পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর দিয়ে যে বহুমুখী সেতু নির্মিত হবে। এই সেতু দিয়ে সেতু দিয়ে যুগপৎভাবে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করবে।
০২।
মিশরে যেমন ফারাওদের আমলে মিরামিড নির্মাণের সময় বিশাল কর্মযজ্ঞ সাধিত হত পদ্মা সেতু নির্মাণেও ঠিক তাই।
০৩।
চলছে ক্রেন দিয়ে পাইলিংয়ের কাজ।
০৪।
এও কি সম্ভব! হয়ত ডিসকভারীসহ অন্যান্য ওয়ার্ল্ড লিজেন্ড চ্যানেলগুলোতে বাংলাদেশীদের প্রসংসা করা হবে। সেই প্রশংসার অন্যতম দাবিদার হবে টুঙ্গিপাড়ার একজন বাংলাদেশী মেয়ে আমাদের আদরের ও গর্বের হাসু আপা ওরফে হাচু আপা।
০৫।
পদ্মার চরের সহজ সরল মানুষগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকৌশলের এই সমস্ত লোহা লংকর যন্ত্রের প্যাঁচ গোচ দেখে বলে, ইহা কিভাবে সম্ভব? কিভাবে চলে, আর কাজই বা কিভাবে করে। এরকম নানা রকম কৌতুহলের মধ্যে তাদের চোখের সামনে গড়ে উঠছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
০৬।
সহজ সরল পদ্মা মেয়েটি তার সন্তানের মঙ্গলের জন্য নিজের দেহকে লোহা লংকর দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে চলেছে।
০৭।
সারি সারি পিলার, ক্রেন আর পাইলিংয়ের কাজ দেখলে মনে হয় সব শংকা দূর করে হয়ত ডিসেম্বর, ২০১৮ সালের মধ্যেই শেষ হবে পদ্মা সেতু।
০৮।
এই প্রজন্ম সাক্ষী থাকবে বিশাল এই কর্ম যজ্ঞের।
০৯।
হয়ত এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো তাদের স্মৃতি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বর্ণনা করবে। সেগুলো কায়িক মনে ঢোক গিলতে থাকবে অনাগত প্রজন্মগুলো। হয়ত বলবে, এই চানাচুর.......... ঝাল টক মিস্টি.............. , আছে সিদ্ধ ডিম................ ইত্যাদি ইত্যাদি।
১০।
প্রমত্ত পদ্মা একদিন চর পড়ে ছোট ও ক্ষীনকায় হবে, তখন তার বিশালতা প্রমাণ করার জন্য পদ্মা সেতুই যথেষ্ঠ হবে।
১১।
আর কিছু দিন অপেক্ষা.....................।
১২।
দাদারা যদি আমাদের পানির হিস্যা ঠিকমত দিত তাহলে পলি পড়ে পদ্মা তার নাব্যতা হারাত না। আমাদেরও ড্রেজার দিয়ে বালি খোঁড়া খুড়ি করতে হত না।
১৩।
পদ্মার বুকে ২০১৭ সালের প্রথম সূর্য অস্ত যাওয়া।
এক নজরে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু
বাহক: যানবাহন, ট্রেন
ক্রস: পদ্মা নদী
স্থান: লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ এর সাথে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর
উপাদান: কংক্রিট, স্টিল
মোট দৈর্ঘ্য: ৬,১৫০ মি (২০,১৮০ ফু)
প্রস্থ: ১৮.১০ মি (৫৯.৪ ফু)
নির্মানকারি: চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিঃ
নির্মান শুরু: ডিসেম্বর ৭, ২০১৪
নির্মান শেষ: ডিসেম্বর ২০১৮
উন্মেষিত ডিসেম্বর: ২০১৮
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৫′২১″ উত্তর ৯০°১৮′৩৫″ পূর্ব
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০০