জন্ম নিয়েই কেঁদেছিলাম কারণটা আমার জানা নেই
লোকমুখে শুনেছি ,শুনেছি জননীর কাছে
এও জানা হযেছে সবাই কাঁদে পৃথিবীতে এসে;
তা পৃথিবীর আমোঘ নিয়ম হয়ে গেছে
সে কান্নার ধ্বনি পরম আকাঙ্খিত অন্য সবার কাছে
বৈশাখের তপ্তবেলার শীতল বর্ষণের চেযেও অধিকতর
জীবনের শুরুতে শব্দ করে কেঁদে মানুষদের জানিয়ে দিতে হয়
যে জীবনের আগমন হলো সেটি অনর্থক কিংবা অসম্পূর্ণ নয়,
তারও আছে অধিকার— ছোট্ট সে শিশু তারও সম্ভাবনা আছে অপার;
তারপরের সব গুলো কান্নার সঙ্গে জীবনের আকুতি নিহিত ,নিহিত হাহাকার!
হয়তো অনুরাগে নয়তো অনুযোগে নয়তো নিদারুণ কোন ব্যর্থতা ভার
সইতে না পারা কান্নাগুলোতে— সুহৃদ জনে হাসির উদ্রেক হয় না আর।
পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে চলতে থাকে নিদারুন প্রচেষ্টা সব ক্রন্দন লুকাবার
কপট হাসি হেসে প্রিয়মানুষের কাছে —
কষ্ট লাঘব করার শত যুক্তি আছে—
যে শিশু কাঁদেনা ধরাধামে আগমনী ক্ষণে
তাকে ঘিরে থাকে শত আশংকা মানুষের মনে।
প্রতীক্ষার ক্রন্দন মানুষ একবারই করে
পৃথিবীর সব কষ্ট প্রশমন করে
গর্ভধারীনি মাতার দশমাস দশদিনের মরণসম কষ্ট
জনকের নিদ্রাহীন অনন্ত রাত গুলির প্রতীক্ষার কষ্ট
উত্তরাধিকারের সুচিনিষ্চৎ আগমন বার্তা্ শ্রবণে সব পূর্বপুরুষের আকুলতা
সব কিছু দূরীভূত করে এমন ক্রন্দন মানুষ একবারই পারে
এমন প্রতীক্ষার ক্রন্দন মানুষ একবারই করে।
চেতনার কবি সাম্যের কবি
চেতনার কবি সাম্যের কবি
তোমার দুচোখে মায়া ঝরে হৃদয়ে ফোটে রক্ত করবী
মৃত্যুক্ষুধার করাল গ্রাসে
শাসনে শুষণে রুদ্র পরিহাসে
বিদ্রোহী ছিলে সবুজের ঘাসে
গোলামীর জিঞ্জির
ছিন্ন করে উচ্চ করেছো শির
বাংলার বুলবুলি
গেয়েছো গান মধুর কণ্ঠে ফুটেছে ফুলেরকলি
বাংলা মায়ের কোলে
তোমার কবিতা গানে মুগ্ধ হাওয়ায় দোলেে
সাম্যের কথামালা বিবেকের অঞ্জলী।
তোমার লেখনীতে নাঙা তলোয়ার
শানিত করেছে চেতনা মানবতার।
বিঃদ্রঃ শ্রদ্ধাঞ্জলী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
ছবি গুগল
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০১