উন্নত বিশ্বের প্রতিটি দেশেই রাজধানীসহ বড় বড় শহরে আন্ডারগ্রাউন্ড দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। রাজধানী ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে ঢাকায় নিয়মিত চলাচলকারীদের সুবিধার্থে যানজট কমাতে ও সময় বাঁচানোর পাশাপাশি অর্থ সাশ্রয়ের জন্য সাবওয়ে নির্মাণ করা জরুরী। এ লক্ষে রাজধানীতে নিত্য সৃষ্ট যানজট ভোগান্তি কমাতে এবার আন্ডারগ্রাউন্ড রেল যোগাযোগ বা সাবওয়ে (পাতাল রেল) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উন্নত বিশ্বের সকল দেশের ন্যায় রাজধানীর যানজট কমাতে ও যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের জন্য সাবওয়ে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ।প্রথম পর্যায়ে কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর, টঙ্গী হয়ে জয়দেবপুর পর্যন্ত তৈরি করা হবে এই পাতাল রেলপথ। পরবর্তীতে কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এই সাবওয়ে তৈরি করতে সরকারের অন্য যে কোন বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের চেয়ে অনেক কম খরচ হবে। কারণ, বিদ্যমান রেলপথের নিচ দিয়েই এটি নির্মাণ করা হবে। ফলে পাতাল রেল সাবওয়ে তৈরির জন্য কোন ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে না। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় ও সময় অত্যন্ত কম হবে।এ রেলওয়ে তৈরির প্রাথমিক অংশ হিসেবে প্রায় ৬৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে রেলওয়ে। যার ব্যয় বহন করবে সরকার। অধিক পরিমাণ যাত্রী বহন করতে প্রতি ২ মিনিট পরপর এ সাবওয়ে দিয়ে ট্রেন ছাড়া হবে। সাবওয়েটিতে কমপক্ষে ২টি লাইন (ডাবল লাইন) থাকবে। কোন প্রকার সিগনাল ছাড়াই নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করতেই এ পদ্ধতি রাখা হচ্ছে। এ রেল সাবওয়েটি চালু করা গেলে ঢাকা বর্তমানে ঢাকা-টঙ্গী রুটে কমিউটার, ইন্টারসিটি, লোকাল, মেইলসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ৭২ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এতে প্রায়ই সড়কগুলো সিগনাল দিয়ে বন্ধ রাখতে হয়। ফলে প্রতিদিনই এ থেকে সৃষ্ট যানজট ব্যাপক আকার ধারণ করে। এর ফলে অধিক সংখ্যক ট্রেন চালু করে যানজট কমাতে সরকারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে নতুন করে কমিউটার বা লোকাল ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। ফলে বাধ্য হয়ে সাবওয়ে দিয়ে এ ধরনের লাইন নির্মাণের চিন্তা করা হচ্ছে। এতে মাটির নিচের রেলপথ দিয়ে কমিউটার বা লোকাল ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২