বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা বহুমাত্রিক। দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন সম্ভাবনাকে বিবেচনা করে সরকার বাণিজ্য ও যোগাযোগ বাড়াতে পদক্ষেপ নিয়েছে। নেপালে বাংলাদেশী পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, অন্যদিকে নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুত বাংলাদেশে আমদানির সম্ভাবনা উজ্জ্বল, আবার নেপাল স্থলবেষ্টিত দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে রেল ও সড়ক পথে ট্রানজিটের মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে নেপালের উৎসাহ রয়েছে। নেপালের জলবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশ। এছাড়াও বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ট্রানজিট কার্গো পরিবহনের পদ্ধতি নির্ধারণ, উভয় দেশের পণ্য আমদানিতে পারস্পরিক শুল্ক সুবিধা প্রদান, কাকরভিটা-পানিট্যাংকি-ফুলবাড়ী বাণিজ্য পথ পুরোপুরি চালু, রেল যোগাযোগ স্থাপন রোহনপুর-সিংবাদ রেলপথ ব্যবহার করে নেপালে পণ্য পরিবহন করা, বাণিজ্য বাধা দূর করার লক্ষ্যে সেনেটারি ও ফাইটো সেনেটারি ব্যবস্থা সমন্বিতকরণ, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নেপালে বিজনেস ভিসা সহজীকরণ এবং নেপালী নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে স্থলবন্দরে অন এরাইভাল ভিসা, পরস্পরের বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ, দুই দেশের মধ্যে পর্যটন বৃদ্ধি, নেপালের জলবিদ্যুত খাতে বিনিয়োগ, ফার্মাসিটিউক্যাল পণ্যের নিবন্ধন পদ্ধতি সহজীকরণ, সরকারী পর্যায়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরাসরি ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নেপালে ২৫ দশমিক শূন্য ৫ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশে নেপালী পণ্য আমদানি হয় ১১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে সঠিক কানেক্টিভিটির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।