আমি একটা জিনিষ দেখেছি আমার কথায় বেশীর ভাগ মানুষ তেমন দাম দেয় না। হয়ত নিজের দাম কম তাই বা দামি কথা তেমন বলতে পারি না। তো ভাবলাম কেউ যখন আমার কথা পাত্তা দিচ্ছে না তো আমার মনের কথা গুলু ব্লগে লেখলে কেমন হয়। কাওকে শুনানোর জন্য না শুধু নিজের মনের কথা ব্লগে ডিজিটাল ডাইরি হিসেবে লেখা আরকি।
এখন কথা হল এই লেখার শিরোনাম জানালার ভাবনা কেন?
আমাদের বাসায় যেটা আমার মা বাবার রুম ছিল (বর্তমানে এটা আমার রুম) সেটার একটি জানালা আছে। আমি সাধারণত দুপুরের খাবারের পর জানালার কাছের বিছানাটায় শুয়ে থাকতাম। তখন এই জানালাটা দিয়ে বাইরে তাকানো টা ছিল আমার প্রিয় কাজ (জানালার বাইরে খুব আহামরি কোন দৃশ্য দেখা যেত না। সাধারন কিছুই দেখা যেত যেমন- একটু আকাশ, গাছপালা, বাড়ি ঘর এই আরকি)।
আমি সাধারণত দুপুরে ঘুমাতাম না। তখন এই জানালা দিয়ে আকাশ এর দিকে তাকিয়ে থাকতে খুব ভালো লাগতো।
এখন এই জানালা দিয়ে আর আকাশে তাকিয়ে থাকা হয়না। কারন নগরায়ন এর চাপে জানালা দিয়ে খুব বেশি দূর দৃষ্টি যায় না। পাশেই বাড়িঘর হয়ে গেছে। উঁচু দালান আমাকে আকাশ দেখতে দেয় না। আমার ব্যস্ত চাকরি জীবন জানালার কাছে যেতে দেয় না। পরিবারের প্রিয় মুখ আমার দৃষ্টি প্রিয় জানালার দিকে তাকাতে দেয় না।
তারপরও আমি আমার প্রিয় জানালাটাকে ভুলতে পারি না।
এখনও আমি প্রিয় জানালাটার কাছেই ঘুমাই, জানালার পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়া ফেরিওয়ালার কাছ থেকে মাঝে মাঝে জানালা দিয়ে নানা জিনিষ কিনি। কিন্তু জানালা দিয়ে সেই অলস দুপুরের সময় কাটানো হয় না।
তাই বলে আমি আমার জানালাটাকে ভুলতে পারি নাই। সে এখন আর ব্যাহিক জগতে নাই সে আছে আমার মনে।
তো এই লেখাটার শিরোনাম আমি আমার প্রিয় জানালাটাকে উৎসর্গ করে রাখলাম।
একটা মানুষের মনের নানা ভাবনা জানতে হলে তার নিজের সম্পকে বলা দরকার।
আমি মানুষটা কেমন?
তো আমি নিয়মিত ভাবে কোয়ান্টাম ল্যাব এ রক্ত দেই। তাদের একটা প্রোগ্রাম আছে মেডিটেশন। আমাকে একবার তারা বল্ল ভাইয়া আপনি তো নিয়মিত রক্ত দেন আপনি আমাদের মেডিটেশন প্রোগ্রামটাতে অংশ নেন। আমি বললাম এটা করে লাভ কি? তারা বল্ল এটা করলে নিজের সম্পর্কে আরও ভাল ভাবে জানতে পারবেন। আমি উত্তরে বলেছিলাম আমি তো নিজে নিজের সম্পর্কে জানিই আবার মেডিটেশন করার কি দরকার।
আমি নিজের সবচেয়ে ভালো গুণ মনে করি সেটা হল আমি কি করতে পারি তা আমি জানি। সহজ বাংলায় বলতে গেলে আমি আমার দৌড় জানি।
এখন কথা হল আমার দৌড় কত দূর?
দুই তিন লাইনে আমার দৌড় বোঝাতে গেলে বলবো।
১. (আমার সততা) আমি সবসময় সত্যি কথা বলি না নিজের প্রয়োজনে প্রায় মিথ্যা কথা বলি।
২. (আমার আইন মেনে চলা) আমি সময় বাচাতে ওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার না হয়ে প্রায়ই রাস্তার মাঝ দিয়ে দৌড় দেই।
৩. (আমার ব্যক্তিত্ব) দুই তিন মিনিট এর কথাতে কাওকে ইমপ্রেস করতে পারি না।
মোটকথা আপনার আশেপাশে ঘুরে বেড়ানো সাধারন মানুষের মতই আমিও সাধারণ একজন মানুষ। যে পুরোপুরি সৎ না আবার অসৎ ও না। খুব বেশি ভালও না আবার খারাপ ও না। সবদিক থেকে মোটামুটি সাধারণ একজন।
তো এই হল আমার লেখা শুরুর ভাবনা। দেখা যাক কত দিন লেখতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৭