কারোয়ান বাজারে ভাবী আমায় বললেন দুপুরে খেয়ে যাও , শুটকি মাছ রান্না করেছি । পেটটা গুলিয়ে গেলো । ভাবী বললেন পারবে তুমি , দেখ না আমিও খুলনার মেয়ে । একটু মশলা পাতি বেশি দিলেই স্বাদ বেড়ে যায় অনেক । বেশ অবাক করে আমি শুটকি মাছ দিয়ে ভাত খেলাম । ওটাই প্রথম শুটকি খাওয়া ।
পিকিঙ্গে আমার স্ত্রী দ্বিতীয় বছর গেলো । বলল শুটকি এনেছি , আজ রাধব । আমি বললাম বেশি মশলা দিও নাহলে খাওয়া যাবে না। শুটকি খাওয়ার পালা শুরু হল । ছাত্র জীবন শেষ করে চাকুরি জীবনে অনেক মানুষ আমাদের শুটকি এনে দিতেন ঢাকা থেকে । নানা পদের শুটকি খেয়ে বেশ কাটালাম পিকিং , খুলনা এবং ঢাকায় । স্ত্রী গত হয়েছে ৭ বছর হল । মেয়ের সংসারে থাকি বোঝা হয়ে । ও শুটকি পছন্দ করে শুধুই লইটটা , অন্য কিছু পছন্দ করে না । ছুরি মাছ খুব পছন্দ আমার , ধারে কাছে হোম সার্ভিস থেকে দিয়ে যায় , খাই বেশ মজা করে । আপনারা কি শুটকি খান ? জানাবেন কিভাবে খান । শীত এলে বেড়ে যায় শুঁটকি উৎপাদন ও বিক্রি। দেশে-বিদেশে চাহিদার বড় একটি অংশ মেটায় সুন্দরবনএর দুবলার চর , চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মহেশখালী, টেকনাফসহ বিভিন্ন এলাকার শুঁটকি। মাঠ থেকে সংগ্রহ করার পর পাইকারি বিক্রেতারা এই শুঁটকি নিয়ে আসেন চাক্তাইয়ের শুঁটকি বাজারে। ভোক্তাদের কাছে এই সুস্বাদু শুঁটকি পৌঁছে দিতে এখানে ভিড় করেন খুচরা বিক্রেতারা। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে এখানে স্তরে স্তরে সাজিয়ে রাখা হয় চিংড়ি, লইট্টা, ছুরি, মিশালি, লাক্ষা, পোপাসহ বিভিন্ন মাছের শুঁটকি। মান অনুসারে কেজিতে ২০০ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামের শুঁটকি পাওয়া যায় খাতুনগঞ্জের এই শুঁটকি বাজারে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩২