জাফরুল্লাহ শারাফাত এর ক্রিকেট ভাষ্য যখন রেডিওতে শুনতাম তখন মনে হত যেন মাঠে যেয়ে খেলা দেখছি।
ধারা বর্ণনার সময়, মাঠের অাশেপাশের পরিবেশ, অাকাশের বর্ননা, মাঠের ভেতরের পরিবেশের বর্ননা অামাকে খুব মুগ্ধ করতো।
উনি একটা কথা বেশ সুন্দর একটা স্টাইলে বলতেন, সেটা হলো-'ক্রিকেট মানেই একটা অনিশ্চয়তার খেলা"।
অার যখন টপাটপ বাংলাদেশে উইকেট পড়া শুরু হতো তখন বেশ ব্যঙ্গ করেই বলতেন, ' উনি যেন অাত্বহুতি দিলেন, নিজেকে বিলিয়ে দিলেন, উইকেটকে উৎস্বর্গ করলেন' ইত্যাদি ইত্যাদি।
অাজকালকের পোলাপান খেলাধুলা বেশি না বুঝলেও রাজনীতি বেশ ভালোই বুঝে। এজন্য দেখা যায়, কিশোর বয়সে রাস্তার মোড়ে দল বেধে কোন এক নেতার স্লোগান দিচ্ছে।
যদি বলি খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ না নিতে পারা কি সরকারের পূর্ব পরিকল্পনা ছিলো?
সরকার পক্ষ হয়তো বলবে, তার সাজা হয়েছে অাইনী প্রক্রিয়ায়। তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না, এটা অাদালতের বিষয়, নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এখানে সরকারের কোন হাত নেই।
সুতরাং অামি বলবো, বিএনপির করার কিছূই নেই। অাইন সবার জন্য সমান কথাটা একদম সত্য। কিন্তু বাস্তবতাটা বেশ ভিন্ন।
যাহোক, সরকার অাইনকে শ্রদ্ধা করে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে রক্ষা করে ; এটা অাপনি না মানলেও সত্য। এখানে সিমপ্যাথি দেখানোর কিছু নেই।
আচ্ছা, ক্রিকেটের মত একটি দূর্ঘটনা ঘটে গেল। বিএনপির কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? ওবায়দুল কাদের কিন্তু প্রশ্নটি রেখেছেন। তার মানে উনি সন্দেহ করেছিলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। না কি অাগেই জানতেন?
বিষয় এটা নয়। মূল বিষয় হলো, বিএনপি কিন্তু ঠিকই তার নের্তৃকে মুক্ত করবেন যদি তারা ছক্কা মারতে পারেন।
কিন্তু বলার যখন স্পিন তখন বেশি সুবিধা অাদায় হবে বলে মনে হয়না।
কিন্তু রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। হয়তো বিএনপি একসময় আইনের প্রতি আরো শ্রদ্ধাশীল হবে, বিচার বিভাগ, শাসন বিভাগকে বর্তমান সরকারের থেকে অারো বেশি স্বাধীনতা দিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে।
বিএনপির অনেক কিছু শেখার অাছে। হয়তো কিছু শিখেছে। কিন্তু কতটুকু ধারণ করেছে তা বোধগোম্য নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১