আত্মহত্যার সাইক্লিক লোডে কম্পমান সোডিয়াম আলো
তিন হাতে রুগ্ন সূর্য চেপে যাই, দিনের পরাস্ত শ্যাওলা
তুমি করে তোল মুক্তিহীন স্তন্যপায়ী;
গুড়ো গুড়ো শীতল সিক্ততা, জড়বাহী জীব।
উলটানো যাবে পাতা একের পর এক যারা সিক্ততার
স্পর্শযোগ্য দূরত্ব আঙুল ও ঠোঁট, কোথাও ছায়া নেই,
সরু বিষাক্ত সাপ অথবা সূতা উভয় শরীরে।
দেখি ক্লান্তিকর নর্দমায় আঁটকে থাকা জলমিশ্রন
হাঁটুসম কুটকুটে পথ; ইট অথবা পিচ,
আবার ভাসো আবার আসো
থাকিনা যাই, যাই, যাইনা থাকি
মৃত্যুর মতো সত্য অথবা প্রাথমিক রূপান্তরক্রিয়া।
আবেশ রেখে যাও আবেশ। আবেশ বা মোহ, আর কি?
চেনা নাই, অর্থবোধক সমুদ্রজীব ও আগন্তুক উল্লম্ফন,
বিশ্বাস নয়, বিশ্বাসী নই, চেনা নেই আবার, আবার মেঘ আবার বৃষ্টি
এই বৃষ্টি জানেনা তার সিক্ততা আমার ঘামের চে' বেশি নয়।
হঠাৎ রোদে অনিশ্চয়তা একটা রোটেশন
কি রকম এক বোধহীনতা, প্রান্তিক জলডোবা হাঁস,
স্মৃতি বা কুয়াশা, দৃপ্তকণ্ঠ অনাচার, অবুঝ।
সম্মোহন পথবাসী বা পথিক মরে যায়না যতদিন
কলম মানুষ কার্বনকণা কার্বনকপি ইতস্তত।
না না না, তা নয় যা মেনে নেই তা নয়।
অলক্ষ্যে অগোচরে বিশ্বস্ত কুকুর নই
দ্যাখাও, দ্যাখাও খুলে নিই, কেটে নিই
এই, এই অর্বাচীন সন্ধিগ্ধ সিদ্ধান্তহীনতা
চেরাইকলে কর্তনের গুড়ো গুড়ো ডাস্ট, উড়ছে
উড়ছে মাছি আর গুড়ো ময়লা।
সুপ্ততার ভিতরে জীবন্ত রোগ অথবা শামুক
ধীরে ধীরে ঢুকছি এবং দেখছি। এবং দেখছি।
অথচ হিপোক্রেট, হ্যাঁ, মেনে নিয়ে দেখছি
যেহেতু মানছি দেখছি প্রতারক চিনি আয়নায়।
ঈষৎ ফাঁক অন্ধকার আসে গুহাপথে দরোজা,
উষ্ণতার কৃষ্ণকায় চামড়া ডোবেনি, মৃত্যুডুব।
আরো ভাঙো, চাই তো! ভাঙো, বরং আমি বা তুমি
হাতকড়া এড়িয়ে শিঁড়দাড়ায় ভীষণ স্তুপাকৃতি ফাঁদ, স্নায়ু।
আগন্তুক আসে যায় চরকির রোটেশন বোকাচোদার মতো
ফিরে আসে যেনো এদেশীয় সরকারী শাসন,
উত্তপ্ত লোহা গলছে, ফুটছে, ক্লেদাক্ত সাঁতার
ইঁদুর ধরা ফাঁদে উচ্চরক্তচাপের এলোমেলো ঘোর
বিন্দু ভেঙে দ্যায় মানুষ বা ভীত সন্ত্রস্ত মৃত মানুষ।