somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাওয়া চৌরাস্তায় ১০ টাকা দিয়ে লাঞ্চ সেরে ফেললাম। ******************************************

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০০৩ সালের আগস্ট মাসের কোন এক দুপুর বেলা। কলেজে মাস্টারী শেষ করে গৃহে ফিরছি। বসে আছি মাওয়া চৌরাস্তায়। অপেক্ষায় আছি একটি বাস অথবা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নসিমন টাইপের কোন গাড়ী আসে কিনা। এছাড়া যাবার আর কোন সুন্দর উপায় নেই।

গন্তব্য তখনো ঠিক করতে পারিনি।ভাবছি, সরাসরি ঢাকা চলে যাবো? নাকি বেজগাঁও নেমে শ্রীনগর হয়ে জয়পাড়া চলে যাবো। সেটা ঠিক করতে বেশ সময় নিয়ে নিল।

জয়পাড়ায় কয়েক টিউশনী আছে।এগুলো চালিয়ে নিতে হবে। টিউশনী জুগিয়ে দিয়েছে আমার বন্ধু মাসুদ। মাসুদ জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাস্টারী করে। ছাত্র ও অভিভাবক সমাজে সে খুবই জনপ্রিয় একজন শিক্ষক।

এক দিন তাকে কথাপ্রসঙ্গে বললাম- চাকরি বাকরির পরীক্ষায় অংক টংক তো পারি না। মান ইজ্জত তো থাকছে না।
সে আমাকে বলল- অঙ্ক পারতে হলে টিউশনী করতে হবে। টিউশনী কর কাল থেকে।
আমি বললাম- কোথায় পাবো টিউশনী? কে ঠিক করে দেবে?

সে বলল- আমি জোগাড় করে দিব।

সে সত্যি সত্যি টিউশনী জোগাড় করে দিল। তবে আমার যারা ছাত্র তারা ছাত্র বেশী ভালো না।
আমি বললাম- ভালো ছাত্র দরকার নেই। আমার দরকার অংক প্র্যাক্টিস করা। আমার অঙ্ক শেখা হলেই চলে।

আমি পুরোদমে টিউশনী করা চালিয়ে গেলাম। আমার সব অঙ্ক শেখা হয়ে গেল। এখান আর কোন চাকরির পরীক্ষায় আমার অঙ্ক ভুল হয় না।

দুপুরের কড়া রোদে বসে থাকতে থাকে সহসা অনুভব করলাম- আমার বোধ হয় খিদে লেগেছে। এখানে কী খাওয়া যায়। বাজেটও বিরাট একটা ব্যাপার। আমার বাজেট খুব বেশী হলে ১০/১৫ টাকা। এর বেশী দিলে আমার ঘাটতি বাজেট বয়ে বেড়াতে হতে পারে। সেটা খুব সহজ কাজ না।

তাই দোকানদার কে ১টি বনরুটি, একটি কলা আর এক কাপ চা দিতে বললাম। চাই সচরাচর খাই না। কিন্তু তখন ব্যাপক ঘুমঘুম লাগছিল। অনেকটা পথ যেতে হবে। বার বার ঘুমিয়ে পড়লে হবে না।

আরাম করে বনরুটি, কলা আর চা খেয়ে সামনে তাকাতেই দেখি একটা নসিমন এসে হাজির। ড্রাইভারের পাশে একটি সিট ফাঁকা। আমি দোকানীকে টাকা দিয়ে দ্রুত ড্রাইভারের পাশে গিয়ে বসে পরলাম।

মাওয়া চৌরাস্তা থেকে ঝড়ের বেগে বেজগাঁওয়ের দিকে ছুটে চলল আমাদের যান নসিমন। সামনে পিছনে অনেক গাড়ী। সবাই ঝড়ের বেগে ছুটে চলেছে ঢাকার পানে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৩
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগে বুঝতে হবে রিসেট বাটন কি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:০৩

আগে বুঝতে হবে রিসেট বাটন কি......

বেশ কিছুদিন যাবত ডক্টর ইউনুস সাহেব এক সাক্ষাৎকারে "রিসেট বাটন" শব্দদ্বয় বলেছিলেন- যা নিয়ে নেটিজেনদের ম্যাতকার করতে করতে মস্তিষ্ক এবং গলায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধু ভগবান না হয় ইশ্বর!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫২



মানুষ বঙ্গবন্ধুর ওপর এতোই ত্যক্তবিরক্ত যে আজকাল অনেকেই অনেক কথা বলছে বা বলার সাহস পাচ্ছে। এর জন্য আম্লিগ ও হাসিনাই দায়ী। যেমন- বঙ্গবন্ধু কলেজ, বঙ্গবন্ধু স্কুল (হাজারের কাছাকাছি),... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৮





বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যু সংবাদ শুনে কোন গালিটা আপনার মুখে এসেছিলো?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬



"খবিশ মহিলা", গালিটি বা তার কাছাকাছি কিছু?

মতিয়া চৌধুরী (১৯৪২-২০২৪) ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সৎ রাজনীতিবিদ। গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশে তিনিই ছিলেন একমাত্র নারী মুক্তিযোদ্ধা ও সবচেয়ে নিবেদিত-প্রাণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্বে চরম দারিদ্র্যে বাস করা প্রায় অর্ধেক মানুষই ভারতের

লিখেছেন সরকার পায়েল, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮


বিশ্বের ১১০ কোটি মানুষ দারিদ্রে দিন কাটাচ্ছে। তাদের প্রায় অর্ধেকই যুদ্ধ-সংঘাত লেগে থাকা দেশের বাসিন্দা। জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।


ইউএনডিপির বরাতে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×