। পান্তুমাই
১২। লালাখাল
১৩। রিসাং ঝর্ণা, খাগড়াছড়ি।
১৪। নাটোর। আমি এখন রাখাল !
১৫। সমুদ্রের টানে, দক্ষিনের দ্বীপে। ছেঁড়াদ্বীপ।
১৬। আমার বয়স তখন ৬-৭ হবে। নেশা টা আমার ছোট বেলা থেকেই।
১৭। ট্র্যাক টু রকি আইল্যান্ড।
১৮। রকি আইল্যান্ড।
১৯। তিস্তা নদীতে বোট র্যফটিং।
২০। লালনের টানে পদ্দহেম ধামে যাওয়ার পথে।
২১। একবার তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ সাইকেল নিয়ে যাওয়ার নেশা চাপছিল। ১০৫০ কি মি। যেতে লাগলো ৯ দিন।
২২। কেন ঢুকতে পারছি না, পিছনের সাইন বোর্ড পরে বুঝে নিন।
২৩। দাদাদের দেশে গিয়েছিলুম সেবার।
২৩।১ তৈ দৈ ছড়া ঝর্ণা খুঁজতে দীঘিনালায়।
২৪। আমিয়াখুমের পথে।
২৫। আমি যখন আমিয়াখুমের দারোয়ান ছিলাম।
২৬। অরণ্য শান্তি কুটিরে, পানছড়ি, খাগড়াছড়ি
২৭ মন বারে বারে চলে যায় টাঙ্গুয়ার মায়ায়
২৮। নওয়াব বাড়ি, টাঙ্গাইল।
২৯। রাজশাহীর যতো কথা...
৩০। জলপ্রপাতের নাম নাফাখুম...
৩১। সাইকেলে তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ
মানুষ আফিম, গাঁজা, চরস, মদ যে কোন একটাতে বেশি অভ্যস্ত হয়। আর আমি সুন্দরবন, বান্দারবান, সিলেট, রাঙ্গামাটি তথা পুরা বাংলাদেশের প্রতিই নেশাগ্রস্থ। কেউ আমাকে বাঁচান !!!