ওহ তমসা রাত, তোমার আধখোলা দরোজায় দাঁড়িয়ে
ফলের গাছ ঝড়ঝড়ে বাতাসে কাৎ হতে দেখি।
কোনো অপেক্ষারত কুপিবাতি নেই জ্বলন্ত,
এই গম্বুজমতো আকাশ, মক্তবে বসে ছাদ দেখার মতো,
অথচ অন্ধকার।
জং ধরা চাবি বার বার আঁটকে দিচ্ছে তালার মুক্তি,
খুলে দিচ্ছেনা জেলঘরের উন্মুক্ত নিশ্বাসের কপাট।
স্নিগ্ধতার রুদ্ররাত হাতের তালুতে অঙ্গার হয়ে জ্বলে
ডুবছে প্রিয় বাক্যগুলো, ডুবে যাচ্ছে ঢোঁড়া সাপের মতো।
ছবিতে বন্দী আকাশ, করোটিতে জমা জল
রাতের প্ল্যানচ্যাটে আশা থাকে ফিরে আসুক প্রিয়মুখ।
আ আ আ আহ প্রিয়মুখ!!
প্রিয়মুখ, সে তো জ্বলে;
জ্বলে পৌরাণিক ড্রাগনের মুখ, পুড়ে যাচ্ছে চাঁদ
এই কবির চুল, চামড়া, চোখের পাতায় আগুন লাগে।
কি অবশ, কি মাতাল এই জ্বলে ওঠা।
আদিগন্ত আলোকরেখা উড়ন্ত চিলের ঠোঁটে
অবশ আলিঙ্গন জমিয়ে রাখি। গাঢ় থেকে কঠিন
তারপর হঠাৎই ধ্বংসোন্মুখ বিষ্ফোরন;
আমাদের ছিটিয়ে যেতে থাকা ক্রমশ দূরে।
প্রিয় শুভ্র ধোঁয়া, আলিঙ্গনহীন তুমি ওড়ো, আমাকে ওড়াও
নেশার ঘোরে, খোল তোমার কালো ব্রেসিয়ার।
শব্দহীন খুলি শুকনা নারকেলের মতো
ভেঙে দেখতে ইচ্ছে করে কি বালছাল থেকে যায়-
কি আবর্জনার স্তুপ থেকে যায় অর্বাচীন সিদ্ধান্তে!
হায় আমার বৈরাগ্য, হায় সংসার; কি তুমুল কলিশন!
তবু পাড়ি দিচ্ছি সৌরচক্রের অনিয়ম,
ধ্বংসের পথ ক্ষয়ে যাওয়া, সবুজ বিষে ডুব।