১। কাবুল পতনের পর পুরো আফগানিস্তান এখন তালেবানের দখলে। আপাতত, বিশ্ব ও আঞ্চলিক শক্তি প্রতিযোগিতায় চীন, রাশিয়ার, ইরান, পাকিস্তান একধাপ এগিয়ে গেলেও তালেবান কিন্তু আমেরিকার সাথে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী। আবার আমেরিকা কেন জানি নতুন প্রজন্মের তালেবানের প্রতি সহনশীল।
২। আফগানিস্তান পুনঃগঠন, আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও স্বীকৃতির জন্য তালেবান কিছুদিন আমেরিকার সাথে দেন দরবার করে চলবে। আমেরিকার চাইবে আইএসের মতো কোন জঙ্গি সংগঠন যেন আফগানিস্তানে ঘাটি গেড়ে বসতে না পারে। নতুন প্রজন্মের তালেবান চাচ্ছে বিশ্বকে নতুন বার্তা দিতে। এখন দেখার বিষয় তালেবান কোন পথে হাটে এবং তাদের হাতে কতদিন ক্ষমতার নাটাই থাকে।
৩। উল্লেখ্য যে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি,২০২১ কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে ১৯ বছরের আফগান যুদ্ধের অবসান এবং আফগানিস্তানের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে। সেই চুক্তি স্বাক্ষরের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও উপস্থিত ছিলেন। আর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন আফগান বিষয়ে মার্কিন বিশেষ দূত জালমি খলিলজাদ এবং তালেবানের পক্ষে মোল্লা আবদুল গনি বারাদার।
৪। আমেরিকার এখন নজর দিবে চুক্তির শর্ত তালেবান পুরোপুরি মানছে কিনা। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তালেবান চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এগুচ্ছে। আটক তালেবান যোদ্ধাদের মুক্তির জন্য জেলখানা খুলে দেওয়া হয়েছে, বিনিময়ে আশরাফ গানি প্রশাসনের লোকদের ক্ষমা প্রদর্শন করেছে, তালেবান বেপর্দা নারীদের হয়রানি বন্ধ রেখেছে। আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় কূটনৈতি ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে এবং ইসলামিক শাসন ব্যবস্থার মধ্যপন্থা অবলম্বন করেছে। এখানে উল্লেখ্য যে আফগানিস্তানের প্রসিডেন্ট আশরাফ গানি ইতিমধ্যে তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছেন।
৫। আমাদের এখন নজর দেওয়া উচিতঃ - দেশের গণতান্ত্রিক এজেন্সিগুলোকে শক্তিশালী করা। বিরোধী দলকে রাজপথে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেয়া। ভিন্নমত দমন বন্ধ করা। ফেয়ার ইলেকশন আয়োজন করা। আইনি শাসন প্রতিষ্ঠা। তালেবানের উপর ভর করে যেন কোন তাকফিরি গোষ্ঠী দেশে মাথাচাড়া উঠতে না পারে সেদিক খেয়াল রাখা এবং উগ্রবাদ জঙ্গিবাদ যে প্রমোট করবে তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা।
//জয় বাংলা//।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:০৫