আমরা সবাই একজন রাজনের আর্তনাদ শুনেছি।আমরা সবাই যথা সম্ভব প্রতিবাদও করেছি ।আমরা এমন অবস্থা সৃষ্টি করেছি যে এখন ঐ নরপিচাশদের আর বাচাঁর উপায় নাই।এখন
এই পর্যন্ত কি আমাদের দায়িত্ব এই পর্যন্ত কি আমাদের কর্তব্য।রাজন হত্যার বিচার শেষ হলে কি আমরা সবাই সেই আগের মতন হয়ে যাবো ।কিন্তু এখনো যে সারাদেশে হাজারো রাজন কষ্টে আর্তনাদ করছে ,চিৎকার করে বলছে ‘আমি মরি
যাইয়ার! কেউ আমারে
বাঁচাও রে বা! আমরাতো এক রাজনকে বাচাঁতে পারিনি কিন্তু এখনো যে হাজারো রাজন আর্তনাদ করছে আমরা কি তাদের ডাকে সাড়া দিতে পারিনা?নাকি রাজন হত্যার মতন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবো।রাজন হত্যার পরও কি আমাদের বিবেগ জাগবেনা নাকি আগের মতোই টোকাই কিংবা দুই টাকার জন্য শিশু শ্রমিক দের গায়ে হাত তুলবো ?নোংরা হওয়ার কারণে দুইটা টাকা চাওয়া সেই মলিন মুখের শিশুকে লাথি দিয়ে তাড়িয়ে দিবো?এখনো কি আমরা বাড়িতে কাজের জন্য রাখা শিশুকে সামান্য অপরাধে আগুনের চেঁকা দিবো ?এখনো কি দুমুটো অন্নের জন্য পাথর বহন করা শিশুর পাশে আমরা দাড়াঁতে পারবো না ?
এখনো কি আমরা নির্যাতিত শিশুর পাশে দাড়িয়ে নির্যাতনকারীর হাত দুটি ভেঙ্গে দিতে পারবো না ?
এখনো কি আমাদের বিবেগকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে দিবো ?
এখনো যদি হাজারো রাজনদের চিৎকার আমরা না শুনি তাদের পাশে না দাড়াই তাহলে আরেকটা রাজনের হত্যার দায় ভার নিবে কি ?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২০