সিএনজি গাড়ির দাম কত?!
ঢাকা শহরে যাতায়াত করার মতো ভালো কোন বাস নেই। উবার দ্বারা পরিচলিত কিছু গাড়ী পাওয়া যায় তাও অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং দুর্লভ। এছারা পাঠাও দ্বারা পরিচালিত মোটর সাইকেল হচ্ছে আরেক মরণ ফাঁদ।
ফলে ঢাকা বাসীদের যাতায়াতের জন্য সহজলভ্য কোন উপায় আসলে খুঁজে পাওয়া যায় না । মন্দের ভালো একটি পরিবহন আছে যেটাকে বলে সিএনজি।
ছবিঃ সাত মসজিদ রোড লালমাটিয়া থেকে তোলা।
এই সিএনজি আবার ভয়াবহ ধরনের ব্রাহ্মণ পরিবহন। সব জায়গায় যেতে চায় না । কম দূরত্ব হলে তো যাবেই না। আছে নানান ফ্যাকরা।
সিএনজির জন্য সরকার কর্তৃক ভাড়া নির্ধারিত আছে। কিন্তু কোন চালক সেই ভাড়া মানতে চায় না।
সিএনজি ভাড়া করার সময় কঠিন ভাবে দামাদামি করে নিতে হয়। দামাদামি ঠিক হলে সিএনজি চালক যাত্রীকে জিজ্ঞেস করে রাস্তায় পুলিশে যদি জিজ্ঞেস করে তাহলে বলবেন যে মিটারেই যাচ্ছেন।
ভন্ড সিএনজি চালকের আহবানে অনেক যাত্রী রাজি হন যে পুলিশ জিজ্ঞেস করলে তারা মিটারের কথাই বলবে। আবার অনেকে বলে, না আমি যাচ্ছি তোমার সাথে চুক্তি করে। পুলিশকে কেন মিথ্যা কথা বলতে যাব!
আমি সিএনজিতে উঠলে মাঝেমধ্যে তাদের সাথে দু এক কথা বলার চেষ্টা করি । এক চালককে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, একটি সিএনজির দাম নাকি ২৭ লক্ষ টাকা।
শুনে আমার আক্কেল গরম কেননা ২৭ লক্ষ টাকা দিয়ে ঢাকা শহরে ব্যবহার করা দুইটা গাড়ি কেনা সম্ভব।
আমাদের চালক মহাশয় বললেন গাড়ির সাথে সিএনজির কোন তুলনা হয় না । সিএনজির অনেক দাম। সিএনজি সবাই কিনতেও পারে না।
ঢাকা শহরে বেশিরভাগ সিএনজি চালকই মালিকের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে চালান । এজন্য প্রতিদিন মালিককে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয় । এটাকে বলে জমা। আমি এক। চালককে জিজ্ঞেস করলাম। সে বলল তাকে নাকি প্রতিদিন ১২০০ টাকা জমা দিতে হয়।
সিএনজি চালকদের প্রচুর চাহিদা আছে। ঢাকা শহরে হাজার হাজার যাত্রী । ফলে খেপের কোন অন্ত নাই।
কিন্তু সমস্যা একটাই । এদের উপর পুলিশরা ব্যাপক কুনজর দিয়ে রাখে। ফলে পুলিশদেরকে প্রতিদিন একটা বিরাট অংকের টাকা নজরানা দিতে হয়।