খেলা শুরু হতে না হতেই জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার বানের জলের মতো ভেসে গেলো।
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে BCB এর কর্মকর্তাদের কাছে ধন্যা দিয়ে ক্লাব হাউজে একটা ষ্টল বরাদ্ধ পেয়েছিলো, ঢাকায় বাংলাদেশের এমন পারফর্মমেন্স দেখার পর চট্রগ্রামে দর্শকদের ঢল নামবে সেটা সে ভালোই বুঝেছিলো। তার অনুমান সত্যি, সকাল ৮.৩০ টার মধ্যেই ক্লাব হাউজ ভরপুর, বিক্রি ও ভাল।
সিংগারা , সমুচা ৮-১০ টাকা, বার্গার ৪০ টাকা, পানি ১৫ টাকা .... বিক্রি হচ্ছে , দর্শকরা ও আজ ফুরফুরা। দাম নিয়ে কোন কেচাল নেই
আজ ভালো একটা ব্যবসা হবে , কিন্তু প্রথম ২০-২৫ মিনিটেই জিম্বাবুয়ের ৪ উইকেট পড়ে গেছে, দর্শক উল্লসিত, দু-এক জন বিরানীর প্যাকেট ও চাচ্ছে, ৬০ টাকা। কালু মিয়ার চোখে মুখে রংগের খেলা। বাংলাদেশ পরে ব্যাট করবে , সুতরাং লান্চতো সবাই খাবে মাঠেই।
কিন্তু অল্পক্ষনের মধ্যেই জিম্বাবুয়ের ৮ উইকেট হাওয়া, দর্শক উল্লসিত
কিন্তু কালু মিয়ার কপালে ভাঁজ.....
সিংগারা/চমুচা ৫-৬ টাকা, বার্গার ৩০, পানি ১০-১২ টাকা, বিরানী ৫০ টাকা।
প্রথম ঘন্টা শেষ হতে না হতেই খেল খতম।
সিংগারা/ চমুচা ৩ টাকা, বার্গার ২০ টাকা , বিরানী ৩০ টাকা। সামীয়ানার নীচে দাড়ানো কালু মিয়ার মুখটা যেনো রোদে পুড়ে যাওয়ার চেয়েও বেশী কালো হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু হলো, তামিমের চার, সিংগারা/চমুচা ২ টাকা, বার্গার ১০টাকা, বিরানী ২০ টাকা সাথে চমুচা ফ্রি, দর্শক আরামচে খাচ্ছে...... কালু মিয়া এদিক- ওদিক বোকার মতো তাকায়, আমি ছবি তুলছি দেখে বললো, স্যার মইরা যামু.... ২০ হাজার টাকা লস, একটু পেপারে লিখবেন, সব শেষ।
হ্যা, খেলা শেষ , স্টেডিয়ামে ভাংগা হাটের মেলা, দর্শক খুশি বাংলাদেশ সহজে জিতেছে, বলা যায় জিম্বাবুয়ের কোমড় ভেংগে দিয়েছে। কিন্তু কালু মিয়ার ভীষন কান্না পাচ্ছে.....
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩২