বিজ্ঞানীরা সুপারকম্পিউটারের মাধ্যমে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে গবেষণা করেছেন, যার ফলে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর এক তথ্য। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আগামী কিছু বছরের মধ্যেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।এই ফলাফল দেখে অনেকেই মনে করছেন, হয়তো পৃথিবীর শেষ সময় ঘনিয়ে এসেছে। একদিন এমন এক দিন আসবে, যখন আর কোনও মানুষই জীবিত থাকবে না! কী ভাবে ঘটবে সেই ভয়ঙ্কর মহাপ্রলয়?সুপারকম্পিউটারের ভবিষ্যদ্বাণী: কবে ধ্বংস হবে পৃথিবী? ২০১২ সালকে আজও অনেকে ভুলতে পারেননি। সেই বছরই ছড়িয়ে পড়েছিল পৃথিবীর শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে, ২১ ডিসেম্বরেই নাকি পৃথিবীর শেষ দিন হবে এবং এক ভয়াবহ বিপর্যয় ধেয়ে আসবে। কিছু প্রাচীন কাহিনি, ক্যালেন্ডার এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পৃথিবীর আয়ুষ্কাল এবং তার শেষ হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার এক নতুন সুপারকম্পিউটারও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে, পৃথিবীর শেষ খুব বেশি দূরে নয়!
একটি নতুন সুপারকম্পিউটার সিমুলেশন বিজ্ঞানীদের পৃথিবীর ভয়ংকর ভবিষ্যতের আভাস দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আগামী ২৫ কোটি বছরের মধ্যে পৃথিবীর অবস্থা এতটাই শোচনীয় হয়ে উঠবে যে, মানুষের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এর ফলে এই অঞ্চলগুলোতে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠবে। উচ্চ আর্দ্রতা, প্রচণ্ড গরম এবং প্রবল অগ্ন্যুৎপাতের কারণে এই সুপারকন্টিনেন্ট বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, হয়তো কেবল মেরু এবং উপকূলীয় কিছু জায়গায় মানুষ টিকে থাকতে পারবে। আবহাওয়া বিজ্ঞানী ড. আলেকজান্ডার ফার্নসওর্থ এই পরিস্থিতিকে **"Triple Whammy"** বা 'তিনগুণ বিপর্যয়' বলেছেন। তিনি জানান, চরম তাপ, অত্যধিক আর্দ্রতা এবং ক্রমবর্ধমান অগ্ন্যুৎপাত একসঙ্গে মিলিত হয়ে পৃথিবীকে প্রায় বাসযোগ্যহীন করে তুলবে।
এই গবেষণাগুলি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, পৃথিবীর ভবিষ্যৎ একেবারেই অনিশ্চিত। তবে এটাও সত্যি যে, মানুষের কর্মকাণ্ডই ধীরে ধীরে আমাদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যদিও এই ভয়ঙ্কর ঘটনা আমাদের জীবদ্দশায় ঘটবে না, তবুও জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। যদি এখনই সতর্ক না হওয়া যায়, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য চরম বিপদের মুখে পড়তে হবে।
News18 বাংলা
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩০