এখন রাত কটা বাজে?
দেখার জন্যে ঘড়ির দিকে তাকাতেই আবিষ্কার করলাম বাম হাতের কঞ্জির ঠিক তিন আঙ্গুল নিচের দাগটা আজো ফিকে হয়ে আছে।
সেই সাত বছর আগে কেউ একজন ঘড়িটা পরাতে গিয়ে আঁচড় কেটেছিল তবে সেটা ইচ্ছা করে নয় অনিচ্ছাতেই,
তো সেটাকে কাজে লাগাতেই হয়তবা হটাৎ করে বলে ফেলেছিল এই আঁচড়ের দাগ যতদিন থাকবে আমায় ততদিন পাশে পাবে।
তখন আর এত কিছু ভাবিনি, বাসায় গিয়ে রাতে যখন টেবিলে বসলাম তখন মাথায় চিন্তা ভর করতে লাগল - এই দাগতো খুব সামান্য কদিন থাকবে এ দাগ আমার হাতে?
ভাবতে ভাবতে অনেকটা সময় পার করে দিয়েছিলাম,
এভাবেই কেটে গেল ৫/৬ দিন একদিন রাতে হটাৎ আবিষ্কার করলাম এই ক্ষততে যদি আমি প্রতিনিয়ত মুছে যাওয়ার আগে আঁচড়ে দেই তাহলে সারাজীবন এ দাগ থাকা সম্ভব,
সেই থেকে শুরু আমার পাগলামি...
এভাবেই চলছিল দিনবদলের টানাপোরানে সুতোয় পড়ল টান!
হাতের দাগ ঠিকি রইল কিন্তু সে হারিয়ে গেল সুখের দেশে...
সেই থেকে একটা আঁচড়ের জায়গায় গুনে গুনে তিনটি আঁচড় কেটে যাচ্ছি।
নাহ তাকে ফিরে পাবার জন্যে নয়,
বাকি দুটি দাগ তাকে ভুলে যাওয়ার জন্যে।
দাগতিনটে আবার মুছে যাওয়া ভাব হয়েছে।
আবার আঁচড়ে দেই?
নাহ থাক আজ আর আঁচড়ের দরকার নেই...
ওহ ভুলেইতো গিয়েছিলাম ঘড়ি দেখতে গিয়েই এত কিছু মনে পড়ে গেল এই ঘড়িরযে রয়েছে আর বড় কাহিনি!
নাহ থাক আজ আর না কথা গুলো কেমন জানি এলোমেলো লাগছে অন্য একদিন লিখব...
যাই দুঃস্বপ্ন দেখে রাত কাটানোর চাইতে আরেকটি নির্ঘুম রাত কাটানোর যোগারযন্ত করি...
সবেতো রাতের শুরু পারি দিতে হবে এই দীর্ঘ রাত...
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪২