somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডারইউনের বিবর্তণবাদ আর ব্লগের বিবর্তণধারা একই সরল রেখায় আবর্তিত !!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সবাইকে অষ্টম বাংলা ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা !:#P

ব্লগের উৎপত্তি:
১৯৯৭ এর ১৭ ডিসেম্বর, ” Jorn Barger” নামক এক ব্যাক্তি সর্বপ্রথম ‘ weblog ‘ শব্দটির উদ্ভাবন করেন। পরবর্তীতে, ‘Peter Merholz’- যিনি তার নিজস্ব ব্লগ Petermeএ একরকম কৌতুক করেই ‘ weblog ‘ শব্দটিকে ভাগ করে ‘ blog’ বলে সম্বোধন করেন ১৯৯৯ এর এপ্রিল বা মার্চের দিকে। তারপর থেকে ‘ blog ‘ শব্দটির ব্যাবহার বেড়ে যেতে থাকে। Evan Williams নামক এক ব্যাক্তি blog শব্দটিকে যথাক্রমে ‘ বিশেষ্য’ ও ‘ক্রিয়াপদ’- দু ভাবেই কাজে লাগান। তিনিই ‘Blogger’ কথাটির উদ্ভাবন করেন। ‘ব্লগিং’- এর জনপ্রিয়তার পূর্বে ‘ডিজিটাল কমিউনিটি’ বা ‘অনলাইন যোগাযোগ’ এর অন্যান্য জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো ছিলো Usenet, GEnie, BiX, CompuServe, এবং BBS, ইত্যাদি। তখনকার জন্য এগুলো জনপ্রিয় হলেও এগুলোর সাহায্যে খুব কষ্ট করেই Running conversation- এর কাজগুলো করা হতো। কিন্তু আধুনিক ব্লগিং এর সুবাদে মানুষ এখন খুব সহজেই সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে। ব্লগিং মানুষকে দিয়েছে তার নিজস্ব একটি পরিচয়। যারা ব্লগিং করে, তাদেরকে বলা হয় ব্লগার। ব্লগাররা সাধারনত নিজেদেরকে ‘Diarists’ বা ‘Journalers’.ও বলতে পারে। Justin Hall, যিনি পার্সোনাল ব্লগিং শুরু করেছিলেন ১৯৯৪ সালে। তখন তিনি ‘Swarthmore College’-এ পড়তেন। তাকে ধরা হয় ব্লগিং-এর ইতিহাসের সবচেয়ে পুরনো ব্লগার। সেসময়ের চলমান কিছু জনপ্রিয় ব্লগের মধ্যে ‘Jerry Pournelle’ এবং ‘Dave Winer’s’- এর পার্সোনাল ব্লগ ছিলো অন্যতম। এগুলো ছিলো সবচেয়ে পুরনো এবং দীর্ঘসময় ধরে চলা জনপ্রিয় ব্লগ। ব্লগিং এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে এর চাহিদাও বাড়তে থাকে। এতে যোগ হয় বিভিন্নরকম প্রযুক্তি। তার বদৌলতে বর্তমানের ব্লগসাইটগুলো মেইনটেইন করার জন্য ব্রাউজার ভিত্তিক কিছু সফ্টওয়্যার ব্যাবহার করা হয় যা সাইটগুলোকে মেইনটেইন করার কাজ করে থাকে।

১৯৯৯ থেকে ব্লগিং- এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং তা এখনও রয়েছে। Bruce Ableson নামক এক ব্যাক্তি ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ‘ওপেন ডায়েরি’ নামক একটি ব্লগ খোলেন এবং রাতারাতি তার ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। হাজার হাজার ব্লগার তার ব্লগের সাথে যুক্ত হন এবং এটিই সর্বপ্রথম ব্লগ কমিউনিটি যেখানে, অন্যান্য ব্লগারদের লেখায় মন্তব্য করার সুযোগ দেয়া হয়। এছাড়া Evan Williams এবং Meg Hourihan যারা Pyra Labs-এ কাজ করতেন, ১৯৯৯ সালে তারা চালু করেন তাদের নিজস্ব ব্লগ সাইট “blogger.com”, যা ২০০৩ এর ফেব্রুয়ারিতে Google কিনে নেয়।

জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক প্রভাবঃ
২০০২-এ ব্লগিং এর জনপ্রিয়তা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। চলমান বিশ্বের যাবতীয় খবর, খেলা-ধুলা, ব্রেকিং নিউস ইত্যাদি নিয়ে অনেক ব্লগ তৈরি হয়। পৃথিবীর যাবতীয় খবরাখবর চলে আসে মানুষের হাতের মুঠোয়। বিভিন্ন যুদ্ধ, বিশেষ করে ‘ইরাক যুদ্ধ’ নিয়েও অনেক ব্লগ লেখা হয় যা, ব্লগকে নিয়ে আসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আমেরিকার বিভিন্ন নামকরা রাজনৈতিক নেতারাও ব্লগ লেখা শুরু করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু উঠে আসে জনগনের সামনে। মার্কিন সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা ‘ট্রেন্ট লট’, একটি পার্টিতে মার্কিন সেনেটর ‘স্ট্রম থারমন্ড’ এর সাথে এক আলোচনায় বলেন, ‘থারমন্ড’ যদি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হন তাহলে তা আমেরিকার জন্য সুফল বয়ে আনবে। তখন ‘লট’ এর সমালোচকরা দেখলো যে, ‘লটের’ এই মন্তব্যের পেছনে একটি ‘জাতিগত বিভক্তি’ তত্ত্ব কাজ করছে যা ‘থারমন্ড’ একসময় চেয়েছিলেন। Josh Marshall’- এর ‘Talking Points Memo’ – নামক একটি ব্লগে এই কথোপকথন ও ভিডিও চিত্র উঠে আসে যা আরও অনেক ব্লগারদের নাড়া দেয়। ব্লগাররা নেমে পরে প্রতিবাদে। কোন প্রধান মিডিয়া প্রতিষ্ঠান এই ঘটনাটি মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করেনি যতক্ষণ না ব্লগ এই ঘটনাটি ফাঁশ করে দেয়। পরবর্তীতে, ব্লগটি রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি করে যা ‘লট’-কে তার পদ থেকে সরে দাড়াতে বাধ্য করে। ২০০৪ সাল নাগাদ ব্লগ হয়ে ওঠে রাজনৈতিক আলোচনা, খবর, এবং পরামর্শের প্রধান মাধ্যম। বিভিন্ন যুদ্ধে ব্লগকে ব্যাবহার করা হয়েছে সাধারন তথ্য প্রবাহের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে।

২০০৫ এর জানুয়ারিতে ‘Fortune magazine’ ৮ জন ব্লগারের একটি লিস্ট প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, এই ৮ জন ব্লগারকে পৃথিবীর যেকোন ব্যাবসায়িরা যেন একটু সমীহ করে চলে। এরা হলেন- পিটার রোজাস, জেনি জারডিন, বেন ট্রট, মেনা ট্রট, জোনাথন শোয়ার্জ, জেসন গোল্ডম্যান, রবার্ট স্কোবল, এবং জেসন কালাকানিস।

অনেক প্রখ্যাত সাংবাদিক আছেন, যাঁরা নামী ব্লগার হিসেবে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রে অনেক তুখোড় রিপোর্টার আছেন, যিনি ব্রেকিং নিউজটি ব্লগে ব্রেক করে থাকেন। এঁদের একজন এবিসি টেলিভিশনের হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা জেইক ট্যাপার। তিনি প্রায়ই ব্লগে নিউজ ব্রেক করেন, পরে সেটা এবিসিতে সম্প্রচার হয়। কেবল তা-ই নয়, তিনি হামেশা এমন এমন খবর ব্লগে ব্রেক করেন, যা একান্তই ব্লগ এক্সক্লুসিভ, কখনোই টেলিভিশনে দেখানো হয় না।

পেশাগত অনেক সাংবাদিকরাই আজকাল ব্লগে লেখেন। একজন ব্লগার সাংবাদিক কিনা, সচেতন পাঠক একটু খেয়াল করলেই লেখার ধরন থেকে তা অনুমান করতে পারেন। এছাড়া যারা লেখালেখি করেন তারাও ব্লগে লেখেন, আসলে ব্লগ মানুষের ভাবনা এবং মত প্রকাশের একটি স্বাধীন মাধ্যম। আর প্রভাবশালী কিনা তা সাংবাদিক অথবা ব্লগারদের লেখার যোগ্যতার উপর নির্ভর করে।

বাংলা ব্লগের ইতিহাস:
২০০৬ সালের প্রথম মাস থেকে শুর হয় বাংলা ব্লগিং এর ইতিহাস। প্রথমে একটি বাংলা ব্লগিংসাইট তার যাত্র শুরু করার পরপরই আরও একাধিক সাইট অনলাইনে বাংলা ব্লগিং এর সুবিধা নিয়ে উপস্থিত হয়। এখন বেশ কয়েকটি ব্লগিং সাইট বাংলাভাষী অনলাইন ব্যবহারকারীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। কয়েক বছর পার হবার পরও এদের কেউ কেউ তেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি, কেউ জনপ্রিয় হবার চেষ্টা করছে, আবার কেউবা নতুন শুরু করে জনপ্রিয়তা অর্জনের লড়াইয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রণ করছে। স¤প্রতি বেশ কিছু সামাজিক ব্লগ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

বাংলা ব্লগ দিবসের ইতিকথা:
ব্লগিং এর শক্তি ও সম্ভাবনাকে আরো নিবিড়ভাবে বিস্তৃতির জন্য বিগত কয়ে বছর ধারাবাহিকভাবে পালিত হলে যাবৎ বাংলা ব্লগ দিবস পালিত হচ্ছে না। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর বাংলা ব্লগিং এর জন্য ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। ২০০৫ সালের এ মাসে বাংলা কমিউনিটি ব্লগের যাত্রা শুরু হয়। সে অবদান ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষিতকে সামনে রেখে ২০০৯ সালের ১৯শে ডিসেম্বর প্রথমবারের মত পালিত হয় বাংলা ব্লগ দিবস। বিভিন্ন ব্লগ প্ল্যাটফর্মের সাথে পরিচয়, ব্লগারদের পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও ব্লগের সাথে সাধারণ মানুষের পরিচয় করিয়ে দিতে দিবসটি ইতিমধ্যে ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে।

ডারউনের বির্তণ মতবাদ ও ব্লগ বির্তণ একই সূত্রে গাঁথা:
On the Origin of Species) ১৮৫৯ সালের ২৪ শে নভেম্বর লন্ডন থেকে প্রকাশিত একটি বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ যার লেখক চার্লস ডারউইন। বইটির পুরো নাম On the Origin of Species by Means of Natural Selection, or the Preservation of Favoured Races in the Struggle for Life যার বাংলা করলে দাঁড়ায় "প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজাতির উৎপত্তি অথবা জীবন সংগ্রামে আনুকূল্য প্রাপ্ত গোত্রের সংরক্ষণ বিষয়ে"। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রথম সংস্করণের ১ হাজার ২৫০টি বই বিক্রি হয়ে যায়। প্রচণ্ড বিতর্কের ঝড় ওঠে এ বইটিক ঘিরে। কোনো বইকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি। কিছুদিনের মধ্যে বইটি সমগ্র ইউরোপ তথা পৃথিবীতে পরিব্যাপ্ত হয়ে মানুষের চিন্তা জগতে তুমুল এক আলোড়ন এনে দেয়। বিজ্ঞানীমহলে সাড়া পড়ে গেল এবং সবার মনে এ ধারণা জন্মাল যে, পৃথিবীতে একটি নতুন বৈপ্লবিক চিন্তার অভ্যুদয় হয়েছে।

১৮৭২ সালের ষষ্ঠ সংস্করণে বড় শিরোনামটি পরিবর্তন করে কেবল "দি অরিজিন অফ স্পিসিস" রাখা হয়েছিল। বইটির মাধ্যমে ডারউইন বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষের সাথে "প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন" তত্ত্বের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।

বইটি বিজ্ঞান, দর্শন ও সাধারণভাবে জীবকূলের উৎপত্তির ইতিহাস বিষয়ে পূর্বতন সকল চিন্তাধারাকে পিছনে ফেলে নতুন যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক ধারণার গোড়াপত্তন করলেও, লক্ষ্যণীয় যে বইটির লেখক এতে প্রচণ্ড বিনয় ও সদালাপের পরিচয় দিয়েছেন। কারণ ডারউইন নিজে অমায়িক ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনি মানুষের উপর কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভার চাপিয়ে না দিয়ে তাদেরকে খুব সাধারণ ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।
ইতিহাস সাক্ষ দেয় ডারইউন তার মতবাদ প্রচার বা প্রকাশ করতে বিশ বছর সময় নিয়েছিলেন। তিনি হয়ত সমাজের পারিপার্শ্বিক অবস্থা, মানুষের চিন্তাধারা এবং মানুষের মাঝে ধর্মীয় অন্ধকরণের প্রভাব লক্ষ করে তার তত্ব্ব মতবাদ প্রচারে এই দীর্ঘ সময় নিয়ে ছিলেন।

পক্ষান্তরে,
বাংলাদেশে যখন কমিউনিটি ব্লগ যাত্রা শুরু করে তখন আমাদের দেশের মানুষের শিক্ষা, সাংস্কৃতি, ধর্মীয় লেভেল ব্লগকে গ্রহন করার মত উপযোগী ছিল না। এই জন্য তাকে নানা রকম চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এগিয়ে যেতে হচ্ছে এবং বর্তমান সময়েও চলমান আছে। ভবিষ্যতে এই অচলবস্থা থাকবে না কারণ নতুন প্রজন্ম এসে নতুন দিগন্তের সূচণা করবেন। সেই কথার আভাস পাওয়া যায়, সামুর নোটিশ বোর্ডে-

“২০০৫ সাল থেকে বাংলা ব্লগের মাধ্যমে ব্লগারদের স্বদেশ, জাতীয় স্বার্থ, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও মানবাধিকারের চর্চা, কুসংস্কার এবং যাবতীয় সামাজিক অন্ধকারের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান এবং সক্রিয়তা সমাজে যে বিশেষ ইতিবাচক সংযুক্তি এনেছে তা লক্ষনীয়। আমাদের দেশে, আমাদের সমাজে বাংলা ব্লগ নিয়ে যে অপপ্রচার এবং অপব্যাখ্যার চেষ্টা রয়েছে তার অবসান হবেই। হয়তো কিছুটা সময় দরকার। আমাদের মানে রাখা দরকার যে, মিথ্যাচার ক্ষণস্থায়ী এবং সত্যের জয় অনির্বার্য্য ও অক্ষয়।”

আমাদের দেশে একশ্রেণীর বুর্জুয়া টাইপের মানুষ ব্লগের বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানান কথা বলে মানুষের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়িয়েছেন। এই বুর্জুয়া শ্রেণির প্রত্যেক শরীলে আবার ধর্মীয় ট্যাগ লাগানো আছে। তারা পূর্বে ধর্ম কে তাদের মত করে ব্যাখ্যা করত। যখন আমাদের দেশে ব্লগ যাত্রা শুরু করে তখন শুরু হয় ধর্ম ও সময়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক সম্পর্কিত আলোচনা। এতে উঠে এসেছে ধর্ম, সাংস্কৃতি, কৃষ্টি, কালচার, যাপিত জীবন। ফলে মানুষের চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হল। এতে ট্যাগ লাগানো মৌলবীদের কিছুটা দীর্ঘশ্বার্স ও কিছুটা নাভিশ্বার্স ওঠে। কারণ তাদের ধর্মের বিষয়টি এখন আধুনিক ছেলেপুলেরা আলোচনা করে।

এবার এ কথা সত্য যে, অনেক ব্লগার সহজে জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য নানা রকম ভুলে ভরা তথ্য প্রদান করে সমাজে ব্লগ সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা সৃষ্টি করেছে।তারা পরিশ্রম না করে সহজে জনপ্রিয় হতে চেয়েছিল।এতে হিতে বিপরীত হয়েছে। আমরা চাই যে সমস্ত ব্লগার সমাজে নতুন নতুন তথ্য হাজির করতে চান তারা যেন ডারউনের পথ অবলম্বন করেন। কারণ তিনি যে সময়ে নতুন কিছু জাহির করছেন সেই সময়ে এর প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে সেটা খেয়াল রাখাও ব্লগারের কর্তৃব্য।
আশার কথা হল, এখন অনেক ধর্মীয় বিশেষজ্ঞও ব্লগ লিখছেন যা ব্লগ ও ব্লগার সম্পর্কে মানুষের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশে ব্লগারদের কিছু অর্জণ:
কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে প্রথম সমস্বরে প্রতিবাদ ব্লগারাই করেছেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে গড়ে ওঠে গণজাগরণ মঞ্চ। ছাত্রী নির্যাতনকাণ্ডে অভিযুক্ত পরিমল জয়ধরকে গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ড প্রদানে তাঁদের লেখালেখির ভূমিকা আছে। অথচ মূল ধারার গণমাধ্যম তখন চুপ ছিল। ইন্টারনেটের গতি কমানোর সরকারি পদক্ষেপকে থামিয়েছেন তাঁরাই।
সম্প্রতি লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা অনুষ্ঠানে ইসলামি ব্যাংকের টাকা গ্রহণের বিরুদ্ধে প্রথমে তাঁরাই সোচ্চার হয়েছেন। তনু হত্যা কান্ড, সাগর রুনি হত্যা কান্ড, সংখ্যালঘু নির্যাতন সহ বিভিন্ন সময়ে মানুষের অধিকারের বিষয়ে তারাই অগ্রগামী পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তাছাড়া ব্লগ নাগরিকের অধিকারবোধ তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখছে।

পরিশেষে, পরিচ্ছন্ন ব্লগ এবং ব্লগ হয়ে উঠুক মানুষের মত প্রকাশের প্রধান মাধ্যম এই আশায় রইলুম।

তথ্য সূত্র:
https://bn.wikipedia.org/s/1d42

http://www.somewhereinblog.net/blog/noticeblog
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×